<p><strong>সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: </strong>হুগলির হিন্দমোটরে একই পরিবারে রক্তাক্ত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার। মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় মা ও মেয়েকে। উদ্ধার করে বাবাকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। কী কারণে এই ঘটনা ঘটল? তদন্তে নেমেছে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট। প্রাথমিকভাবে অনুমান, নেপথ্যে রয়েছে পারিবারিক অশান্তি। </p>
<p>স্ত্রী মেয়েকে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা স্বামীর। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল হুগলির হিন্দমোটরে। হিন্দমোটর ভদ্রকালী এলাকার একটি বাড়ি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করা হয়।তাদের মধ্যে চার বছরের এক শিশু ও মহিলা মৃত অবস্থায় ঘরে পরে থাকতে দেখা যায়। গৃহকর্তা কাশীনাথ চট্টোপাধ্যায়কে গুরুতর আহত অবস্থায় উত্তরপাড়া স্<a title="টেট" href="https://bengali.abplive.com/topic/tet" data-type="interlinkingkeywords">টেট</a> জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। উত্তরপাড়া থানার পুলিশ স্ত্রী পায়েল চট্টোপাধ্যায় (২৫) ও চার বছরের মেয়ের দেহ উদ্ধার করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধারালো ছুড়ি দিয়ে গলা এবং শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত করা হয়েছে। তদন্তে নেমেছে চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ। পুলিশের ধারণা, এদিন ভোরেই নিজের ঘরে ফল কাটার ছুরি দিয়ে নিজের চার বছরের মেয়ে ও স্ত্রীকে খুন করে নিজে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। এক আত্মীয় মামণি চক্রবর্তী বলেন, "তখন সাড়ে সাতটা বাজে। চা খাব। ওদের কোনও সাড়া পাচ্ছিলাম না। দরজাটা শুধু বন্ধ করাই ছিল, লক ছিল না। দরজা খুলে ডাকতে যাব চা খাবে কিনা। দেখি পড়ে রয়েছে। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি অর্ণব বিশ্বাস বলেন, "একই পরিবারের তিন জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। একজনকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। তদন্ত শুরু হয়েছে।”</p>
<p>কলকাতার ট্যাংরা একই পরিবারের তিন জনের দেহ উদ্ধারের স্মৃতি এখনও টাটকা। সেই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে, অভিযুক্ত দুই ভাই প্রণয় দে এবং প্রসূন দে-কে। ১৮ ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে বাইপাসে অভিষিক্তা মোড়ের কাছে মেট্রোর পিলারে ধাক্কা মারে প্রসূন ও প্রণয় দে-র গাড়ি। সেই সময় সঙ্গে ছিল প্রণয়ের নাবালক পুত্রও। সেই পথ দুর্ঘটনার সূত্র ধরেই ২১/C অতুল শূর রোডের এই চারতলা বাড়ি থেকে হাত ও গলা কাটা অবস্থায় দুই বধূ রোমি ও সুদেষ্ণার দেহ উদ্ধার হয়। বাড়ির ছোট মেয়ে প্রিয়ম্বদাও মৃত অবস্থায় পড়েছিল। সূত্রের খবর, বাড়ির তিন মহিলা সদস্যকে যে তিনিই খুন করেছিলেন বলে স্বীকার করে নেন প্রসূন।</p>
Source link
শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত, স্ত্রী ও মেয়েকে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা!
