জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এতদিন ছিল দুর্নীতির অভিযোগ। এবার খুন ও ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার করা হল আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। একইসঙ্গে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হলেন টালা থানার তত্কালীন ওসি অভিজিত্ মণ্ডল। তাদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাট ও ইচ্ছাকৃতভাবে দেরিতে এফআইআর করার অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন-মমতার তিনবারের চেষ্টাও বিফল, ভেস্তে গেল কালীঘাটের বৈঠকও
শনিবার সিবিআইয়ের তরফে শিয়ালদহ আদালতে তোলার জন্য প্রেয়ার দেওয়া হয়। তার পরেই জানা যায় সিবিআইয়ের তরফ থেকে সন্দীপ ঘোষকে আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিত্সকের খুন ও ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। সিবিআইয়ের দাবি, আরজি কর কাণ্ডে সন্দীপ ঘোষ ইচ্ছাকৃতভাবে অন্যান্যদের সঙ্গে মিলে ওই চিকিত্সকের মৃত্যু দেরিতে ঘোষণা করেন। এফআইআর দেরিতে রেজিস্টার করা হয় যাতে ওই ঘটনায় সাক্ষ্য প্রমাণ নষ্ট করা যায়। পরিকল্পিতভাবেই দেরি করা হয়েছে।
সিবিআইয়ের আরও অভিযোগ, ঘটনার সঙ্গে যদি আরও কেউ জড়িত থাকে তাহলে তাদের আড়াল করার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে টালা থানার ওসি অভিজিত্ মণ্ডলকে। সিবিাইয়ের দাবি, দেরিতে এফআইআর করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ লোপাট হয়েছে। যে এফআইআর করা হয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে সুপ্রিম কোর্টেও। গোটা কাণ্ডটি করা হয়েছে অসত্ উদ্দেশ্য নিয়ে। প্রসঙ্গত, এনিয়ে আরজি কর কাণ্ডে গ্রেফতারির সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল তিন।
সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারির খবর স্বাস্থ্যভবনে আন্দোলনকারী ডাক্তাররা উল্লাসে ফেটে পড়েন। তাদের বক্তব্য আরজি করের চিকিত্সকের খুন ও ধর্ষণকাণ্ডে সন্দীপ ঘোষ প্রমাণ লোপাট করেছেন তা আমরা বারবার বলে আসছি। দাবি করে আসছি যারা তথ্যপ্রমাণ লোপাটে যুক্ত তাদের গ্রেফতার করা হোক। আমাদের বিশ্বাস যারা তথ্যপ্রমাণ লোপাটে জড়িত তাদের শাস্তি হবে।
উল্লেখ্য, গত ৯ অগাস্ট আরজি করের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় এক তরুণী চিকিত্সকের মৃতদেহ। প্রথমে ওই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়া হয়। পরে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ওঠে। চিকিত্সকের বাবা-মা হাসপাতালে এলেও তাদের প্রায় তিন ঘণ্টা দেখতে দেওয়া হয়নি। এনিয়ে হাসপাতালের বিরুদ্ধে তারা বহু অভিযোগ করেছেন। এর পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে তত্কালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ভূমিক নিয়ে। পরে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ উঠে আসে। মেডিক্যাল ওয়েস্ট পাচার, মৃতদেহ পাচারের মতো অভিযোগ ওঠে। টানা পনের দিন জেরা করার পর সিবিআই গ্রেফতার করে সন্দীপ ঘোষকে। বিভিন্ন জায়গায় তার বাড়ি, তার ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। এবার তার নাম যুক্ত করা হল চিকিত্সক খুন ও ধর্ষণের মামলায়। ফলে আরও বিপাকে পড়ে গেলেন সন্দীপ।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)