কলকাতা: অভিষেকের হয়ে ব্যাটিং, শিক্ষক নেতাকে বহিষ্কার নিয়ে তৃণমূলেই তোলপাড়! অভিষেকের বিরুদ্ধে দলেরই প্রবীণদের একাংশের চক্রান্তের তত্ত্ব মণিশঙ্করের। নাম না করে মণিশঙ্করের হয়েই প্রবীণদের একাংশকে কটাক্ষ করেছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। এবিপি আনন্দ-কে বিশেষ সাক্ষাৎকার মণিশঙ্করের।
সাংবাদিক: আমাদের সঙ্গে রয়েছেন মণিশঙ্কর মণ্ডল, বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা এবং অধ্যাপক নেতা। দল তো জানিয়ে দিয়েছে ?
মণিশঙ্কর মণ্ডল: না। দলের সুপ্রিম অথরিটি থেকে আমি কোনও চিঠি বা মেল কিছু পাইনি।
সাংবাদিক: এটা কেন হল ? দল বিরোধী কাজ..
মণিশঙ্কর মণ্ডল: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে পোস্ট করা কোনও দল বিরোধীতা নয়। যদি এটা দল বিরোধীতা হয়, এরকম দল বিরোধীতা কাজ আমি আরও করব।আমি মনে করি না এটা অপরাধ। আমি মনে করি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বানিয়েছেন। আমি যদি তাঁর হয়ে প্রশংসা করি, স্তুূতি করি, তাহলে সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তকেই সমর্থন জানানো এবং প্রশংসা করা।আমার যতটুকু ধারণা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে কোনও দূরত্ব নেই। দলের একাংশ নিজেদের ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করবার জন্য, তাঁর বিরুদ্ধে – অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র রচনা করছেন।
সাংবাদিক: দলে বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে ?
মণিশঙ্কর মণ্ডল: একদমই তাই।
সাংবাদিক: ষড়যন্ত্রটা কী ?
মণিশঙ্কর মণ্ডল: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটকানো। তাঁর অশ্বমেধ যোগ্যের ঘোড়াটাকে আটকানো।
সাংবাদিক: কিন্তু তিনি তো সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ?
মণিশঙ্কর মণ্ডল: প্রবীণদের একাংশ, যাদের ব্যক্তিস্বার্থে আঘাত লাগছে , তারাই করছে এই চক্রান্ত।
সাংবাদিক: এতে তাঁদের লাভ কী
মণিশঙ্কর মণ্ডল: রাজনৈতিক লাভ।
আরও পড়ুন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক রেশন দুর্নীতির গঙ্গাসাগর : ED
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও দেখুন