জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশের পর থেকেই একে ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল বিহারে। পরীক্ষায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে এই অভিযোগে বহু চাকরিপ্রার্থী ছুটেছিলেন আদালতে। টাকা বিনিময়ে নিয়োগ দিয়ে মেধাবীদের চাকরি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল আদালতে। এখন দেখা যাচ্ছে সেই অভিযোগ অনেকাংশেই সত্যি। ফলে প্রবল বিপাকে নীতীশ কুমার সরকার। পাশাপাশি যে হাজার হাজার তরুণ তরুণীকে চাকরি দেওয়া হয়েছে তারাও এখন চাকরি হারানোর আতঙ্কে ভুগছেন।
আরও পড়ুন-ছটপুজো উপলক্ষ্যে বস্ত্র বিতরণ, তৃণমূলের কর্মসূচিতে খোদ বিডিও!
ভুয়ো সার্টিফিকেট ও ডিগ্রি দেখিয়ে অনেকে চাকরিতে ঢুকে পড়েছেন। এরকম ২৪,০০০ শিক্ষক শিক্ষিকা এখন চাকরি হারানোর আতঙ্কে ভুগছেন। চাকরির জন্য ইন্টারভিউতে হাজির হয়েছিলেন ১ লাখ ৮৭ হাজার চাকরি প্রার্থী। তদন্তে উঠে এসেছে ইন্টারভিউতে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। অনেকের পড়ানোর কোনও যোগ্যতাই নেই, এমন প্রার্থীকে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত বছর ১-১৩ ডিসেম্বর পরীক্ষায় পাশ করা প্রার্থীদের কাউন্সেলিং হয়। তবে ৪২,০০০ প্রার্থী কাউন্সেলিংয়ের জন্য ডাকই পাননি। আবার ৩০০০ প্রার্থী কাউন্সেলিংয়ে হাজিরই হননি। নিয়োগ হওয়া ১০,০০০ শিক্ষকের বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশনই হয়নি। এখন চাপে পড়ে সরকার বলছে যারা কাউিন্সেলিংয়ের সুযোগ পাননি তারা ছট পুজোর পর সেই সুযোগ পাবেন।
তদন্তে উঠে এসেছে আবাদেন করার সময়ে অনেকে ভুয়ো সার্টিফিকেট জমা দিয়েছিলেন। কাউন্সেলিংয়ে সুযোগ পাওয়া কমপক্ষে ৮০ শতাংশ চাকরিপ্রার্থী পাস করার জন্য ৬০ শতাংশ মার্কসই পাননি। সবেমিলিয়ে চাকরি পেয়েও তা হারাবার ভয়ে কাঁপছেন বহু শিক্ষক শিক্ষিকা।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)