NOW READING:
OBC মামলায় রাজ্যের নতুন বিজ্ঞপ্তিতে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ, আদালতে ফের ধাক্কা রাজ্য সরকারের
June 17, 2025

OBC মামলায় রাজ্যের নতুন বিজ্ঞপ্তিতে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ, আদালতে ফের ধাক্কা রাজ্য সরকারের

OBC মামলায় রাজ্যের নতুন বিজ্ঞপ্তিতে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ, আদালতে ফের ধাক্কা রাজ্য সরকারের
Listen to this article


সৌভিক মজুমদার , কলকাতা: OBC মামলায় হাইকোর্টে ফের ধাক্কা রাজ্য সরকারের। রাজ্যের নতুন বিজ্ঞপ্তিতে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ। ১৪০টি জনজাতিকে নিয়ে রাজ্যের নতুন বিজ্ঞপ্তি । রাজ্যের নতুন বিজ্ঞপ্তিতে ডিভিশন বেঞ্চের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ।’বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্যের ৪-৫টি বিজ্ঞপ্তিতে আদালতের নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে ‘, OBC মামলায় মন্তব্য বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। ‘কেন ২০১২ সালের আইনে সংশোধনী আনলেন না? আপনারা ২০১২ সালের OBC আইন অনুযায়ী অর্ধেক কাজ করেছেন। তারপর আবার ১৯৯৩ সালের আইনে ফেরত গেছেন, এটা কেন?’OBC মামলায় রাজ্য সরকারকে প্রশ্ন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। 

আরও পড়ুন, তেহরান থেকে সরানো হল ভারতীয় পড়ুয়াদের, জরুরি বিবৃতি বিদেশ মন্ত্রকের

কলকাতা হাইকোর্ট যখন তার মূল নির্দেশ এই OBC সংক্রান্ত মামলায় দিয়েছিল, সেই সময় মাননীয় বিচারপতিরা বলেছিলেন এভাবে এর পরবর্তী ক্ষেত্রে সরকারকে পদক্ষেপ করতে হবে। কীভাবে এর পরবর্তী ক্ষেত্রে বিধানসভায় বিল পেশ করতে হবে, এবং সেখানে আইনে সংশোধনী আনতে হবে, সেই গোটা বিষয়টা কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের মূল নির্দেশনামা, সেখানে স্পষ্ট করে বলা ছিল। কিন্তু আজকে কলকাতা হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে এই যে গোটা প্রক্রিয়াটা ছিল, এই গোটা প্রক্রিয়াটাকে, সরকারের তরফ থেকে মান্যতা দেওয়া হয়নি। এবং সেখানে মাননীয় বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, একটা অংশ পর্যন্ত, ২০১২ সালের OBC সংক্রান্ত যে আইন আছে, সেই আইন অনুযায়ী, সরকার পদক্ষেপ করেছে। কিন্তু ২০১২ সালের সেই আইন, পুরোটা তারা কার্যকরী করেনি। এবং সেই আইনে যে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা দরকার ছিল, সেটাও কিন্তু সরকারের তরফ থেকে করা হয়নি। 

অর্ধেক পথ অতিক্রম করে, সেখান থেকে আবারও ১৯৯৩ সালের যে আইন আছে, সেই আইনে তাঁরা ফেরৎ গেছেন। এবং সেখানে ফেরৎ গিয়ে তাঁরা কিন্তু সেই ১৯৯৩ সালের আইন অনুযায়ী, তারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত করেছে।এখানেই কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্ন, একটা প্রস্তাব আনা হল, এবং.. কমিশনের তরফ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হল, সেটার একটা খসড়া তৈরি হল, সেটা বিধানসভায়, পেশ করা হল। এবং তারপরে সেই বিল পাশ করার পরে, ২০১২ সালের আইনে যে সংশোধনী আনা দরকার ছিল, সেটাই কিন্তু এখনও পর্যন্ত সরকারের তরফ থেকে আনা হয়নি। ফলত কলকাতা হাইকোর্ট এখানে মনে করছে যে, যে পদক্ষেপগুলি সরকারের তরফ থেকে করা হয়েছে, এটা কলকাতা হাইকোর্টের মূল যে নির্দেশ ছিল, সেই নির্দেশের পরিপন্থি। সেই কারণেই এই সমস্ত বিজ্ঞপ্তির উপর অর্থাৎ ৮ মে থেকে আজ পর্যন্ত, যে যে বিজ্ঞপ্তি সরকারের তরফ থেকে এই ওবিসি সংক্রান্ত ক্ষেত্রে, অন্যান্য যেকোনও বিষয়ে হতে পারে, সেটা নিয়োগের বিষয়ে হতে পারে, সমস্ত বিষয়ের উপরেই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।

এর পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে যে, এই মামলার যে মূল রায়, সেই রায়ের বিরোধীতায় ইতিমধ্যে সরকার তারা সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে মামলা এখনও বিচারাধীন রয়েছে। আগামী মাসে তার শুনানি হবে। সুপ্রিম কোর্টের চূড়ান্ত নির্দেশের উপর যেমন সরকার তাঁকিয়ে আছে, তার পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের অপেক্ষা করছে। ফলে এই অবস্থায় সরকারের তরফ থেকে যাযা পদক্ষেপ করা হচ্ছে, সেগুলি কলকাতা হাইকোর্টের মূল নির্দেশের পরিপন্থি বলেই মাননীয় বিচারপতিরা মনে করছেন। এবং তার মনে করছেন, কলকাতা হাইকোর্টের যে গাইড লাইন নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছিল, সেই গাইডলাইনকে কোথাও গিয়ে অমান্য করা হচ্ছে। এবং যে বিজ্ঞপ্তি এখনও পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে, সেই বিজ্ঞপ্তিগুলিও কলকাতা হাইকোর্টের মূল নির্দেশের পরিপন্থী।

 



Source link