জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মা বাবাকে খুনে অভিযুক্ত হুমায়ুন কবিরের মারে এক পুলিশ কর্মী জখম হলেন।
আগেরদিন বিচারকের কাছে অনেক কথা বললেও সোমবার মুখে কিছু বলতে রাজি হয়নি যাদবপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তনী।
আরও পড়ুন: Memari Shocker: ‘চরম কষ্ট দিতে চেয়েছি, তাই ঘুম থেকে তুলে বাবা-মায়ের গলা কেটেছি!’, হুমায়ুন কি সাইকো?
পুলিসি হেফাজত
বাবা ও মাকে খুনে ধৃত হুমায়ুন কবীর ওরফে আশিকের পুলিসি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সোমবার তাকে ফের বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। সে বিচারকের কাছে কিছুই বলবে না বলে জানায়। বদলে লিখিতভাবে কিছু জানাতে চায়। বিচারকের কাছে তার বয়ান লিখে দেয় সে। সেটি তদন্তকারী অফিসারের হাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তুলে দিয়েছেন সিজেএম বিনোদ কুমার মাহাত।
তবে, এদিন নিজের মেজাজেই ছিল আশিক। তার কাছে থাকা ব্যাগের তল্লাশি করতে যান হাজতের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিস কর্মীরা। সেই সময় এক পুলিসকর্মীকে সে ঘুষি মারে। তড়িঘড়ি তাকে লকআপে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। আদালতের নিরাপত্তা কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
বিচার বিভাগীয় হেফাজত
পরের দিন তাঁকে আদালতে সশরীরে পেশ করা হবে না বলে নির্দেশ দিয়েছেন সিজেএম। বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে ২৩ জুন তাকে ভার্চুয়াল মুডে শুনানিতে হাজির করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। তার হয়ে আইনজীবী নিয়োগ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন সিজেএম। শুনানি শেষ হওয়ার পর কড়া প্রহরায় তাকে সংশোধনাগারে পাঠানো হয়।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিসি হেফাজতে থাকাকালীন আশিক জানিয়েছে, বনগাঁ থানার মামলায় যে দু’টি অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তা দিয়েই সে বাবা-মাকে খুন করে। মেমারি থানার তদন্তকারী অফিসারকে বনগাঁর এসিজেএম আদালতের অনুমতি নিয়ে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র দু’টি পুনরায় বাজেয়াপ্ত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
খুনের দিন
উল্লেখ্য খুনের দিন বিকেলে বাবার সঙ্গে নিজেদের পুকুরে ছিপ নিয়ে মাছ ধরতে গিয়েছিল হুমায়ুন। দু’টি মাছ ধরে আনার পর মাকে তার পছন্দের পদ রান্না করতে বলে। ছেলের ইচ্ছেপূরণ করতে সেটাই করেছিলেন তার মা মমতাজ পারভিন। পেট ভরে খাওয়ার পরই হুমায়ুন তার বাবা ও মাকে নৃশংসভাবে খুনের ছক কষে।
আরও পড়ুন: Memari Shocker: যাদবপুরে বিটেক পড়া মেধাবীই যে বাবা-মাকে ঠান্ডা মাথায় খুন করবে কেউ ভাবেনি! ডিভোর্সই কি…
এক প্রতিবেশী বলেন, ওই সন্ধ্যায় মাছ ধরে বাড়ি ফেরার সময় তাঁদের সঙ্গে দেখা হয়। হুমায়ুন কথা বলেনি। ওর বাবা মোস্তাফিজুর রহমান হাসিমুখে মাথা নেড়েছিল। সে এত বড় কাণ্ড ঘটাতে চলেছে বলে তখনও হুমায়ুনকে দেখে বোঝা যায়নি। পুলিস জানতে পেরেছে, রাতে খাওয়ার পর হুমায়ুনের বাবা ও মা নিজেদের ঘরে ঘুমোতে যান। পাশের রুমে হুমায়ুন ল্যাপটপ দেখছিল। রাত আড়াইটে নাগাদ বাবা ও মায়ের গলায় ছুরি চালিয়ে সে খুন করে!
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)