NOW READING:
আবাসের টাকা পেতেই উপভোক্তাদের ফোন TMC নেতার, ‘৬ হাজার টাকা দিতে হবে, পার্টি ফাণ্ডে জমা হবে..’
May 29, 2025

আবাসের টাকা পেতেই উপভোক্তাদের ফোন TMC নেতার, ‘৬ হাজার টাকা দিতে হবে, পার্টি ফাণ্ডে জমা হবে..’

আবাসের টাকা পেতেই উপভোক্তাদের ফোন TMC নেতার, ‘৬ হাজার টাকা দিতে হবে, পার্টি ফাণ্ডে জমা হবে..’
Listen to this article


রাণা দাস, পূর্ব বর্ধমান: বাংলা আবাস প্রকল্পের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পেতেই উপভোক্তাদের টাকা চেয়ে ফোন স্থানীয় তৃণমূল নেতার, বলে অভিযোগ।’ ছ’ হাজার টাকা দিতে হবে,যা পার্টি ফাণ্ডে জমা হবে’ বলে হুমকি। বাড়ি বিক্রি করেও টাকা দিতে হবে। অভিযোগ, উপভোক্তাকে ফোনে হুমকি দিয়ে টাকা চাইছে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী ! ইতিমধ্যে সেই টাকা চাওয়ার ফোনের কথোপকথন প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও এই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করে দেখেনি এবিপি আনন্দ। 

আরও পড়ুন, মোদিজি গঙ্গা, সমুদ্র ; উনি কালীঘাটের নালা, কী লড়বেন ! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণে শুভেন্দু

কাটোয়া ১নম্বর ব্লকের আলমপুর পঞ্চায়েতের বরমপুর গ্রামের ঘটনা। বিডিও কাছে ওই তৃণমূল নেতা সঞ্জয় দাসের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন উপভোক্তা৷ জানা গেছে,ঘরের জন্য প্রথম কিস্তির টাকা আসার পরেও নাকি উপভোক্তাদের কাছে পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী সঞ্জয় দাস বহু জনের কাছ থেকে  ৫ হাজার টাকা করে তোলা আদায় করেছে৷ ফের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ঢুকতেই আবার ৬ হাজার টাকা চেয়ে ফোন।সেই অডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে এসেছে। 

বরমপুর গ্রামের দাসপাড়ার বাসিন্দা চাঁদু দাস। অন্যের জমিতে চাষাবাদ করে তিনি কোনওরকমে দিন গুজরান করেন৷ বাংলা আবাস প্রকল্পে তিনি বাড়ি তৈরির অনুমোদন পেয়েছিলেন৷ প্রথম কিস্তির টাকা পেয়ে বাড়ির পাশেই নিজস্ব জায়গাতে প্রকল্পের বাড়ি তৈরি শুরু করেছেন৷ চাঁদু দাসের অভিযোগ, কয়েকদিন আগেই গ্রামের ৮ নম্বর সংসদের পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যা ভরি দাসের স্বামী সঞ্জয় দাস তাকে মোবাইলে ফোন করেন৷  আবাস প্রকল্পে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা আসার জন্য ৬ হাজার টাকা চান৷ চাঁদু দাস তাঁকে বলেন,’ প্রথম কিস্তির জন্য ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে৷ আবার দ্বিতীয় কিস্তির জন্য ওই টাকা দিতে পারবে না৷ পালটা তৃণমূল নেতা সঞ্জয় দাস ফোনে বলেন, ‘পার্টি ফাণ্ডে’ টাকা দিতে হবে৷ প্রয়োজনে বাড়ি বিক্রি করেও টাকা দিতে হবে৷’ 

চাঁদু দাস এর আরও বক্তব্য, ‘আমি টাকা দেব না বলায় জোরজুলুম বেড়েছে।তাই আমি  প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করতে বাধ্য হয়েছি।এই বিষয়ে অভিযুক্ত,সঞ্জয় দাস অভিযোগ অস্বীকার করে জানাই,মিথ্যা অভিযোগ।ওকে টাকা ধার দিয়েছিলাম,সেই টাকা ফেরৎ চেয়েছি। অভিযুক্ত স্থানীয় তৃণমূল নেতা সঞ্জয় দাসের স্ত্রী পঞ্চায়েত সদস্যা ভরি দাস বলেন,জানিনা কি ঘটেছে।স্বামী যদি টাকা চেয়ে থাকে ভুল করেছে।এই বিষয়ে পঞ্চায়েত প্রধান জানান,বিষয়টি খোঁজ নেওয়া হবে।দোষী হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় বিডিও এই অভিযোগ পত্র এখনো দেখেনি বলে খবর। 

আরও দেখুন



Source link