জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভারতের ছাড়া জলে ভেসে গিয়েছে বাংলাদেশ! এই মর্মে একটি খবর প্রকাশিত হতেই তা নিয়ে দুই বাংলায় প্রচুর সমালোচনা হয়েছে। এমনকী, বাংলাদেশে এই বন্যার প্রতিবাদে সেখানে ভারতবিরোধী মিছিলও করেছেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু দেরিতে হলেও বাংলাদেশের এই বন্যা নিয়ে ‘ক্লারিফিকেশন’ মিলল। জানা গেল, গুমতি নদী থেকে জল ছাড়ার জন্য বাংলাদেশের এই বন্যা হয়নি। এর অর্থ, ভারত এজন্য কোনও ভাবেই দায়ী নয়। জানিয়ে দিল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক।
আরও পড়ুন: Tropical Cyclone: আরজি কর ঝড়ের মধ্যেই আর এক নতুন ঝড়! দুর্দান্ত এক হারিকেন ছুটে আসছে সুদূর সমুদ্র থেকে…
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে ত্রিপুরায় (Tripura)। গত মঙ্গলবার আবহাওয়া দফতরের তরফে জানা গিয়েছিল, ত্রিপুরায় ক’দিন ধরেই ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। আরও দু’দিন ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। তখনই বাংলাদেশের (Bangladesh) মধ্যাঞ্চল এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে নিম্নচাপের প্রভাবে এমন ভারী বৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। এই বৃষ্টির কারণেই চারটি নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর সেই কারণেই প্রায় ৬০০০ পরিবার নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই বন্যার জেরে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন ২ জন। তখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, বন্যার কারণে ডুম্বুর জলবিদ্যৎ প্রকল্পের বাঁধ খুলে দেওয়া হয়েছে আর সেই কারণেই জল ঢুকছে বাংলাদেশে।
তবে, পরবর্তী অনুসন্ধানে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঠিক তেমন নয়। বাংলাদেশের পূর্ব সীমান্ত অঞ্চলের এই বৃষ্টির জন্য ত্রিপুরার গুমতি নদীর ক্যাচমেন্ট-অঞ্চলকেই দায়ী করা হয়েছে। গুমতি নদী ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে বয়। এই নদীর বিস্তৃত ক্যাচমেন্ট অঞ্চলে কদিন ধরে বিপুল বৃষ্টি হয়েছে। আর তারই জেরে প্লাবিত হয়েছে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ভারত ডুম্বুর বাঁধের জল ছাড়ায় বাংলাদেশে বন্যা হয়েছে– এই তথ্য অসত্য বলেই বলছে সংশ্লিষ্ট মহল।
আরও পড়ুন: Kolkata Doctor Rape And Murder Case: ‘বিনীতের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ’ করবে শীর্ষ আদালত? ‘পুলিস কমিশনারকেও জেরা করা’ উচিত?
ডুম্বুর বাঁধ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে যথেষ্ট দূরে– ১২০ কিলোমিটার। এই বাঁধটি লো হাইট ড্যাম– প্রায় ৩০ মিটার উচ্চতার। দুই দেশই এখান থেকে শক্তি উৎপন্ন করে। এই বাঁধে তিনটি ‘ওয়াটার লেভেল অবজার্ভেশন সাইট’ আছে– আমারপর, সোনামুড়া ও সোনামুড়া-২। এই অঞ্চলে কদিন ধরেই বিপুল বৃষ্টি হয়েছে। সব চেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে ২১ অগাস্ট। অল্পসময়ে নদীতে ও নদীর ক্যাচমেন্ট অঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় জল বেড়ে যায়। এবং বাঁধ থেকে আলাদা করে জল ছাড়ার কোনও ঘটনা না ঘটা সত্ত্বেও যেন মনে হয় ডুম্বুর বাঁধ থেকে জল ছাড়া হয়েছে!
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)