NOW READING:
শীতেও খামখেয়ালি আবহাওয়া, বারবার বৃষ্টি, উৎপাদন অনেক কম নলেন গুড়ের
December 21, 2024

শীতেও খামখেয়ালি আবহাওয়া, বারবার বৃষ্টি, উৎপাদন অনেক কম নলেন গুড়ের

শীতেও খামখেয়ালি আবহাওয়া, বারবার বৃষ্টি, উৎপাদন অনেক কম নলেন গুড়ের
Listen to this article


সুনীত হালদার, হাওড়া: ফি বছর শীত পড়লেই হাওড়া (Howrah) গ্রামাঞ্চলে খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ শুরু করে শিউলিরা। সেই রস থেকে তৈরি হয় নলেন গুড় এবং পাটালি। আর এই গুড় ব্যবহার করে মিষ্টির কারিগররা তৈরি করেন হরেকরকম মিষ্টি এবং পিঠে। তবে এই বছর আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় শীত সেভাবে জাঁকিয়ে না পড়ায় খেজুর গুড়ের উৎপাদন অনেক কম হয়েছে।

হেমন্তের পর বাতাসে শীতের বার্তা এলে উলুবেড়িয়ার হীরাপুর, বহিরা এবং কালিনগর এলাকার খেজুর গাছগুলো রসে টইটম্বুর হয়ে ওঠে। মোটামুটি অগ্রহায়ণ  থেকে শুরু করে মাঘ মাস পর্যন্ত খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করেন শিউলিরা। প্রত্যেক বছর পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি থেকে এক দল শিউলি উলুবেড়িয়ায় চলে আসেন। প্রতিদিন ভোরবেলায় তাঁরা প্রায় প্রত্যেকেই ৮০টি খেজুর গাছ থেকে মাটির হাঁড়িতে খেজুর রস সংগ্রহ করেন।

তারপর সেই রস বড় কড়া অথবা শালে কাঠ অথবা খড়ের জালে তৈরি করা হয় ঘন নলেন গুড় অথবা পাটালি। তারপর সেই গুড় চলে আসে খোলা বাজারে এবং হাওড়ার বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে। গুড়ের মান অনুযায়ী দাম ঠিক হয়। মিষ্টির দোকানের কারিগররা নলেন গুড় দিয়ে তৈরি করেন সুস্বাদু রসগোল্লা, সন্দেশ, কাঁচাগোল্লা, মোয়া এবং রকমারি পিঠে। তবে এই বছর দেরিতে শীত পড়ায় এবং আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় জাঁকিয়ে শীত না পড়ায় গতবারের তুলনায় রসের সংগ্রহ কম। এমনটাই জানিয়েছেন শিউলিরা।

তাঁরা জানিয়েছেন আগে যেখানে একজন ২৫ কেজি পর্যন্ত গুড় তৈরি করতে পারতেন, এখন সেখানে তা কমে ১৬ কেজিতে দাঁড়িয়েছে। ফলে হাওড়ার গুড়ের চাহিদা মেটাতে অন্য জেলা থেকে আসছে গুড়। প্রতিদিন নদীয়ার বেথুয়াডহরি থেকে গুড় ব্যবসায়ীরা লালগোলা এক্সপ্রেস ধরে ড্রাম ড্রাম গুড় নিয়ে আসছেন শিয়ালদা স্টেশনে। সেখান থেকে ট্যাক্সিতে গুড় চলে আসছে হাওড়া ময়দানে। তারপর তা টোটো করে হাওড়া শহরের সব বড় বড় মিষ্টির দোকানে সরবরাহ করা হচ্ছে। আব্দুল বাশার শেখ নামে নদীয়ার এক ব্যবসায়ী বলেন, “শীতে  ব্যবসা জমে ওঠে। বড় বড় মিষ্টির দোকানে গুড় সরবরাহ করি। তবে শীতে নলেন গুড়ের নানা ধরনের মিষ্টি চাহিদা বাড়ে।”

শুকদেব হাজরা নামে এক শিউলি  জানিয়েছেন, ঠান্ডা যত বাড়বে তত বাড়বে রসের উৎপাদন। গুড়ের স্বাদ এবং গন্ধ দুটোই আরও ভাল হবে। তাই শিউলিরা তাকিয়ে আছেন কবে জমিয়ে ঠান্ডা পড়ে, তার অপেক্ষায়।

আর খাদ্যরসিক বাঙালি অপেক্ষা করছে শীতে তারিয়ে তারিয়ে কবে উপভোগ করবে সুস্বাদু নলেন গুড়ের হরেকরকম মিষ্টি, মোয়া এবং পিঠে।

আরও পড়ুন: সল্টলেক সেক্টর ফাইভে IT কর্মীর রহস্যমৃত্যু, বহুতলের নীচে রক্তাক্ত দেহ !

আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 

 

আরও দেখুন



Source link