আমদাবাদ: আইপিএলে (IPL 2025) ইতিমধ্যেই চার ম্যাচ খেলা হয়ে গিয়েছে। টুর্নামেন্টের চতুর্থ অন্তিম দুই দল যারা এখনও এক ম্যাচ খেলেনি, তারা একে অপরের বিরুদ্ধে মাঠে নামছে। কারা তারা? তারা হল গুজরাত টাইটান্স ও পাঞ্জাব কিংস (Gujarat Titans vs Punjab Kings)। দুই ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্যই গত মরশুম বেশ হতাশাজনক পারফর্ম করে। যথাক্রমে অষ্টম ও নবম স্থানে শেষ করে তারা। এবার কি ভাগ্য়বদল ঘটবে?
পাঞ্জাব কিংস বিগত এক দশকে আইপিএলের প্লে-অফে পৌঁছতে ব্যর্থ হয়েছে। দলের নাম বদল থেকে কোচ বদল, কোন কিছুতেই লাভের লাভ হয়নি। নতুন মরশুমের আগে প্রীতি জিন্টার দল ফের একবার ঢেলে নিজেদের সাজিয়েছে। সাফল্যের লক্ষ্যে গত বারের আইপিএলজয়ী অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারের পিছনে প্রচুর টাকা ঢেলেছে পাঞ্জাব। তাঁর সঙ্গে কোচ হিসাবে রিকি পন্টিংকে নিয়োগ করা হয়েছে। এই অধিনায়ক-কোচ জুটি এর আগে দিল্লি ক্যাপিটালসকে খেতাব এনে দিতে না পারলেও, ধারাবাহিকভাবে ভালই পারফর্ম করেছিল দল। পাঞ্জাবেও কি এবার সেই সাফল্যের ধারা অব্যাহত থাকবে?
ম্যাক্সওয়েল, স্টোইনিস, ইংলিসদের নিয়ে তৈরি পাঞ্জাব মিডল অর্ডারে বড় রান করার সমস্ত দক্ষতা রয়েছে। অর্শদীপ, যুজবেন্দ্র চাহাল, লকি ফার্গুসনরাও বল হাতে নিজেদের দিনে একাই ম্যাচ জেতাতে সক্ষম। তবে প্রতিপক্ষে যে গুজরাত টাইটান্স। ঘরের মাঠ নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে গুজরাতের রেকর্ড বেশ ভাল। ১৬ ম্যাচ খেলে নয়টিতে জিতেছে গুজরাত। এই মাঠে অধিনায়ক শুভমন গিলের রেকর্ডও ঈর্ষণীয়। মহম্মদ সিরাজ, কাগিসো রাবাদা, ওয়াশিংটন সুন্দর, রশিদ খানদের নিয়ে তৈরি বোলিং আক্রমণে বৈচিত্র এবং দক্ষতা দুইই রয়েছে।
তবে গুজরাতের চিন্তার কারণ হতে পারে দলের টপ অর্ডারের ওপর নির্ভরশীলতা। জস বাটলার, সাই সুদর্শন এবং গিল, তিনজনকে নিয়ে তৈরি টপ অর্ডার বেশ শক্তিশালী। তবে দলে মিডল অর্ডারে ফাঁক ফোকর রয়েছে। গ্লেন ফিলিপ্স আন্তর্জাতিক মঞ্চে বিধ্বংসী ব্যাটার হিসাবে নাম অর্জন করলেও, আইপিএলে তাঁর নিদর্শন নেই বললেই চলে। নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম যেখানে ঐতিহাসিকভাবে হাই স্কোরিং সেখানে এই মিডল অর্ডারের দুর্বলতা গুজরাতের জন্য চাপের হতে পারে। তবে দলের শক্তিশালী বোলিং ব্যাটিংয়ের দুর্বলতা খানিক ঢাকতে পারে কি না, সেটাই দেখার।