জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ২০ বছর, ৩৩৬ ম্য়াচ, ১৫ পদক (অলিম্পিক্স ২, এশিয়াড ৩, কমনওয়েলথ গেমস ২, এশিয়ান চ্য়াম্পিয়ন্স ট্রফি ৫, এশিয়া কাপ ১, চ্য়াম্পিয়ন্স ট্রফি ২)! ভারতীয় হকির সুপারহিরো পারাট্টু রবীন্দ্রন শ্রীজেশ ওরফে পিআর শ্রীজেশ (PR Sreejesh) বর্তমান থেকে হয়ে গিয়েছেন প্রাক্তন। স্মৃতিতেই এখন ‘দ্য গ্রেট ওয়াল অফ ইন্ডিয়া’। আর কখনই ১৬ নম্বর জার্সিতে তেকাঠির নীচে অসাধারণ সব সেভ করতে দেখা যাবে না শ্রীজেশকে। প্যারিস অলিম্পিক্সে (Paris Olympics 2024) দেশকে ব্রোঞ্জ জিতিয়েই শ্রীজেশ আন্তর্জাতিক হকিকে বলেছেন আলবিদা। সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar) ও এমএস ধোনির (MS Dhoni) সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI) ঠিক যে আচরণ করেছিল, হকি ইন্ডিয়াও (Hockey India) ঠিক সেটাই করল। ‘টাইটান’-এর ১৬ নম্বর জার্সিটি তারা অবসরে পাঠিয়ে দিল। ভবিষ্য়তে সিনিয়র দলের আর কারোর গায়ে উঠবে না এই নম্বরের জার্সি।
আরও পড়ুন: অঝোরে কাঁদলেন, উচ্ছ্বাসও করলেন, পদক জিতিয়েই বিদায় বললেন ‘দ্য গ্রেট ওয়াল অফ ইন্ডিয়া’
হকি ইন্ডিয়ার সাধারণ সচিব ভোলা নাথ সিং এক ইভেন্টে বলেছেন, ‘শ্রীজেশের ১৬ নম্বর জাসির্টি আমরা সিনিয়র দলের জন্য় অবসরে পাঠাচ্ছি। তবে আমরা ১৬ নম্বর জার্সিধারীকে অবসরে পাঠাচ্ছি না। শ্রীজেশ এবার জুনিয়র দলের কোচ হচ্ছে। ও এবার জুনিয়র শ্রীজেশ তৈরি করবে। যে এই ১৬ নম্বর জার্সি পরবে।’ কোচ হওয়ার প্রসঙ্গে শ্রীজেশ সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে বলেন, ‘আমি কোচ হতে চাই। এটা নিয়ে আমি সবসময় ভেবেছি। কিন্তু এখন প্রশ্ন আমি কবে কোচ হতে পারি? অবসরের পর পরিবার সবার আগে। আমাকে তাদের সঙ্গে আগে কথা বলতে হবে। এখন তো বউয়ের কথাও একটু শুনতে হবে। আমার কাছে রাহুল দ্রাবিড় দৃষ্টান্ত। যেভাবে উনি জুনিয়রদের নিয়ে কাজ শুরু করে একঝাঁক ক্রিকেটার তৈরি করে তাঁদের সিনিয়র টিমে পাঠিয়েছেন, তা ফলো করার মতো।’
শ্রীজেশ কিন্তু আগামীর পরিকল্পনাও ছকে ফেলেছেন। জুনিয়র দলেরই নয়, তাঁর স্বপ্ন সিনিয়র দলের কোচ হওয়া। শ্রীজেশ বলেন, ‘আমি এই বছর শুরু করব, ২০২৫ সালে, আমাদের জুনিয়র বিশ্বকাপ রয়েছে। আরও দু’বছরের মধ্যে, সিনিয়র দলও বিশ্বকাপ খেলবে। তাই ২০২৮ সালের মধ্যে আমি ২০ বা ৪০ জন খেলোয়াড় তৈরি করতে পারব এবং ২০২৯ সালের মধ্যে, আমি আরও ১৫-২০ জন খেলোয়াড় তৈরি করব এবং ২০৩০ সালের ভিতর প্রায় ৩০-৩৫ জন খেলোয়াড় তৈরি হয়ে যাবে। ২০৩২ সালে আমি প্রধান কোচের পদের জন্য় তৈরি হয়ে যাব। ২০৩৬ সালে ভারত যদি অলিম্পিক্স আয়োজন করে, তাহলে আমি ভারতের কোচ হতে চাইব।’৫০ বছর পর ভারত পরপর দুই অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জিতল। ১৯৭২ সালে ভারতের এসেছিল ব্য়াক-টু-ব্য়াক পদক। ১৯৬৮ সালের মেক্সিকো সিটিতে পাওয়া ব্রোঞ্জ ১৮৭২ সালে মিউনিখে ধরে রেখেছিল ভারত।
আরও পড়ুন: নিয়মেই রয়েছে বিরাট ফাঁক! ‘রুপোলি’ আলো দেখছেন ভিনেশ, আশায় বুক বাঁধছে দেশ
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)