<p><strong>কলকাতা:</strong> ফের জাল ওষুধ চক্রের পর্দাফাঁস। কলকাতার ভবানীপুরের পর এবার হাওড়ার আমতা। রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল সূত্রে খবর, ওষুধ জাল হওয়ার বিষয়ে তাদের কাছে অভিযোগ জানায় বহুজাতিক ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা। এরপরই গতবছর ডিসেম্বর মাস থেকে তদন্তে নামে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল।</p>
<p>ফের জাল ওষুধ চক্রের পর্দাফাঁস। এবার হাওড়ার আমতায়। কীভাবে খোঁজ মিলল এই চক্রের? রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল সূত্রে খবর, ওষুধ জাল হওয়ার বিষয়ে তাদের কাছে অভিযোগ জানায় বহুজাতিক ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা। অভিযোগ ছিল, তাঁদের ওষুধ উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি-সহ বিভিন্ন জায়গায় জাল হচ্ছে। পাশাপাশি তাঁদের QR কোড বিভিন্ন জায়গায় ব্লক হয়ে যাচ্ছে। এরপরই গতবছর ডিসেম্বর মাস থেকে তদন্তে নামে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করার যে ২ ব্র্য়ান্ডের ওষুধ নিয়ে অভিযোগ তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপর কনভেন্ট রোডের স্<a title="টেট" href="https://bengali.abplive.com/topic/tet" data-type="interlinkingkeywords">টেট</a> ড্রাগ টেস্টিং ল্য়াবে নমুনা পাঠানো হয়। পরীক্ষায় ওষুধ যে নিম্নমানের তার প্রমাণ মেলে।<br /><br />বৃহস্পতিবার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ডিস্ট্রিবিউটরের গুদামে যান রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল। মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল সূত্রে খবর, আগেও এখানে গেছিলেন তারা। তারা যেখান থেকে ওষুধ কিনেছেন বলে দাবি করেছিলেন, সেটিও ভুল বলে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগকে জানিয়েছে বিহার ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ। ভেজাল ওষুধ রুখতে ২০২২ সালে কেন্দ্রীয় সরকার ৩০০ রকমের কিউআর কোড চালু করে। বাজারে বহুল ব্যবহৃত ৩০০টি ব্র্যান্ডেড ওষুধের ক্ষেত্রে QR কোড ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয় ওষুধের স্ট্রিপে বা বোতলের গায়ে। উলুবেড়িয়া পুরসভার চিকিৎসক স্বপন ঝড়িয়া বলছেন, "প্রেশারের ওষুধ ভেজাল হলে মারাত্মক। কিডনি ড্যামেজ, সেরিব্রাল স্ট্রোকের আশঙ্কা থাকে।”</p>
<p>হাওড়ার আমতায় মান্না এজেন্সি নামের এই ওষুধ সরবহারকারী সংস্থার গোডাউনে হানা দিয়ে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার জাল ওষুধ বাজেয়াপ্ত করল রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল দফতর। উদ্ধার হওয়া জাল ওষুধের মধ্যে বেশিরভাগই হল প্রেশারের মতো ক্রনিক অসুখের। আর এতেই অশনি সঙ্কেত দেখছেন চিকিৎসকরা। রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল সূত্রে খবর, এই এজেন্সির ১ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকার ওষুধের লেনদেনের হদিশ মিলেছে। ফলে বাজারে এখনও ১ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকার ভেজাল ওষুধ রয়ে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় অভিযান চালিয়ে, ওষুধ সরবরাহকারী সংস্থার মালিক বাবলু মান্নাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। ওষুধ সরবরাহকারী সংস্থার গোডাউন সিল করে দেওয়া হয়েছে। যদিও, যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ধৃত ওষুধ ব্যবসায়ী।<br /><br /><strong>আরও পড়ুন: <a title="Nandigram College Chaos: দলীয় পতাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার, ফের সম্মুখ সমরে TMCP ও ABVP" href="https://bengali.abplive.com/district/nandigram-college-chaos-tmcp-and-abvp-again-in-a-face-to-face-battle-over-the-hoisting-of-the-party-flag-1121619" target="_self">Nandigram College Chaos: দলীয় পতাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার, ফের সম্মুখ সমরে TMCP ও ABVP</a></strong><strong><br /></strong></p>
Source link
ফের জাল ওষুধ চক্রের পর্দাফাঁস, কীভাবে মিলল খোঁজ?
