WATCH | ICC Champions Trophy 2025: ‘নিরক্ষর পাকিস্তানিদের হাতে বিশ্বকাপের ললিপপ ধরানো হয়েছে’…
![WATCH | ICC Champions Trophy 2025: ‘নিরক্ষর পাকিস্তানিদের হাতে বিশ্বকাপের ললিপপ ধরানো হয়েছে’… WATCH | ICC Champions Trophy 2025: ‘নিরক্ষর পাকিস্তানিদের হাতে বিশ্বকাপের ললিপপ ধরানো হয়েছে’…](https://i0.wp.com/bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2024/12/26/511345-icc-champions-trophy.png?w=991&resize=991,564&ssl=1)
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আগামী বছর ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ০৯ মার্চ পর্যন্ত পাকিস্তান আয়োজন করবে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy 2025)। ৫০ ওভারের টুর্নামেন্ট শেষবার হয়েছিল ২০১৭ সালে। সেবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান। চার বছর অন্তর এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও, ৮ বছর পর আইসিসি-র ব্য়ানারে ফিরছে এই টুর্নামেন্ট। ভারত প্রথম থেকেই বলে আসছিল যে, আটারির ওপারে কিছুতেই খেলতে যাবে না। যদিও পাকিস্তান ছিল নাছোড়বান্দা। কিন্তু আইসিসি-র চাপে পড়ে শেষ পর্যন্ত পিসিবি (PCB) নতিস্বীকার করে নেয়। আইসিসি গত সপ্তাহে জানিয়ে দেয় যে, পাকিস্তানেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হবে, তবে হাইব্রিড মডেলে খেলা হবে। ভারত-পাকিস্তান খেলবে নিরপেক্ষ দেশ দুবাইয়ে। এর পাশাপাশি পাকিস্তানকে আইসিসি একটি উপহারও দিয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা জানিয়েছে যে, চার বছর পর মেয়েদের টি-২০ বিশ্বকাপ (ICC Women’s T20 World Cup 2028) আয়োজন করবে পাকিস্তান। এবার এই মর্মে বিরাট কথা বলে দিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন স্পিনার দানিশ কানেরিয়া।
দানিশ এক ভিডিয়ো বার্তায় বলেছেন, ‘বিসিসিআই উইন-উইন পরিস্থিতিতেই ছিল। এখানে পাকিস্তানে, লোকেদের বলতে শুনছি যে, আমরা লড়াই করেছি এবং এটি জিতেছি, কিন্তু তারা সব নিরক্ষর। তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে নারী বিশ্বকাপের ললিপপ।’ হাইব্রিড মডেলে দুবাইয়ে খেলার বিষয়ে দানিশের সংযোজন, ‘শুরু থেকেই আমি অনুভব করেছিলাম যে, হাইব্রিড মডেলই একমাত্র সমাধান হবে। কারণ এই পরিস্থিতিতে আর অন্য কোনও বিকল্প নেই। পাকিস্তান বলেছে যে, তারা ভারতে খেলতে যাবে না, তবে সময়ই সেই কথা বলবে। আমাদের দেশ বর্তমানে এক অস্থির পরিস্থিতির মধ্য়ে দিয়ে যাচ্ছে। অন্য দলের সঙ্গে যদি কিছু ঘটে তাহলে কী হবে? তাহলে পুরো টুর্নামেন্ট দুবাইতে স্থানান্তরিত হতে পারে।’
আরও পড়ুন: পিতৃতুল্য বিরাটের সঙ্গেই বিবাদ! সন্তানসম কনস্টাসের হুঙ্কার, ‘পরের ইনিংসেও কিন্তু…’
২০০৯ সালে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের কাছে শ্রীলঙ্কার টিম বাসে বন্দুকধারীরা গুলি চালিয়েছিল। সেই প্রসঙ্গে দানিশ বলেন, ‘প্রত্যেকেরই পারিবারিক উদ্বেগ রয়েছে এবং আমাদের তা সম্মান করা উচিত। বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বিচারে আশা করি যে, টুর্নামেন্টটি হাইব্রিড মডেলের অধীনে সুষ্ঠুভাবে হোক। মজার বিষয় হল, ভারত-পাকিস্তান, দুই দলই যদি ফাইনালে ওঠে তাহলে দুবাইয়ে খেলতে কোথায় সমস্য়া? দুবাইয়ে ফাইনাল খেলতে পারলে, পাকিস্তানে খেলতে কোথায় সমস্য়া! প্রত্যেকের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ আছে। যখনই কোনও দল কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে পাকিস্তানে আসে, তখনই তাদের প্রেসিডেন্ট পর্যায়ের নিরাপত্তা দেওয়া হয়। এটি প্রয়োজনীয় কারণ অতীতে এমন এক ঘটনা ঘটেছে যা পাকিস্তান ক্রিকেট এবং তার খেলোয়াড়দের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করেছে। পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থমকে গিয়েছিল। আপনাকে পরিস্থিতির চাহিদা অনুযায়ী চিন্তা করতে হবে, অহংকারী হয়ে কাজ নয়। ভালো করো, লোকে তোমাকে ভালো বলবে।
দানিশ বলছেন যে, টিম ইন্ডিয়ার জন্য় পাকিস্তানই গলা ফাটাবে। দানিশের বক্তব্য়,’পুরো স্টেডিয়াম এমনকী রাস্তাও লোকে লোকারণ্য হবে। কারণ মানুষ রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি এবং জসপ্রীত বুমরাদের ভক্ত। তরুণ প্রজন্ম এই খেলোয়াড়দের অনুকরণ করছে। পাকিস্তানে ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পুনরুজ্জীবিত হয়েছে। এখন, পাকিস্তানের উচিত অন্য বিষয়ে চিন্তা না করে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে মনোনিবেশ করা। এই টুর্নামেন্ট সফল হলে তা পাকিস্তান ক্রিকেট ও তরুণদের জন্য খুবই উপকারী হবে। এটা পাকিস্তান ক্রিকেটকে আরও চাঙ্গা করবে, কিন্তু এখনও অনেক পথ যেতে হবে।’ এবার দেখার পাকিস্তান কত ভালো ভাবে আইসিসি-র ট্রফি আয়োজন করতে পারে!
সীমান্ত সন্ত্রাস ও রাজনৈতিক চাপানউতোরের জন্য সেই ২০১২ সাল থেকে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ। শেষবার ২০০৮ সালে এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে গিয়েছিল ভারত। এরপর পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, এশিয়া কাপের মতো প্রতিযোগিতায় মুখোমুখি হয়েছে দুই দেশ। খেলা হয়েছে নিরপেক্ষ দেসে। যদিও পাকিস্তান এসেছে ভারতে। ২০২৪ টি-২০ বিশ্বকাপে দুই দেশের শেষবার সাক্ষাত্ হয়েছিল। গতবছর যুগ্মভাবে এশিয়া কাপের আয়োজন করেছিল শ্রীলঙ্কা ও মূল আয়োজক পাকিস্তান। পাকিস্তানে হয়েছিল চারটি ম্যাচ ও দ্বীপরাষ্ট্রে হয়েছিল ন’টি ম্যাচ। ভারত নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গাদের দেশেই খেলেছিল।
আরও পড়ুন: কিংবদন্তি ক্রিকেটারের সান্টা সাজে চমক! চিনতে পারছেন ভুবনজয়ী ভারতীয়কে?
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)