NOW READING:
চুক্তির শেষেও দোকান ‘দখল’, খোলা আকাশের নীচে নতুন বরাতপ্রাপ্ত দোকানের ওষুধের ঠাঁই !
June 25, 2025

চুক্তির শেষেও দোকান ‘দখল’, খোলা আকাশের নীচে নতুন বরাতপ্রাপ্ত দোকানের ওষুধের ঠাঁই !

চুক্তির শেষেও দোকান ‘দখল’, খোলা আকাশের নীচে নতুন বরাতপ্রাপ্ত দোকানের ওষুধের ঠাঁই !
Listen to this article


সন্দীপ সরকার, হাওড়া: বকেয়া রয়েছে টাকা। তাই বরাত শেষের পরও হাসপাতালের ন্য়ায্য় মূল্য়ের দোকান দখল করে রাখার অভিযোগ উঠেছে আগের বরাত পাওয়া সংস্থার বিরুদ্ধে। নতুন বরাত পাওয়া সংস্থার দাবি, অভিযোগ জানিয়েও হয়নি সুরাহা। যোগাযোগ করা হলেও ফোন তোলেননি অভিযুক্ত সংস্থার ম্য়ানেজার। 

আরও পড়ুন, দেখে চেনাই দায়, রাস্তায় পড়ে শুধু দেহাংশ, বাঘাযতীনে বাইক চালককে পিষে দিল বেপরোয়া লরি !

সরকারের তরফে মেলেনি বকেয়া টাকা। তাই চুক্তির মেয়াদ শেষের পরেও দোকান দখল করে রাখার অভিযোগ। আর এই পরিস্থিতিতে জাঁতাকলে পড়েছে নতুন বরাতপ্রাপ্ত দোকান। গেটে তালা, তাই খোলা আকাশের নীচে রাখতে হচ্ছে ওষুধ! এই ছবি হাওড়া জেলা হাসপাতালের। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আগে ন্য়ায্য় মূল্য়ের ওষুধের দোকান চালানোর বরাত পেয়েছিল অন্নপূর্ণা মেডিসিন ডিস্ট্রিবিউটর নামে একটি সংস্থা।

গত বছরের নভেম্বরে সেই চুক্তি পায় কোলে মেডিক্য়াল। এই কোলে মেডিক্য়ালের অভিযোগ, পুরনো সংস্থা এখনও জায়গা ছাড়তে নারাজ। গেটে তালা দিয়ে চলে গেছেন তাঁরা। ফলে বিপদে নতুন বরাতপ্রাপ্ত সংস্থা। পর্যাপ্ত জায়গা নেই জিনিসপত্র রাখার। সীমিত জায়গায় কোনও মতে পরিষেবা দিতে হচ্ছে তাঁদের। তাঁদের দাবি, জেলা প্রশাসন থেকে মুখ্য় স্বাস্থ্য় আধিকারিক, কাউকে জানিয়েও হয়নি সুরাহা। পাল্টা অন্নপূর্ণা মেডিসিন ডিস্ট্রিবিউটর সূত্রে দাবি করা হয়েছে, রাজ্য় সরকারের কাছ থেকে প্রায় ৪০ লক্ষ বকেয়া রয়েছে তাঁদের। যতক্ষণ না তা দেওয়া হচ্ছে, জায়গা ছাড়বে না তারা। 

এমনকী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জায়গা খালি করার নির্দেশ দেওয়া হলেও, তাতে বিন্দুমাত্র গুরুত্ব দেননি তারা। হাওড়ার মুখ্য় স্বাস্থ্য় আধিকারিক  কিশলয় দত্ত বলেন, আমাদের প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা হয়েছে। ওদেরকে ফাইনাল ওয়ার্নিং দেওয়া হয়েছে। সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তালা খুলে দেওয়া হয়েছে। জেলাশাসক পুলিশ জানে সেটা. তারা যদি তালা খুলে না দেন, আদালতের থেকে নির্দেশে নিয়ে পুনরায় দখল করা হবে। চল্লিশ লাখ টাকা বাকি. সেটা স্বাস্থ্য় দফতর জানে, সেটা পেয়ে যাবে। বারবার যোগাযোগ করা হলেও অন্নপূর্ণা মেডিসিন ডিস্ট্রিবিউটারের ম্য়ানেজার সোমনাথ চৌধুরী ফোন ধরেনি। 
 



Source link