সুনীত হালদার, হাওড়া : হাওড়া স্টেশন থেকে প্রচুর পরিমাণে সোনা ও রুপোর গয়না উদ্ধার করা হল। এর পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত করা হয় নগদ টাকাও। RPF-এর হাতে আটক অভিযুক্ত ব্যক্তিকে তুলে দেওয়া হয়েছে আয়কর বিভাগের হাতে।
গতকাল রাতে হাওড়া স্টেশনের ১০ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়েছিল হাওড়া-গয়া এক্সপ্রেস। খবর পেয়ে আরপিএফ জওয়ানরা ট্রেনের A১ কোচের ২৫ নম্বর বার্থের যাত্রী হরিশকুমার ভার্মার ব্যাগ এবং স্যুটকেসে তল্লাশি চালান। তাঁর সুটকেস থেকে উদ্ধার হয় ৭৭০ গ্রাম রকমারি সোনার গয়না, ৩৮৫ গ্রাম রুপোর মুকুট এবং নগদ ৪০ হাজার টাকা। বিহারের ভাগলপুরের এই বাসিন্দাকে গয়নার কাগজপত্র দেখাতে বলা হলে তিনি দু’টি বিল ছাড়া কিছুই দেখাতে পারেননি। উদ্ধার হওয়া গয়নার মূল্য কয়েক লক্ষ টাকা। এরপরই তাঁকে আটক করে আরপিএফ। তাঁর সমস্ত গয়না বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
আজ তাঁকে সমস্ত গয়না সহ ইনকাম ট্যাক্স অফিসারদের হাতে তদন্তের স্বার্থে তুলে দেওয়া হয়েছে।
আগেও সোনা-টাকা বাজেয়াপ্ত !
চলতি বছরেই ফ্রেব্রুয়ারি মাসে বিপুল পরিমাণ সোনা (gold recovery) উদ্ধার হয় হাওড়া স্টেশন (howrah Station) থেকে। ঘটনায় এক জনকে আটক করে আয়কর বিভাগ। ওই ঘটনায় উদ্ধার হওয়া সোনার পরিমাণ ২ কিলোগ্রাম ৬৮০ গ্রাম। বাজারমূল্য় ১ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা।
হাওড়া স্টেশনের ৯ নম্বর প্ল্যাটফর্মে কালো ব্যাগ নিয়ে সন্দেহজনক ভাবে এক ব্য়ক্তিকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন আরপিএফ জওয়ানরা। আরপিএফ সূত্রে জানা যায়, ওই ব্যক্তির ব্যাগে তল্লাশি চালিয়েই বিপুল পরিমাণ সোনা উদ্ধার হয়। আরও জানা যায়, ওই সোনার কোনও বৈধ কাগজপত্র ছিল না। ওজন করলে দেখা যায়, ২ কেজি ৬৮০ গ্রাম সোনা রয়েছে, যার বাজার মূল্য ১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। আটক ব্যক্তিকে হাওড়া জিআরপির হাতে তুলে দেওয়া হয়। ওই ব্যক্তির নাম বিভাস আদক। বয়স ৪২ বছর। বাড়ি হাওড়ার জয়পুরে।
একইভাবে পরের মাসেই হাওড়া স্টেশনে বিপুল টাকা-সহ রাজধানী এক্সপ্রেসের ছয় জন যাত্রীকে গ্রেফতার করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় ৫০ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা। ডাউন নিউ দিল্লি হাওড়া-রাজধানী এক্সপ্রেসে জিআরপি আধিকারিকরা তল্লাশি চালিয়ে ওই ছয় যাত্রীকে গ্রেফতার করেন। তাঁদের কাছ থেকে ৫০ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়।
আরও দেখুন