# Tags
#Blog

গঙ্গাসাগর মেলার ভিড়ের সুযোগে হতে পারে এই ঘটনা !রাজ্য সরকারকে সতর্কবার্তা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের

গঙ্গাসাগর মেলার ভিড়ের সুযোগে হতে পারে এই ঘটনা !রাজ্য সরকারকে সতর্কবার্তা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের
Listen to this article


কলকাতা : গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে বিশাল জমায়েত হবে। সেই ভিড়ের সুযোগ নিয়েই উপকূলবর্তী সীমানা দিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলার সাগর হয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতে পারে বাংলাদেশিরা। কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাছ থেকে এমনই সতর্কবার্তা পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সংবাদ সংস্থা IANS সূত্রে এমনই খবর। এই তথ্য পাওয়ার পরেই নিরাপত্তার বিষয়ে তৎপরতা শুরু করে দেয় সুন্দরবন জেলা পুলিশ। কারণ, তাদের অধীনেই পড়ে সাগর দ্বীপ। উপকূলের প্রবেশ পথ থেকে গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গন পর্যন্ত তারা নিরাপত্তা বাড়ানোর নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত নিয়ে তারা। 

জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “সাগর দ্বীপে যাওয়ার দুটি উপকূলীয় প্রবেশপথ হল- কাকদ্বীপের লট নম্বর ৮ ও নামখানার চেমাগুড়ি। গঙ্গাসাগর মেলায় প্রায় ১৩ হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হবে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার পর আমরা এই দুই পয়েন্টে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”  সাগর দ্বীপের নিকটস্থ উপকূলীয় জলপথে ক্রমাগত টহলদারি চালাবেন কোস্টাল পুলিশ ডিভিশনের কর্মীরা।

এর পাশাপাশি গঙ্গাসাগর মেলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীও। এ বছর গঙ্গাসাগর মেলা চলার কথা ৮ জানুয়ারি থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। মকর সংক্রান্তির পুণ্য স্নানের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ জানুয়ারি সকাল ৬টা ৫৮ মিনিট থেকে পরের দিন একই সময় পর্যন্ত। মকর সংক্রান্তির পুণ্য স্নানের দিনেই বরাবর সবথেকে বেশি ভক্তের জমায়েত হয়। এদিকে জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, এই উপলক্ষে সাগর দ্বীপে ইতিমধ্যে ১১৫০ সি সি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিক বলেন, “বাংলাদেশের অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ঠেকানোর পাশাপাশি বাৎসরিক অনুষ্ঠানও যাতে শান্তিপূর্ণভাবে হয় তা নিশ্চিত করাও লক্ষ্য থাকবে। সেই কারণে আমরা এই বছরে অতিরিক্ত সতর্কতা গ্রহণ করেছি। সাধারণত, প্রতি বছরই গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। যদিও এবার অতিরিক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কারণ, এই সময়ে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে বলে বার্তা এসেছে। প্রতিবেশী দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই এই ঘটনার আশঙ্কা করা হয়েছে।”

এই আবহে এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে মুড়িগঙ্গায় ড্রেজিং, বাড়ানো হচ্ছে গভীরতা। যাতে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত লঞ্চে লোক যাতায়াত করতে পারবে। মেলা উপলক্ষে ২ হাজার ২৫০টি বাসের ব্যবস্থা থাকছে। মেডিক্যাল এমার্জেন্সির জন্য থাকবে কপ্টার অ্যাম্বুল্যান্স। পাশাপাশি গঙ্গাসাগরে থাকছে ৩টি স্থায়ী হেলিপ্যাড। এবছর প্লাস্টিকবর্জিত গ্রিন গঙ্গাসাগর মেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কাল থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে মেলা। আগামী মঙ্গলবার সকাল ৬.৫৮ মিনিট থেকে পরদিন সকাল ৬.৫৮ পর্যন্ত মকর সংক্রান্তি থাকবে। 

আরও দেখুন



Source link

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Review Your Cart
0
Add Coupon Code
Subtotal