সোমনাথ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: দেশপ্রেম যাত্রায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দের ছবি উঠে এল চন্দ্রকোনায়! পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন অজিত মাইতি। তার বার্তা সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে চলার। সেই নির্দেশকে তোয়াক্কা না করেই আজ চন্দ্রকোনা দুই নম্বর ব্লকের দুই জায়গায় একই সময়ে ভারতীয় সেনা জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানাতে দুটি মিছিল হয়েছে।
আরও পড়ুন, চাকরিহারাদের পাশে দিলীপ, ‘মমতা নিজেই আন্দোলন করে জিতে এসেছেন,সত্যকে দাবানোর চেষ্টা হলে কী হবে, উনিও জানেন..’
একদিকে তৃণমূলের বিধায়ক অরূপ ধাড়া অন্যদিকে চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি হীরালাল ঘোষের মিছিল। চন্দ্রকোনা দুই নম্বর ব্লকের চন্দ্রকোনা পৌরসভার জয়ন্তীপুর থেকে চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের কালিকাপুর পর্যন্ত বিধায়ক অরূপ ধাড়ার নেতৃত্বে মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি, কেশপুরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী শিউলি সাহা, ডেবরা বিধায়ক হুমায়ুন কবির, দাসপুরের বিধায়ক মমতা ভূঁইয়া-সহ তৃণমূলের একাধিক নেতৃত্ব সহ চন্দ্রকোনা ১ ও ২ নম্বর ব্লকের বিধায়কের অনুগামীরা। কিন্তু মিছিলে উপস্থিত ছিলেন না চন্দ্রকোনা দু’নম্বর ব্লকের ব্লক তৃণমূলের সভাপতি হীরালাল ঘোষ।
অন্যদিকে চন্দ্রকোনার বালা গ্রামে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি হীরালাল ঘোষের নেতৃত্বে ভারতীয় সেনাদের শ্রদ্ধা জানিয়ে মিছিলের আয়োজন করা হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনীর বীরত্বের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে প্রাক্তন সেনা বাহিনী জোয়ানরাও অংশগ্রহণ করেন। তবে দুটি মিছিলে তৃণমূল কর্মীর সমর্থকদের জমায়েত ছিল চোখে পড়ার মত। তবে এই গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতিকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমাকে পাঁচটা দিন সময় দাও দুটো চারটা পাঁচটা দেখতে পাবে না।
তবে এ বিষয়ে ব্লক তৃণমূলের সভাপতি হীরালাল ঘোষ বলেন , আমার মিছিলে ব্লকের দলের সমস্ত নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন, তবে বিধায়কের নেতৃত্বে যে মিছিল হয়েছে সেখানে তিনি ডাক পাননি বলে জানান। তবে প্রয়োজনে সমস্ত বিষয়টি দলকে জানাবেন বলে জানিয়েছেন হীরালাল ঘোষ। তবে যাই হোক চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি বনাম বিধায়ক গোষ্ঠীরদন্ধ দীর্ঘদিনের। এখন দেখার দলের এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কবে মেটাতে পারে? জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
আরও দেখুন