<p><strong>বাপন সাঁতরা, গোঘাট:</strong> বাড়ির গোয়ালঘর থেকে ঝুলছে দম্পতির দেহ! রান্নাঘর থেকে ঝুলছেন গৃহকর্তার বৃদ্ধা মা। একই পরিবারের ৩-৩ জনের রহস্যমৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল হুগলির গোঘাটে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। </p>
<p><strong>চাঞ্চল্য ছড়াল হুগলির গোঘাটে:</strong> রোজ সকাল সকাল উঠে পড়তেন যাঁরা, বৃহস্পতিবার সকালে তাঁদেরই মৃতদেহ এক এক করে বের করে আনল পুলিশ। একই পরিবারের ৩-৩ জনের রহস্যমৃত্যু ঘিরে, চাঞ্চল্য ছড়াল হুগলির গোঘাটের শালঝাড় গ্রামে। এদিন সকালে বাড়িতে কারও কোনও সাড়াশব্দ না পাওয়ায় সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। পুলিশকে ডেকে নিয়ে এসে বাড়ির দরজা খুলে ভিতরে ঢুকতেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখতে পান তাঁরা। গোয়ালঘরে ঝুলছে কাশীনাথ নন্দী (৫৪) ও তাঁর স্ত্রী মমতা নন্দীর (৫০) দেহ। আর রান্নাঘরে ঝুলছে কাশীনাথ নন্দীর মা, ৭৫ বছরের অণিমা নন্দীর দেহ। প্রতিবেশী অসিত নেমো জানান, "পাড়ার লোক দেখছে উঠছে না, কেউ কিছু নেই, তারপরে পাড়ার লোক গিয়ে দেখছে এই ব্যাপার। মা ঝুলছে। তারপরে ওদিকে খুঁজছে। ওদিকে পায় না, এরকম করে তাকিয়ে দেখছে যে, গোয়ালের ভিতরে স্বামী-স্ত্রী ঝুলছে। ৩ জন একসঙ্গে (ঝুলছে)।”<br /><br />একই পরিবারের ৩ জন সদস্যের কেন এই পরিণতি? তাঁরা কি আত্মঘাতী হয়েছেন? নাকি মৃত্যুর নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও কারণ? অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে গোঘাট থানার পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে দাবি, মোবাইল গেমের নেশায় প্রচুর টাকা খুইয়ে মাস কয়েক আগে আত্মঘাতী হন দম্পতির ছেলে। তারপর থেকেই মনমরা হয়ে পড়েছিলেন বাবা-মা। তার জেরে বৃদ্ধা মাকে খুন করে আত্মহত্যা কি না, পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রতিবেশী শিল্পা মেদ্দা, বলেন, "ছেলেটা কিন্তু একটা চিঠি লিখে গিয়েছিল যে, মা-বাবা, আমি একটা এর মধ্যে জড়িয়ে গিয়েছি। কিন্তু এটা থেকে আমি রেহাই পাব না। তার জন্যই…তোমাদেরও মারার হুমকি দিয়েছে। ছেলেটা এরকম চিঠিতে লিখে গিয়েছিল।”</p>
<p>এদিকে পয়লা বৈশাখের রাতে পাটুলিতে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল। নিহতের নাম টোটন আইচ, পেশায় অটো চালক। পরিবারের দাবি, পয়লা বৈশাখের রাতে বন্ধুদের সঙ্গে খাওয়ার কথা বলে বাড়ি বেরিয়েছিলেন টোটন। গতকাল সকালে বাড়ি থেকে কয়েকশো মিটার দূরে তাঁকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পরিবারের দাবি, পয়লা বৈশাখের দিন বাঘাযতীন এলাকায় স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে টোটন ও তাঁর দুই বন্ধুর বচসা বাধে। তার জেরে হাতাহাতি, মারামারি হয়। বেধড়ক পেটানোয় টোটনের মৃত্যু হয় বলে পরিবারের দাবি। যাদবপুর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তরা অধরা। </p>
Source link
ছেলের মৃত্যুতে অবসাদ! কেন এই পরিণতি গোঘাটের একই পরিবারের ৩ জনের?
