সুনীত হালদার, হাওড়া: অগ্নিকাণ্ডের জেরে ভষ্মীভূত একের পর এক বাড়ি। আগুন ধরে ক্ষতিগ্রস্ত বাগনানের হ্যাল্যান গ্রামের চারটি বাড়ি। পুড়ে গেছে এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী রেশমা ইয়াসমিনের অ্যাডমিট কার্ড। শঙ্কায় পরীক্ষার্থী। কীভাবে পরীক্ষা দেবে সেটা বুঝে উঠতে পারছে না। ওই পরীক্ষার্থী যাতে পরীক্ষায় বসতে পারে তার জন্য সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে স্থানীয় পঞ্চায়েতে তরফে।
গতকাল রাত দুটো নাগাদ বাগনান থানার অন্তর্গত হ্যাল্যানে একটি বাড়িতে হঠাৎ আগুন লাগে। ওই বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে যাওয়ায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের বাড়িতে। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে বাড়িগুলি। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে এবং আগুন নেভানোর কাজে হাত দেন। খবর দেওয়া হয় দমকলে। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে দমকলের দুটি ইঞ্জিন। প্রায় ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হন এক কিশোরী সহ পরিবারের তিন সদস্য। আহতদের প্রথমে বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর তাঁদেরকে উলুবেরিয়া শরৎচন্দ্র মেডিকেল কলেজে এন্ড হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়। আহতরা হলেন আখতার আলি(৫৪), ইমরান সুলতানা(১৬) এবং রিয়াজুল আলম(৫২)। সেখানে তাঁরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ওই পরিবারগুলির ব্যাংকের পাস বই, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড সহ যাবতীয় কাগজপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এমনকি এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর অ্যাডমিট কার্ড এবং বই পত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় হাল্যান গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছে সাহায্যের আবেদন করে। পঞ্চায়েত প্রধান প্রশাসনের পক্ষ থেকে যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাস দেন। ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী যাতে পরীক্ষায় বসতে পারে তার আশ্বাস দেওয়া হয়।
অন্যদিকে গভীর রাতের আগুনে আলিপুরদুয়ার শহরে ভস্মীভূত একটি বাড়ি-সহ ৭টি দোকান। স্থানীয় সূত্রে খবর, রাত দুটো নাগাদ, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বক্সা রোড লাগোয়া নিউটাউন এলাকায় বিদ্যুতের একটি খুঁটিতে আগুন দেখতে পান এলাকাবাসী। প্রথমে কাঠের তৈরি একটি সাইবার ক্যাফেতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। নিমেষের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে আরও ছ’টি কাঠের দোকান ও একটি বাড়িতে। দমকলের প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই এই আগুন।
আরও পড়ুন: Local Train: যাত্রার একশো বছর, বিশেষ দিনে হাওড়া স্টেশনে অত্যাধুনিক লোকাল ট্রেন উদ্বোধন
আরও দেখুন