নয়াদিল্লি: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় উত্তাপ বেড়ে চলেছে। সেই আবহে বাংলাদেশ এবং মায়ানমার সীমান্তে নিরাপত্তা আঁটোসাটো করতে নির্দেশ দিল ভারত। দুই দেশের সঙ্গে ভারতের যে সীমান্ত, সেখানে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন বলে জানানো হয়েছে। বিগত কয়েক মাসে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে। মায়ানমার সীমান্ত নিয়েও গা-ছাড়া মনোভাব চায় না কেন্দ্র। (India-Pakistan Conflict)
কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর থেকেই সীমান্তে প্রহরা বেড়েছে। কিন্তু এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি, তাতে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন বলে জানানো হয়েছে নিরাপত্তাবাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকে। গত কয়েক মাসে মহম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক গাঢ় হয়েছে। আর তাতেই অশনি সঙ্কেত দেখছেন গোয়েন্দারা। (India-Bangladesh Border)
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বাংলাদেশের মাটিতে পাকিস্তানি সেনা এবং তাদের গুপ্তচর সংস্থা ISI-এর উপস্থিতি বেড়ে চলেছে। বাংলাদেশের চরমপন্থী ইসলামি সংগঠনগুলিকেও মদত জোগাচ্ছে ISI। এতে সীমান্ত বরাবর গোপন ঘাঁটিগুলিকে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হতে পারে। তাই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন জরুরি বলে মনে করছেন সকলে।
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন ঘিরে পরিস্থিতি তপ্ত হয়ে ওঠে। মুর্শিদাবাদ বাংলাদেশ সীমান্তেই অবস্থিত। সেই নিয়ে কেন্দ্রের কাছে যে রিপোর্ট জমা পড়ে, তাতে মুর্শিদাবাদে অশান্তির নেপথ্যে বাংলাদেশ যোগের কথা তুলে ধরা হয়। সীমান্ত পেরিয়ে এসে দুষ্কৃতীরা মুর্শিদাবাদে হিংসা ঘটায় বলে অভিযোগ করা হয় রিপোর্টে। সেই থেকে বাংলাদেশ সীমান্তে নজর রয়েছে তদন্তকারী সংস্থাগুলির।
পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর নতুন করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে। ভারতের তরফে কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করা হলেও, পাকিস্তান থেকে উড়ে আসছে হুমকি-হুঁশিয়ারি। শুধু তাই নয়স সীমান্ত বরাবর এলাকায় সেনার সংখ্যাো বাড়িয়ে চলেছে তারা। নৌবাহিনী মোতায়েন করে রেখেছে আরব সাগরে। সেই সঙ্গে সীমান্তে নির্বিচারে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন চালিয়ে যাচ্ছে। তাই সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়ে হেলাফেলা করতে নারাজ দিল্লি।
ভারতীয় নৌবাহিনীর তরফে ইতিমধ্যে আরব সাগরে নতুন এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ৩ মে পর্যন্ত গুজরাত লাগোয়া আরব সাগরে ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ এবং সমুদ্র উপকূল থেকে গুলিবর্ষণের মহড়া চলবে। পাক নৌবাহিনীও ২ মে পর্যন্ত তাদের জলসীমানায় ফায়ার ড্রিল করছে।
পহেলগাঁও হামলার পর ভারতের প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় দিন কাটছে পাকিস্তানেরও। তাই মাঝরাতে ISI-এর প্রধানকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব দিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। ISI-এর সঙ্গে পাক NSA-র দায়িত্বও সামলাবেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ আসিম মালিক। ভ
আরও দেখুন