Bangladesh: চরম বিস্ময়ে সাক্ষী থাকলো গোটা ঢাকা! দাউ দাউ করে জ্বলছে হাসিনার বাড়ি…

Estimated read time 1 min read
Listen to this article


সেলিম রেজা: ভারতে পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তৃতা প্রচার নিয়ে শুরু হয় উত্তেজনা। সেই উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা বুধবার রাতে ঢাকার ধানমন্ডি এলাকার ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। একপর্যায়ে করা হয় অগ্নিসংযোগ। পরে একটি ক্রেন, একটি এক্সকাভেটর ও দুটি বুলডোজার দিয়ে সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িটি।

আরও পড়ুন: Bangladesh: ‘বাংলাদেশের এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী হাসিনার উস্কানিই’! বিস্ফোরক ডা. শফিকুর রহমান…

শুধু ধানমন্ডির বাড়ি নয়, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে শেখ হাসিনার ঢাকার বাসভবন সুধাসদনে। এ ছাড়া ঢাকার বাইরে খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, বরিশাল, সিলেট, রংপুর, ভোলা ও পিরোজপুর জেলায় শেখ হাসিনার আত্মীয় এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িসহ বিভিন্ন ভাস্কর্য-ম্যুরাল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। খুলে ফেলা হয়েছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামফলক।

সরেজমিনে জি ২৪ ঘন্টার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে বুধবার রাত ৮টার পর বিপুল সংখ্যক মানুষ ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে জড়ো হন। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে ছাত্র-জনতার ভিড়। একপর্যায়ে ছাত্র-জনতা গেট ভেঙে ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের তিন তলাবিশিষ্ট বাড়িটির ভেতরে ঢুকে শুরু করে ভাঙচুর। কেউ কেউ লাঠিসোঁটা ও শাবল হাতে ভাঙচুরে অংশ নেন। কেউ কেউ আবার জানালার গ্রিল, কাঠের ফ্রেম ও ফটকের অংশবিশেষ ভেঙে নিয়ে যান।

এ সময় পুরো এলাকা বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত থাকে। ‘দিল্লি না ঢাকা, আবু সাঈদ-মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘জনে জনে খবর দে, মুজিববাদের কবর দে’, ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার’, ‘জিয়ার সৈনিক এক হও লড়াই কর’- ইত্যাদি স্লোগান শোনা যায়।

ভেতরে যখন ভাঙচুর চলছে তখন ভবনটির বাইরে ছিল উৎসুক জনতার ভিড়। তাদের কেউ কেউ বাড়ির সামনের পরিস্থিতি দেখছিলেন, অনেকে মোবাইলে ছবি বা ভিডিও ধারণ করে রাখছিলেন। 

আরও পড়ুন: Bangladesh: ইতিহাস বদলাতে চায় ‘উগ্র’ বাংলাদেশ! বঙ্গবন্ধুর বাড়ি তছনছ, জ্বলল আগুন…

রাত ১১টার দিকে একটি ক্রেন ও একটি এক্সকাভেটর ৩২ নম্বর বাড়ির সামনে উপস্থিত হয়। শুরু হয় বাড়ি ভাঙার কাজ। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ বাড়িটির একপাশ ভাঙা শেষ হয়। রাত ১টার দিকে আনা হয় আরও দুটি বুলডোজার। সেগুলো দিয়ে বাড়িটির পাশে অবস্থিত দুটি স্থাপনা ভাঙা শুরু হয়। একদিকে চলে ভবন ভাঙার কাজ, অন্যদিকে ভবনটির উল্টোপাশে খোলা জায়গায় প্রজেক্টরে দেখানো হয়েছিল জুলাই অভ্যুত্থানের প্রামাণ্যচিত্র। সেখান থেকে মাইকে ঘোষণা দিয়ে বলা হয়েছিল, ‘যাদের ভবন ভাঙার ইচ্ছা আছে, তারা সামনে গিয়ে ভেঙে আসেন। আর এখানে যারা প্রামাণ্যচিত্র দেখতে চান, তাদের সুযোগ করে দেন।’

এই সময় ৩২ নম্বর সড়কের ওপর দুটো পুলিস ভ্যান ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি তেমন চোখে পড়েনি। মধ্যরাতে সেখানে উপস্থিত হন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা। তবে, তারাও একসময় ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

সেখানে উপস্থিত বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা জি ২৪ ঘন্টার বাংলাদেশ প্রতিনিধিকে জানান, মুজিবের বাড়ির শেষ ইটটি গুঁড়িয়ে না দেওয়া পর্যন্ত তারা সেখান থেকে নড়বেন না।

সকাল ৭টা পর্যন্ত চলছিলো ভবন ভাঙার কাজ। ভবনটি পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দিতে আরও সময় লাগতে পারে বলেও জানান তারা। ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙা ছাড়াও বুধবার রাতে ঢাকার ধানমন্ডির ৫ নম্বরে অবস্থিত শেখ হাসিনার বাড়ি সুধাসদনে আগুন দেওয়া হয়। রাত ১টা পর্যন্ত সেখানে আগুন জ্বলছিলো।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকার পতনের ছয় মাস পূর্ণ হয় বুধবার। এর মধ্যে হঠাৎ আওয়ামী লীগ ঘোষণা দেয়, বুধবার রাত ৯টায় নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজে ভার্চুয়াল এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা। যিনি ৫ অগাস্টের পর থেকে ভারতের দিল্লিতে অবস্থান করছেন।

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

JagoronBarta http://www.jagoronbarta.com

জাগরণ বার্তা হল একটি অগ্রণী অনলাইন সংবাদ পোর্টাল যা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে নিরপেক্ষ, সঠিক এবং সময়োপযোগী সংবাদ পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিবেদিত। আমরা এমন একটি প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা বাংলার প্রকৃত কণ্ঠস্বরকে প্রতিফলিত করে এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার গুরুত্বকে তুলে ধরে।

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours