শহরের বিবর্তনের ইতিহাসের সাক্ষী, শতাব্দী-প্রাচীন শতাধিক গাছের পরিচয়পত্র তৈরি হচ্ছে চন্দনগরে

Estimated read time 1 min read
0 0
Listen to this article
Read Time:4 Minute, 26 Second



<p><strong>সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দননগর :</strong>&nbsp;এ এক অভিনব উদ্যোগ । ‘স্বীকৃতি’ পেতে চলেছে শহরজুড়ে ছড়িয়ে থাকা শতাব্দী প্রাচীন বহু গাছ। কী রকম ‘স্বীকৃতি’ ? গাছেদেরও এবার থাকবে পরিচয়পত্র। যাতে উল্লেখ থাকবে গাছের বৃত্তান্ত। চমকপ্রদ এই উদ্যোগ দেখা যাবে চন্দননগরে।</p>
<p>ঐতিহাসিক শহর চন্দননগর। সেই শহরের ইমারত যেমন ঐতিহ্যপূর্ণ, ঠিক সেভাবেই শহরের বিবর্তনের ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে একের পর এক গাছ। সেইসব গাছকেই এবার ‘স্বীকৃতি’ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে পরিচয়পত্র। মানুষের সবথেকে নিকট-আত্মীয় শতাব্দী প্রাচীন এইসব গাছ। আর এগুলিকে এবার পরিচয়পত্র দেওয়ার অভিনব কাজ করছে চন্দননগর পুরনিগমের বায়ো ডাইভারসিটি ডিপার্টমেন্ট। চন্দননগরের এইসব পুরনো গাছ ফরাসি আমল থেকে বর্তমান প্রজন্মকে দেখে আসছে। তাই এইসব গাছের জন্য এই অভিনব পরিচয়পত্র তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। <a title="নতুন বছর" href="https://bengali.abplive.com/topic/new-year" data-type="interlinkingkeywords">নতুন বছর</a>ের শুরুতেই দেখতে পাওয়া যাবে গাছের ‘আধার কার্ড’।</p>
<p>চন্দননগর শহরের প্রত্যেকটি গাছের জন্য তৈরি হচ্ছে পরিচয়পত্র। ইতিমধ্যেই গাছের পরিচয় সম্পর্কিত তথ্য নথিভুক্তকরণ ও প্রতিটি গাছের জন্য আলাদা আলাদা কিউআর কোড তৈরি করা হচ্ছে। অভিনব এই পরিচয়পত্র থেকে যে কেউ ফোনে স্ক্যান করে গাছ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য জানতে পারবেন খুব সহজেই। চন্দননগর স্ট্যান্ড ও চন্দননগর চার্চ সহ একাধিক জায়গায় গাছের গায়ে নাম্বারিং করা হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। এগুলি কোন প্রজাতির গাছ, কি তাদের পরিচয় সেই সম্পর্কিত সকল তথ্য পাওয়া যাবে পরিচয়পত্র স্ক্যান করে।</p>
<p>এ প্রসঙ্গে বায়ো-ডাইভারসিটি ম্যানেজমেন্ট বোর্ডের সম্পাদক সোমনাথ চ্যাটার্জি জানান, চন্দননগর মহাবিদ্যালয়ের বোটানি বিভাগ প্রতিটি গাছ আলাদা আলাদা করে শনাক্তকরণ করে কাজ সম্পন্ন করেছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি হচ্ছে একটি কিউ আর কোড। যা স্ক্যান করতে হবে। প্রাথমিকভাবে চন্দননগর পাতাল বাড়ি থেকে স্ট্যান্ড ঘাট ও বড়বাজার লাগো এলাকায় ১৫০-২০০ টি গাছকে এই কিউআর কোড দেওয়া হবে। যাতে মানুষ খুব সহজেই জানতে পারেন গাছ সম্পর্কে।</p>
<p>এ বিষয়ে চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী বলেন, ‘একটা NGO-র সঙ্গে কথা হয়েছে। চন্দননগর শহরজুড়ে গাছের কাউন্টিং হবে এবং কিউআর কোড প্রত্যেকটা গাছে লাগানো হবে। কেউ স্ক্যান করলে গাছের সম্বন্ধে যাবতীয় তথ্য দেখতে পাবেন।’&nbsp;</p>
<p><strong>আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও।&nbsp;<a title="যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে" href="https://whatsapp.com/channel/0029VaCBCh6545uwkeNBg11y" target="_blank" rel="nofollow noopener">যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে</a></strong></p>



Source link

About Post Author

JagoronBarta

জাগরণ বার্তা হল একটি অগ্রণী অনলাইন সংবাদ পোর্টাল যা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে নিরপেক্ষ, সঠিক এবং সময়োপযোগী সংবাদ পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিবেদিত। আমরা এমন একটি প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা বাংলার প্রকৃত কণ্ঠস্বরকে প্রতিফলিত করে এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার গুরুত্বকে তুলে ধরে।
Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
JagoronBarta http://www.jagoronbarta.com

জাগরণ বার্তা হল একটি অগ্রণী অনলাইন সংবাদ পোর্টাল যা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে নিরপেক্ষ, সঠিক এবং সময়োপযোগী সংবাদ পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিবেদিত। আমরা এমন একটি প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা বাংলার প্রকৃত কণ্ঠস্বরকে প্রতিফলিত করে এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার গুরুত্বকে তুলে ধরে।

You May Also Like

More From Author

Average Rating

5 Star
0%
4 Star
0%
3 Star
0%
2 Star
0%
1 Star
0%

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *