<p><strong>শিবাশিস মৌলিক, কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা:</strong> ভারতের স্থলবন্দর দিয়ে একাধিক বাংলাদেশি পণ্যের আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রক গত শনিবার জানিয়েছে, কেবল মুম্বই এবং কলকাতা বন্দর দিয়ে জলপথে পণ্য ভারতে ঢুকতে পারবে। ফল, তুলো, সুতো, প্লাস্টিকের পণ্য সহ বহু সামগ্রী কোনও স্থলবন্দর দিয়েই বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢুকতে পারবে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের এই পদক্ষেপে ব্য়াপক লোকসানের মুখে পড়েছে ইউনূস সরকার।</p>
<p>[yt]https://youtu.be/bZxieW-Tnlg?feature=shared[/yt] </p>
<p>আরও পড়ুন, <a title="চিপস চুরির অপবাদ সইতে না পেরে আত্মঘাতী ক্লাস সেভেনের পড়ুয়া ! ‘মা আমি চুরি করিনি, কুড়িয়ে পেয়েছিলাম..’, লিখে গেল সে" href="https://bengali.abplive.com/district/maa-i-am-not-a-thief-12-year-old-boy-from-purba-medinipur-dies-by-eating-pes" target="_self">চিপস চুরির অপবাদ সইতে না পেরে আত্মঘাতী ক্লাস সেভেনের পড়ুয়া ! ‘মা আমি চুরি করিনি, কুড়িয়ে পেয়েছিলাম..’, লিখে গেল সে</a></p>
<p>রক্ত ঝরিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছিল ভারত। পরাজিত করেছিল পাকিস্তানকে। পশ্চিম পাকিস্তানের সেনার গণহত্য়ার হাত থেকে পূর্ব পাকিস্তানকে মুক্তি দিয়েছিল। কিন্তু মহম্মদ ইউনূসের আমলে সেই বাংলাদেশেই ভারত বিরোধিতা চরমে। কট্টরপন্থী-মৌলবাদীদের রমরমা। শান্তিতে নোবেলজয়ীর মদতেই অশান্ত হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। ঢাকায় তৎপরতা বাড়াচ্ছে পাকিস্তানি সেনা ও পাক গুপ্তচর সংস্থা ISI.এই পরিস্থিতি পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তানের পর এখন ভারতের মাথাব্য়াথা পূর্ব সীমান্তও।এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে জব্দ করার কৌশল নিয়েছে ভারত।<br /> <br />ভারতের স্থলবন্দর দিয়ে একাধিক বাংলাদেশি পণ্যের আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।ভারতের কোনও স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের রেডিমেড পোশাক ভারতে ঢুকবে না। কেবল মুম্বই এবং কলকাতা বন্দর দিয়ে জলপথে এই পণ্য ভারতে ঢুকতে পারবে। ফল, ফলের স্বাদযুক্ত কার্বনেটেড পানীয়, কেক, চিপ্স বা স্ন্যাক্স, তুলো, সুতো, প্লাস্টিকের পণ্য এবং কাঠের আসবাবপত্র অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা বা মিজ়োরামের কোনও স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে ঢুকতে পারবে না। </p>
<p>পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ি দিয়েও এই পণ্য ঢুকতে দেওয়া হবে না। যার জেরে সঙ্কটে পড়েছেন বাংলাদেশের ব্য়বসায়ীরা। সূত্রের খবর এই পরিস্থিতিতে, অন্তত ৩ মাসের জন্য যেন বিধিনিষেধ স্থগিত করা হয়, ভারতের কাছে তার আর্জি করার জন্য়, মহম্মদ ইউনূস সরকারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের রেডিমেড পোশাক নির্মাতাদের সংগঠন বিকেএমইএ। জলপাইগুড়ির ফুলবাড়ি স্থল বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ভারতে দিনে প্রায় ৪০ টি ট্রাক ঢুকত।তার মধ্যে বাংলাদেশে থেকে ভারতে আসত তুলো-কাপড়-আলু-বিস্কুট-জুস জাতীয় পণ্য।</p>
<p>অন্যদিকে, ভারত থেকে ওপারে যেত বোল্ডার।কিন্তু বিধি নিষেধের পর আমদানি-রফতানিতে ভাটা পড়েছে।একই ছবি ধরা পড়েছে কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্ধা স্থল বন্দরেও।পড়শি রাজ্য ত্রিপুরার ৬টি স্থলবন্দর আগরতলা, শ্রীমন্তপুর, মুহুরীঘাট, সাব্রুম, মনু ল্যান্ড কাস্টমস, রাঘনা দিয়ে এর আগে আমদানি-রফতানি চলত ভারত-বাংলাদেশের।নয়াদিল্লির কড়া পদক্ষেপের জেরে এই সমস্ত সীমান্তেও ব্য়বসা বাণিজ্য়ে প্রভাব পড়েছে। সঙ্কটে পড়েছে বাংলাদেশের ব্য়বসায়ীরা। এর আগে আরও একটি কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত।সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তৃতীয় কোনও দেশে বাংলাদেশি পণ্য রফতানি করতে ব্যবহার করা যাবে না ভারতের কোনও বন্দর বা বিমানবন্দরের শুল্ককেন্দ্র।অর্থাৎ বাংলাদেশকে কার্যত বাণিজ্য বয়কট করে ইউনূসের ওপর চাপ তৈরি করছে নয়াদিল্লি।</p>
Source link
ভারতের স্থলবন্দর দিয়ে একাধিক বাংলাদেশি পণ্যের আমদানি বন্ধ, লোকসানের মুখে ইউনূস সরকার !
