সুনীত হালদার, হাওড়া : মর্মান্তিক ! নবান্নর সামনে টোটোর ধাক্কায় মৃত্যু হল এক মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারের। মৃতার নাম নূপুর চট্টোপাধ্যায় (৫২)। তিনি কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন। এই ঘটনায় শিবপুর থানার পুলিশ চালক-সহ পাঁচ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে চালককে গ্রেফতার করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে টোটোটিকে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই মহিলার বাড়ি ডোমজুড়ে। বাড়িতে খবর দেওয়া হলে নার্সিংহোমে ছুটে আসেন তাঁর স্বামী। মর্মান্তিক এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শিবপুর থানার পুলিশ।
কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা ?
আজ দুপুর ২ টো নাগাদ তিনি যখন নবান্নের কাছে সাবওয়ের সামনে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন সেই সময় একটি বেপরোয়া গতির টোটো তাঁকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে। তাতে ওই মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার ছিটকে গিয়ে দেওয়ালে ধাক্কা মারেন। দেওয়ালে তাঁর মাথা ঠুকে যায়। মাথায় গুরুতর আঘাত পান তিনি। রক্তাত্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যান কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুলিশ মহলে। ঘটনার তদন্তে যান হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী সহ কলকাতা পুলিশের পদস্থ কর্তারা।
প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী বলেন, “একটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। আমাদের কলকাতা পুলিশের একজন মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার হেঁটে যাচ্ছিলেন, পিছন থেকে একটা টোটো ধাক্কা মারে। তারপর ওঁকে নার্সিংহোমে নিয়ে আসা হয়েছিল। এখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি যা আইনি প্রক্রিয়া আছে আমরা করছি।”
গতকালই দুই বেসরকারি বাসের মধ্যে রেষারেষির জেরে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানার চড়কতলায়। এসডি- ৮ রুটের একটি বাস অন্য একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে রেষারেষি করছিল বলে অভিযোগ। রেষারেষি করার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে ধাক্কা মারে। বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে আমতলা- বাখরাহাট রোডে। বাসটি শতাধিক যাত্রী নিয়ে বিবিরহাট থেকে যাদবপুর যাচ্ছিল। দুর্ঘটনায় কমবেশি ২৫ জন যাত্রী আহত হন। প্রত্যেককে নিয়ে আসা হয় আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে। ৫ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কলকাতায় রেফার করা হয়। আহতদের দেখতে হাসপাতালে আসেন স্থানীয় সাতগাছিয়ার বিধায়ক মোহন নস্কর। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ির চালক পলাতক।