অয়ন শর্মা: পুনেতে ৯ জানুয়ারি থেকে গিয়ান বার সিনড্রোম আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১১ জন। রবিবার পর্যন্ত ১০১1 জন ছিল। ১৭ জন ভেন্টিলেশনে রয়েছেন। এই অবস্থায় গিয়ান বার সিনড্রোম রুখতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকে তরফ থেকে উচ্চ পর্যায়ের মাল্টি ডিসিপ্লানারি টিম গঠন করা হল। ৭ সদস্যের প্রতিনিধিদল তৈরি করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে এই প্রতিনিধি দল।
আরও পড়ুন, Karnataka: অতুলের পর এবার পিটার! ‘ও চেয়েছিল আমি যাতে মরি…’
এদের মধ্যে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি থেকে রয়েছেন তিনজন বিশেষজ্ঞ, ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা। মহারাষ্ট্রে কেন্দ্রীয় দলটিতে ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (এনসিডিসি) দিল্লি, নিমহানস বেঙ্গালুরু, আঞ্চলিক স্বাস্থ্য অফিস থেকে প্রাপ্ত সাত বিশেষজ্ঞের দল তৈরি হয়েছে।
গিয়ান বার সিনড্রোমের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় ইনট্রাভেনাস ইমিউনোগ্লোবিউলিন বা IVIg। এটা বেশ খরচসাপেক্ষ। এর ১ গ্রামের দাম ৮০০০ টাকা থেকে ৩০০০০ টাকা। চিকিৎসায় মোট খরচ হতে পারে ৪ লাখ টাকারও কিছু বেশি। এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে রোগীর প্লাজমা বদলে দেওয়া হয়ে থাকে। এটিও বেশ খরচসাপেক্ষ। খরচ পড়ে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকার মতো।
প্রাথমিকভাবে এই সিনড্রোমকে চিহ্নিত করে রোগীকে পর্যবেক্ষণে রাখা এবং সেই সঙ্গে ইমিউনোগ্লোবিন থেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা করা হচ্ছে। গিয়ান বার সিনড্রোমে আক্রান্ত রোগীর লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা, জ্বর এবং বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া । দূষিত জল বা খাবার খেয়ে জিবিএস সংক্রমিত হতে পারে । সংক্রমণের ফলে রোগীর ডায়রিয়া এবং পেটে ব্যথা হতে পারে।
আরও পড়ুন, Amul Milk Price: সস্তা হল আমূল দুধ, কবে থেকে লাগু হবে নতুন দাম?
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)