RBI : জল্পনা চলছিল অনেকদিন ধরেই। এবার সেই জল্পনায় পড়ল সিলমোহর। এখন থেকে অনলাইন বিজনেস প্লাটফর্ম ফ্লিপকার্টেও আপনি পাবেন ঋণের সুবিধা। সরাসরি এই লোন (Loan) দিতে পারবে ই-কমার্স প্লাটফর্ম (E-commerce Platform)।
কী সুবিধা পাবেন গ্রাহক
রয়টার্সের এক প্রতিবেদন অনুসারে, ফ্লিপকার্ট ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই) থেকে ঋণ দেওয়ার লাইসেন্স পেয়েছে। এর ফলে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মটি তার প্ল্যাটফর্মে গ্রাহক ও বিক্রেতাদের সরাসরি অর্থ ধার দিতে পারবে।
ভারতের প্রথম ই-কমার্স NBFC
রিজার্ভ ব্য়াঙ্কের এই অনুমতির ফলে ফ্লিপকার্ট প্রথম ভারতীয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠল, যার একটি নন-ব্যাঙ্কিং ফিন্যান্স কোম্পানি (এনবিএফসি) লাইসেন্স থাকল, যা সংস্থাকে ঋণ দেওয়ার অনুমতি দেয়, তবে আমানত গ্রহণ করার সুবিধা দেয় না। বর্তমানে, প্ল্যাটফর্মগুলি ঋণ দেওয়ার জন্য ব্যাঙ্ক ও নন-ব্যাঙ্কিং ঋণদাতাদের সঙ্গে অংশীদারিত্বের উপর নির্ভর করে।
আরবিআই ফ্লিপকার্ট ফিন্যান্সকে এনবিএফসি লাইসেন্স দিয়েছে
রয়টার্সের মতে, আরবিআই ১৩ মার্চ ফ্লিপকার্ট ফিন্যান্স প্রাইভেটকে রেজিস্ট্রেশনের একটি শংসাপত্র জারি করেছে। আনুষ্ঠানিকভাবে একে একটি নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক সংস্থা (এনবিএফসি) হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। রয়টার্স সার্টিফিকেটের একটি ফটোকপি ও কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের অনুমোদন পত্র ইতিমধ্যেই পর্যালোচনা করে দেখেছে। এই অনুমতিপত্র অনুসারে, ফ্লিপকার্ট এখন ঋণ দিতে পারলেও, লাইসেন্সটি জনসাধারণের কাছ থেকে আমানত গ্রহণ করার অনুমতি দেয় না।
ফ্লিপকার্ট কয়েক মাসের মধ্যে ঋণ দেওয়া শুরু করার পরিকল্পনা করছে
মার্কিন রিটেল জায়ান্ট ওয়ালমার্টের মালিকানাধীন ফ্লিপকার্ট ২০২২ সালে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছিল। রয়টার্স এই বিষয়ে অবগত একটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে , আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ফ্লিপকার্ট তার ঋণ দেওয়া কার্যক্রম শুরু করতে পারে।
চূড়ান্ত লঞ্চের সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে মূল ম্য়ানেজমেন্ট কোম্পানির নিয়োগ, একটি বোর্ড গঠন ও তার ব্যবসায়িক পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার মতো বেশ কিছু অভ্যন্তরীণ পদক্ষেপ সম্পন্ন করার উপর। “ই-কমার্স জায়ান্ট কয়েক মাসের মধ্যে তার ঋণ দেওয়া কার্যক্রম শুরু করতে পারে,” সূত্রটি রয়টার্সকে জানিয়েছে।
ফ্লিপকার্ট ও ফিনটেক অ্যাপ সুপার মানির মাধ্যমে ঋণ দেবে
রয়টার্সের মতে, ফ্লিপকার্ট তার প্রধান ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের পাশাপাশি সুপার.মানি নামক তার ফিনটেক অ্যাপের মাধ্যমে সরাসরি ঋণ দেবে। কোম্পানি গ্রাহকদের পাশাপাশি তার বিক্রেতাদের জন্য ঋণের অফার দেবে।
বর্তমানে, ফ্লিপকার্ট অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক, আইডিএফসি ব্যাঙ্ক ও ক্রেডিট সাইসনের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে ব্যক্তিগত ঋণ দিয়ে থাকে। নতুন লাইসেন্সের মাধ্যমে, ফ্লিপকার্ট আরও লাভজনক সরাসরি-ঋণ মডেলে স্থানান্তরিত হতে সক্ষম হবে।
শোনা যাচ্ছে, অন্যান্য ই-কমার্স প্রতিদ্বন্দ্বীদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহের মধ্যে ফ্লিপকার্ট সরাসরি ঋণ দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছে। এই বছরের শুরুতে অ্যামাজন বেঙ্গালুরু-ভিত্তিক নন-ব্যাঙ্কিং লেন্ডার অ্যাক্সিও অধিগ্রহণ করেছে। তবে, সেই চুক্তিটি এখনও আরবিআইয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
( মনে রাখবেন : এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র তথ্যের উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা জরুরি যে, বাজারে বিনিয়োগ করা ঝুঁকি সাপেক্ষ। বিনিয়োগকারী হিসাবে অর্থ বিনিয়োগ করার আগে সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন। ABPLive.com কখনও কাউকে এখানে অর্থ বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেয় না। এখানে কেবল শিক্ষার উদ্দেশ্যে এই শেয়ার মার্কেট সম্পর্কিত খবর দেওয়া হয়। কোনও শেয়ার সম্পর্কে আমরা কল বা টিপ দিই না।)