নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে কেরালার এক মাদ্রাসা শিক্ষককে ১৮৭ বছরের কারাদণ্ড দিল। কোভিড চলাকালীন নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করে কেরালার কান্নুর জেলার ওই মাদ্রাসা শিক্ষক। এর আগে তিনি বারবার জামিনে বেরিয়ে আসে ওই অপরাধী।
মঙ্গলবার তালিপারাম্বার আদালত যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা (পকসো) আইনে এই মামলার শুনানি করে রায় ঘোষণা করেছে। দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি, আলাকোডের বাসিন্দা মুহাম্মদ রফিকে ৯ লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
পুলিশের মতে, ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে এই নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, রাফি মেয়েটিকে আংটি দেখিয়ে তার বিশ্বাস অর্জন করেছিল এবং তারপর বারবার নির্যাতন করেছিল। মামলাটি পাঝায়ানগাদি থানায় দায়ের করা হয়েছিল।
আদালত জানিয়েছে যে রাফি এর আগেও অপরাধ করেছেন। এর আগে ভালাপট্টনম থানায় দায়ের করা আরেকটি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা করা হয়েছিল। নতুন অপরাধ করার সময় সে জামিনে মুক্ত ছিল।
এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে, বেঙ্গালুরুর হেগড়ে নগরের একটি মাদ্রাসায় ১১ বছর বয়সী এক মেয়েকে শারীরিক হেনস্থা করা হয়েছিল। ১৬ ফেব্রুয়ারির সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হোস্টেলের ইনচার্জের ছেলে মোহাম্মদ হাসান, একটি মেয়েকে ধারালো চাকু দিয়ে খোঁচা মারছে এবং লাথি মারছে। তাঁর অপরাধ ছিল সে হোস্টেলে রাতে ভাত খাওয়ার সময় কিছু ভাত ছিটিয়েছিল এবং এই নিয়ে অন্য মেয়েদের সঙ্গে ঝগড়া করেছিল।
হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জুভেনাইল আইনে এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় মামলা করা হয়েছে।