কলকাতা: রাত পোহালেই উচ্চ মাধ্যমিক। সোমবার যাদবপুর-সহ সব বিশ্ববিদ্য়ালয়ে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিল SFI. ‘আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। প্রভাব পড়বে না উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষায়’, দাবি সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের।
এদিন সিপি বলেন, ‘কাল শুরু উচ্চমাধ্যমিক, রাস্তায় যথেষ্ট পরিমাণে পুলিশ থাকবে, পডুয়াদের কোনও অসুবিধা হবে না। কাল কিছু রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি আছে। রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে পড়ুয়াদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার দায়িত্ব পুলিশের। উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়ারা অসুবিধায় পড়লে হেল্পলাইন নম্বর ৯৪৩২৬ ১০০৩৯। যে সব রাজনৈতিক দল কাল কর্মসূচি রেখেছেন, তাঁরা যেন পড়ুয়াদের কথা মাথায় রাখে। কোনও অবস্ট্রাকশন হলে অ্যাকশন নেওয়া হবে। কোনও অসুবিধায় পড়লে ১০০ নম্বরেও ডায়াল করতে পারবে উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়ারা।’
প্রসঙ্গত, গত শনিবার তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপার বার্ষিক সাধারণ সভা ঘিরে তুলাকালম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। শিক্ষামন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ হয়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মধ্যেই শিক্ষামন্ত্রীর গাড়িতে হামলা চালানো হয়। ক্য়ামেরায় এই ছবি ধরা পড়ার পরও ‘গোটা ঘটনা বানানো’ বলে দাবি করছেন তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা ও মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
এদিন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যাদবপুরে এই ঘটনা নতুন নয়, বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে একই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।’ প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে ABVP-র অনুষ্ঠানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে নিগৃহীত হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। বামপন্থী ছাত্রদের বিক্ষোভ, গো ব্যাক স্লোগান। ধাক্কাধাক্কিতে খুলেছিল চশমা। ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছিল জামা। চুলের মুঠি ধরে টান দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ ডাকা নিয়ে বাবুল-উপাচার্য কথা কাটাকাটি হয়েছিল। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন তৎকালীন রাজ্যপাল। মুখ্যসচিবকে করেছিলেন ফোন। যদিও পরে নিজেই গিয়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখ থেকে বাবুল সুপ্রিয়কে বের করে এনেছিলেন রাজ্যপাল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র নিগ্রহের ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল সেবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।
আরও পড়ুন, যাদবপুরকাণ্ডে গুরুতর অভিযোগ ব্রাত্যর ! ‘ওরা শারীরিকভাবে হেনস্থা করতে চাইছিল,..গন্ডগোল করাই লক্ষ্য ছিল?’
ব্রাত্যর সংযোজন, ‘যাদবপুর প্রায় মুক্তাঞ্চলে পরিণত করার চেষ্টা। আমি ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করেছিলাম, চেয়েছিলাম ডেপুটেশন জমা দিক, ওরা দিতে রাজি হল না। ৩০-৪০ জনের একটা গ্যাং ছিল, ওদের চিনি না। এসএফআইয়ের ডেপুটেশন দিয়েছিল, ৪-৫টি অতিবাম কয়েকটি সংগঠন ছিল, তাঁরা বলছিল সবার সঙ্গে একসঙ্গে বসে ডেপুটেশন দিতে হবে, সেটা সম্ভব ছিল না। ওরা শারীরিকভাবে হেনস্থা করতে চাইছিল, টানা অধ্যাপকদের মারধর করেছে। ছাত্র হয়ে অধ্যাপকদের মারছে, এটা দুর্ভাগ্যের।’
আরও দেখুন