নয়াদিল্লি : প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সময়কালে ভারত-কানাডা সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল। কিন্তু, এবার কি উভয় দেশের সম্পর্কের উন্নতি হবে ? কারণ, কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চলতি মাসেই G7 সম্মেলনে যোগ দিতে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আগামী ১৫ জুন থেকে ১৭ জুন বসবে সম্মেলনের আসর। তাতে শামিল হতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন মোদি। এদিন এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী তাঁকে ফোন করেছিলেন। দুই দেশ পারস্পরিক শ্রদ্ধার সঙ্গে “নতুন উদ্যমে” একসঙ্গে কাজ করবে।
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “কানাডার প্রধানমন্ত্রীর ফোন পেয়ে আনন্দিত। সাম্প্রতিক নির্বাচনী জয়ের জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছি এবং চলতি মাসেই কানানস্কিসে G7 সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছি। মানুষে মানুষে গভীর সম্পর্কে আবদ্ধ প্রাণবন্ত গণতন্ত্র হিসাবে, ভারত এবং কানাডা পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং অভিন্ন স্বার্থের দ্বারা পরিচালিত নতুন উদ্যমে একসঙ্গে কাজ করবে। শীর্ষ সম্মেলনে আমাদের সাক্ষাতের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।”
Glad to receive a call from Prime Minister @MarkJCarney of Canada. Congratulated him on his recent election victory and thanked him for the invitation to the G7 Summit in Kananaskis later this month. As vibrant democracies bound by deep people-to-people ties, India and Canada…
— Narendra Modi (@narendramodi) June 6, 2025
সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক ইস্যুতে বিরোধ দেখা দিয়েছে ভারত-কানাডার সম্পর্কে। যার মধ্যে মূল বিষয় ছিল- খলিস্তানি সমস্যা। খলিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যা নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভারত-কানাডার সম্পর্ক। প্রাথমিকভাবে কানাডায় এক গুরুদ্বারের বাইরে খলিস্তানি নেতা নিজ্জরকে গুলি করে হত্যা করে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী। এই ঘটনার পিছনে ভারতের হাত রয়েছে বলে সরাসরি অভিযোগ করেছিলেন ট্রুডো। তবে পরে জাস্টিন ট্রুডো স্বীকার করে নেন যে, খলিস্তানি জঙ্গি হত্যায় ভারতের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছিলেন সেই সংক্রান্ত কোনও তথ্য প্রমাণ ছিল না।
আর এরপরই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল ভারত। কানাডার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের টানাপড়েনের জন্য ট্রুডোর ঘাড়েই দায় চাপায় নয়াদিল্লি। ভারত কানাডার সম্পর্ক তলানিতে আসার মূলে রয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো। বিদেশমন্ত্রকের তরফে ট্যুইটে বলা হয় এমনটাই।
ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়, আমরা প্রথম থেকেই নিশ্চিত করে বলে এসেছি কানাডা ভারত এবং ভারতীয় কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে যে গুরুতর অভিযোগগুলি বেছে নিয়েছে তার সমর্থনে আমাদের কাছে কোনও প্রমাণ উপস্থাপন করেনি। ভারত-কানাডা সম্পর্কের যে ক্ষতি করেছে তার দায়ভার শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর উপর বর্তায়।