# Tags
#Blog

কিডনি বিক্রির টাকা স্ত্রীর হাতে দিয়ে সর্বস্বান্ত স্বামী, প্রেমিকের হাত ধরে ঘর ছাড়লেন গৃহবধূ !

কিডনি বিক্রির টাকা স্ত্রীর হাতে দিয়ে সর্বস্বান্ত স্বামী, প্রেমিকের হাত ধরে ঘর ছাড়লেন গৃহবধূ !
Listen to this article



<p><strong>সমীরণ পাল ও সুনীত হালদার, উত্তর ২৪ পরগনা ও হাওড়া:</strong> বিশ্বাস করে নিজের কিডনি বিক্রির ১০ লক্ষ টাকা স্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু টাকা হাতে পেয়েই বদলে গেল স্ত্রী। স্বামীকে কিছু না বলেই প্রেমিকের হাত ধরে ঘর ছাড়ল গৃহবধূ সুপর্ণা বেজ। এখন ভাঙা শরীরে কার্যত নিঃস্ব অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন সাঁকরাইল এর নিজের বাড়িতে। চাইছেন বিশ্বাসঘাতকতার বিচার।</p>
<p>সাঁকরাইলের ধুলোগড় ব্যানার্জি পোলের কাছে বছর আটত্রিশের ব্যক্তি পিন্টু বেজ থাকেন। বছর ১৬ আগে তিনি পাঁচলার গঙ্গাধরপুরে এক বিয়ে বাড়িতে সুপর্ণা বেজের সঙ্গে তার আলাপ হয়। আলাপ থেকে প্রেম হতে বেশি সময় লাগেনি। মাস ছয়েক প্রেম পর্ব চলার পর মন্দিরে গিয়ে দুজনে বিয়ে করেন। তারপর তাদের একটি মেয়েও হয়। কারখানায় কাজ করতো পিন্টু। যা আয় করেন সবটাই সংসারে ব্যয় করেন। মাস কয়েক আগে পিন্টুর স্ত্রী তাকে কিডনি বিক্রির প্রস্তাব দেয়। যাতে সংসারের আর্থিক অনটন থেকে বেরিয়ে আসা যায়। পিন্টু হাতে ১০ লক্ষ টাকা নগদ পাবে এই আশ্বাস পেতেই স্ত্রীর এক কথায় রাজি হয়ে যান।</p>
<p>এরপর প্রথমে হাতে তার হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। গত বছর নভেম্বর মাসে তিনি একটি কিডনি দিয়ে দেন। এর বিনিময় তার স্ত্রীর হাতে নগদ ১০ লক্ষ টাকা তুলে দেয় কিডনির গ্রাহক। পিন্টু বেজে জানিয়েছেন যখন তিনি বাড়িতে বিশ্রামে ছিলেন সেই সময় তার স্ত্রী ডিসেম্বর মাসের ২২ তারিখে বাজারে যাবার নাম করে বাড়ি ছেড়ে চলে যান। ঘরে রেখে যায় তার মোবাইল। এরপর সাঁকরাইল থানায় মিসিং ডায়েরি করে পিন্টু।</p>
<p>দীর্ঘদিন তার খোঁজ না পেলেও পরে সে জানতে পারে ব্যারাকপুরের রবি দাস নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার সামাজিক মাধ্যমে পরিচয় এবং প্রেম হয়। তার স্ত্রী রবির সঙ্গেই থাকছে। পিন্টু এরপর মেয়ে এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে রবির বাড়িতে গিয়ে তাকে ফেরত আনার চেষ্টা করলেও সে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। শেষমেষ তিনি <a title="কলকাতা হাইকোর্ট" href="https://bengali.abplive.com/topic/calcutta-high-court" data-type="interlinkingkeywords">কলকাতা হাইকোর্ট</a>েরও দ্বারস্থ হয়। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয় পিন্টুর স্ত্রী নিজের ইচ্ছায় বাড়ি ছেড়েছে। তাই এই ব্যাপারে পুলিশের বিশেষ কিছু করার নেই।&nbsp;</p>
<p>পিন্টু এখন ভাঙা শরীরে তার ঘরে বেশিরভাগ সময় শুয়ে কাটান। দুর্বলতার কারণে কাজকর্ম করতে পারেন না। তিনি মনে করেন ১৬ বছর তার সঙ্গে থাকার পর স্ত্রী তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তার সমস্ত টাকা-পয়সা এবং গয়না নিয়ে চম্পট দেয়। তিনি চান এর জন্য তার স্ত্রী এবং তার প্রেমিকের শাস্তি হোক। সে যেন ফিরে পায় তার খোয়া যাওয়া টাকা।</p>



Source link

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Review Your Cart
0
Add Coupon Code
Subtotal