মোহালি: ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন যোগরাজ সিংহ (Yograj Singh)। বিশ্বজয়ী প্রাক্তন ভারতীয় অলরাউন্ডার যুবরাজ সিংহের বাবার মতে ২০১১ ওয়ান ডে বিশ্বকাপের পরই নির্বাচকরা সাতজন সিনিয়র ক্রিকেটারের কেরিয়ার নষ্ট করতে চেয়েছিলেন। ২০১১ ওয়ান ডে বিশ্বকাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ২৮ বছর পর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নেতৃত্বে খেতাব জেতে টিম ইন্ডিয়া।
২০১১ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে খেলা চারজন প্লেয়ার মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, বিরাট কোহলি ও সুরেশ রায়না পরের ওয়ান ডে বিশ্বকাপেও খেলেছেন। যোগরাজ বলছেন, ”বিসিসিআই নির্বাচকর কমিটি ২০১১ বিশ্বকাপের পরই কয়েকজন প্লেয়ারের কেরিয়ার নষ্ট করে দিয়েছিল। গৌতম গম্ভীর, যুবরাজ সিংহ, হরভজন সিংহ, জাহির খান, মহম্মদ কাইফ, ভিভি এস লক্ষ্মণ ও রাহুল দ্রাবিড়। এই কয়েকজন প্লেয়ারকে সরিয়ে দিয়েছিল নির্বাচক কমিটি। ২০১১ বিশ্বকাপের পর দলের ছন্দ নষ্ট করে দিয়েছিল নির্বাচকমণ্ডলী।”
শুধু এখানেই থেমে থাকেননি যোগরাজ। ২০১২ সালে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর ধোনিকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টাও করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। যোগরাজ বলছেন, ”আমরা ইংল্যান্ডে ও অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজ হেরেছিলাম। ধোনির নেতৃত্বে পাঁচটি সিরিজ হেরেছিলাম। সেই সময় মহিন্দর অমরনাথ নির্বাচক ছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন ধোনিকে দল থেকে সরিয়ে দিতে। তবে বোর্ড সভাপতি এন শ্রীনিবাসনের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত ধোনিকে সরানো হয়নি।”
কিছুদিন আগেই বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার অবসর ঘোষণার পরও মুখ খুলেছিলেন যোগরাজ সিংহ। যুবরাজের বাবা মনে করেন বিরাট ও রোহিতের মধ্যে আরও অনেক ক্রিকেট বাকি ছিল। তিনি বলছেন, ”আমার মনে হয় বিরাট ও রােহিতের মধ্যে আরও অমেক ক্রিকেট বাকি ছিল। আমি যুবিকেও বলেছিলাম যে এটা একেবারেই সঠিক সময় ছিল না অবসর নেওয়ার। বিরাটের হয়ত মনে হয়েছিল যে ওর ক্রিকেট থেকে আর কিছু পাওয়ার নেই।” রোহিতের ফিটনেস নিয়ে অবশ্য যোগরাজ যে সন্তুষ্ট ছিলেন না, তা তাঁর কথাতেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। যোগরাজ বলছেন, ”আমার মনে হয় রোহিতের এমন একজন ব্যক্তির সান্নিধ্য দরকার যে তাঁকে প্রতিদিন সকাল ৫টায় ঘুম থেকে উঠিয়ে দৌড় করাবেন। রোহিত ও বীরেন্দ্র সহবাগ যে মানের প্লেয়ার, তাতে তাঁরা অনেক আগেই অবসর নিয়ে নিয়েছে।”