NOW READING:
১ লাখ থেকে এবার ৮৫ হাজার ছোঁবে সোনা ? আমেরিকা-চিনের কারণে আসতে পারে বড় ধস
May 17, 2025

১ লাখ থেকে এবার ৮৫ হাজার ছোঁবে সোনা ? আমেরিকা-চিনের কারণে আসতে পারে বড় ধস

১ লাখ থেকে এবার ৮৫ হাজার ছোঁবে সোনা ?  আমেরিকা-চিনের কারণে আসতে পারে বড় ধস
Listen to this article


Gold Rate: সর্বকালের সেরা গতি দেখিয়ে এবার নীচে পড়ছে সোনার দাম (Gold Price)। গ্রাহকদের কাছে যা সত্যিই ভাল খবর। সোনার দামের সাম্প্রতিক অতীত বলছে, এক সময় জিএসটি (GST) মিলিয়ে ১ লাখ টাকা হয়ে গিয়েছিল গোল্ড রেট। যদিও বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীঘ্রই এই দাম ৮৫ হাজার টাকা ছুঁতে পারে। বড় পতন হতে পারে সোনার দামে।   

এখন কত যাচ্ছে সোনার দাম
সম্প্রতি সর্বকালের সর্বোচ্চ ১০ গ্রামের দাম ১ লক্ষ টাকা উঠেছিল, যা এখন ৯২,০০০ টাকার নীচে নেমে গেছে। ১৬ মে এমসিএক্সে সোনার চুক্তি ১ শতাংশেরও বেশি হ্রাস পেয়েছে। মনে করা হচ্ছে যে সোনার দাম কমার সবচেয়ে বড় কারণ, আমেরিকা ও চিনের মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনা হ্রাস। প্রকৃতপক্ষে, উভয় দেশ পারস্পরিক চুক্তির আওতায় ৯০ দিনের জন্য একে অপরের পণ্যের উপর আরোপিত শুল্ক কমিয়েছে। এর ফলে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ বিনিয়োগ অর্থাৎ সোনা থেকে মুখ ফিরিয়ে শেয়ার বাজার বা অন্যান্য সম্পদে বিনিয়োগ করছেন।

শক্তিশালী ডলারও সোনার দাম কমিয়েছে
ডলার সূচক বর্তমানে টানা চতুর্থ সপ্তাহের জন্য শক্তিশালী হচ্ছে, যা অন্যান্য মুদ্ধার তুলনায় সোনাকে ব্যয়বহুল করে তুলছে। যার ফলে এর চাহিদা হ্রাস হচ্ছে। এই কারণেই আন্তর্জাতিক বাজারেও সোনার দাম কমেছে। স্পট সোনার কথা বলতে গেলে মার্কিন বাজারে এটি ৩,২১০.১৯ ডলার প্রতি আউন্সে নেমে এসেছে, যা এই সপ্তাহে প্রায় ৩ শতাংশ হ্রাস দেখায়। এটি ২০২৪ সালের নভেম্বরের পর থেকে সবচেয়ে বড় সাপ্তাহিক পতন।

মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ নীতি স্বস্তি দেয়নি
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্কিন ফেড থেকে সুদের হার হ্রাসের কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না, যার ফলে সোনার বাজারে (সোনা কেনার) উৎসাহ কমে গেছে। যখন সুদের হার কমে না, তখন সোনার আকর্ষণ হ্রাস পায় কারণ এটি বহন খরচ বৃদ্ধি করে।

টেকনিক্যাল চার্ট কী বলছে?
দ্য মিন্টে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, সোনা এখন ৫০ দিনের চলমান গড়ের সীমার নীচের দিকে রয়েছে। যা ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে ধারাবাহিকভাবে সাপোর্ট পাচ্ছিল। যদি এই টেকনিক্যাল সাপোর্ট ভেঙে যায়, তাহলে আরও বড় পতন হতে পারে। একই প্রতিবেদনে বিশ্লেষকরা বলেছেন সোনার দামের ক্ষেত্রে ৩,১৩৬ ডলার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তর। যদি এই স্তর ভেঙে যায়, তাহলে পতন প্রতি আউন্সে ২,৮৭৫–২,৯৫০ ডলারে যেতে পারে।

কিছু বিশেষজ্ঞ বলেছেন, যতক্ষণ সোনা ৯৪,০০০ এর নীচে থাকব ততক্ষণ দুর্বলতা বজায় থাকবে। কিন্তু, যদি সোনা ৮৯,৫০০ এর স্তর ভেঙে যায়, তাহলে পরবর্তী বড় টেকনিক্যাল সাপোর্ট হবে ৮৫,০০০ টাকা।

বিনিয়োগকারীদের কী করা উচিত?
ডলারের পরিপ্রেক্ষিতে সোনার দাম $২,৯৪০ এর সাপোর্ট ও $৩,৩২০ এর রেজিস্ট্যান্সের সম্মুখীন হচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের এই দুটির মধ্যে চলাচলের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। আপনি যদি দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকারী হন, তাহলে এই পতনকে একটি সুযোগ হিসেবে দেখা যেতে পারে। তবে স্বল্পমেয়াদি ব্যবসায়ীদের আপাতত সতর্ক থাকা উচিত। বাজারে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে ও আগামী কয়েক দিন প্রবণতা বিপরীতমুখী হতে পারে। 

( মনে রাখবেন : এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র তথ্যের উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা জরুরি যে, বাজারে বিনিয়োগ করা ঝুঁকি সাপেক্ষ। বিনিয়োগকারী হিসাবে অর্থ বিনিয়োগ করার আগে সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন। ABPLive.com কখনও কাউকে এখানে অর্থ বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেয় না। এখানে কেবল শিক্ষার উদ্দেশ্যে এই শেয়ার মার্কেট সম্পর্কিত খবর দেওয়া হয়।কোনও শেয়ার সম্পর্কে আমরা কল বা টিপ দিই না।)

আরও দেখুন



Source link