Guillain–Barre Syndrome: ছাড় নেই শিশুদেরও, অ্যাডিনোর আতঙ্ক উসকে ভয় ধরাচ্ছে গুলেন বারি! লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত…
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিরল স্নায়ুরোগে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত। পুনের একাধিক হাসপাতালেৃ গুলেন বারি সিন্ড্রোমে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। ৭৩ থেকে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৬৮ জন পুরুষ এবং ৩৩ জন মহিলা। আক্রান্ত হচ্ছে সদ্যোজাতরাও। সদ্যোজাত থেকে ৯ বছর পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১৯। যার মধ্যে ১৪ জন শিশুপুত্র এবং ৫ শিশুকন্যা।
এরপর ১০ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে আক্রান্ত ১৫ জন। ১১ জন কিশোর ও ৪ জন কিশোরী। ২০ থেকে ২৯ বছরের মধ্যে আক্রান্ত ২০ জন। যার মধ্যে আক্রান্ত ১৫ জন যুবক ও ৫ জন যুবতী। ৩০ থেকে ৩৯ বছরের মধ্যে আক্রান্ত ১৩ জন। যার মধ্যে ১০ জন যুবক ৩ যুবতী। ৪০ থেকে ৪৯ বছরের মধ্যে আক্রান্ত ১২ জন। যার মধ্যে ৭ জন পুরুষ এবং ৫ জন মহিলা। ৫০ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে আক্রান্ত ১৩ জন। এর মধ্যে ৬ জন প্রৌঢ় এবং ৭ জন প্রৌঢ়া। ৬০ থেকে ৬৯ বছরের মধ্যে আক্রান্ত ৮ জন। এদের মধ্যে ৫ জন বৃদ্ধ এবং ৩ জন বৃদ্ধা। ৭০ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে আক্রান্ত একজন বৃদ্ধা।
পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচারে মহারাষ্ট্র স্বাস্থ্য প্রশাসনের তরফ থেকে গাইডলাইন জারি করা হয়েছে। গাইডলাইনে জানানো হয়েছে-
১. জল ফুটিয়ে খেতে হবে।
২.টাটকা এবং পরিচ্ছন্ন খাবার খেতে হবে।
৩. সংক্রমণ এড়াতে বেশিক্ষণ রেখে দেওয়া রান্না করা খাবার খেতে নিষেধ করা হয়েছে।
বিরল এই স্নায়ুরোগের প্রাথমিক উপসর্গগুলি খুবই সাধারণ। যেমন হাত-পা দুর্বল হয়ে অসাড় হয়ে যাওয়া। প্রথমে পা দিয়ে শুরু হয়, তারপর হাত ও মুখেও ছড়ায়। সিভিয়ার GBS-এর ক্ষেত্রে কথা বলতে অসুবিধা হয়। খাবার গিলতে অসুবিধা হয়। হতে পারে শ্বাসকষ্টও। এছাড়া ডায়রিয়া ও পেটে ব্যথা হয়। সাধারণত খাবারে বিষক্রিয়া বা দূষিত জল থেকেই হয় এই রোগ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন এইরকম উপসর্গ দেখা গেলে বেশি বেশি গরম জল খেতে হবে। রাস্তায় খোলা খাবার খাবার খাওয়া যাবে না। পেশী দুর্বল হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গেই চিকিত্সকের কাছে যেতে হবে। বিরল GBS-এ ইতিমধ্যেই একজনের মৃত্যু ঘটেছে মহারাষ্ট্রে। শনিবার মহরাষ্ট্রের পুনেতে এই বিরল রোগের প্রথম শিকার এক চ্যাটার্ড অ্যাকাউন্টট্যান্ট। গত কয়েকদিন ধরেই তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
পুনের ডিএসকে বিশ্ব এলাকার বাসিন্দা গ্রামের বাড়ি শোলাপুরে গিয়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন। শরীর খুব দুর্বল হয়ে পড়লে তাঁকে শোলাপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই ব্যক্তি তাঁর হাত-পা নাড়াতে পারছিলেন না। তাঁর ডিবিএস সিন্ড্রোমের চিকিৎসা শুরু করেন চিকিত্সকরা। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পর তাঁকে আইসিইউ থেকে বের করা হয়। কিন্তু তারপরই তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। শেষে তাঁর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন, Mysterious Deaths: বাতাসে অজানা ‘বিষে’ মৃত ১৭, কোয়ারেনটাইনে ২৩০! ফের লকডাউনের আতঙ্ক?
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)