জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পরপর ভূমিকম্প পৃথিবী জুড়ে। পাকিস্তান, গ্রিস, ইন্দোনেশিয়ার (Earthquakes in Indonesia) পরে এবার দুলে উঠল চিনও (Earthquakes in China)। গতকালই ইন্দোনেশিয়ায় ৫.৯ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। আর আজ, শুক্রবার সকালে কেঁপে উঠল চিন।
কেঁপে উঠল জিন পিংয়ের পায়ের তলার মাটি
আজ, শুক্রবার সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ রিখটার স্কেলে ৪.৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প অনুভূত হল জি জিনপিংয়ের দেশে। সেদেশের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (National Center for Seismology) এই তথ্য দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর মেলেনি। চিনে মাঝেমধ্যেই ভূমিকম্প হয়। কখনও বড়সড় মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পও হয়। তবে, এবার কোনও মৃত্যু ঘটেছে কি না, কতটা ধ্বংসসাধন এই কম্পন করেছে, সেটা এখনও পরিষ্কার জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: Cyclone Shakti: মৌসম ভবন কি ‘শক্তি’ নিয়ে কোনও অ্যালার্ট জারি করেছে? শেষ পর্যন্ত কোন পথে বাংলার উপকূলে ‘সাইক্লোন’? না কি…
আরও পড়ুন: Boycott shah Rukh Khan: কিং খানের মুখে পাকভূমির ঢালাও প্রশংসা! ‘এবার বোঝা গেল, কেন শাহরুখ পাকিস্তান নিয়ে একটা কথাও বলেননি’…
১৩০টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি
জাকার্তার সময় অনুসারে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে এই ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল মালুকু বারাত দায়া রিজেন্সি থেকে ১৮৯ কিলোমিটার, যা প্রায় ১১৭ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে। ভূমিকম্পের গভীরতা সমুদ্রতলের ৫১৫ কিলোমিটার (৩২০ মাইল) নীচে রেকর্ড করা হয়। আসলে প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অফ ফায়ারে’র পাশে অবস্থিত ইন্দোনেশিয়া। এখানে ১৩০টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে। এই বিষয়টিই ইন্দোনেশিয়াকে বিশ্বের সবচেয়ে সক্রিয় ভূমিকম্পের দেশগুলির একটি করে তুলেছে।
এবার কেন্দ্র গ্রিস
একদিন আগে ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল গ্রিস! ৬.১ মাত্রার এক তীব্র ভূকম্পে কেঁপে উঠেছিল গ্রিক সভ্যতার ভূমি। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণের তথ্য অনুযায়ী, কম্পন ঘটেছিল বুধবার ভোররাতে। বোঝার সুবিধার জন্য বলা যায়, মঙ্গলবার (তারিখ যদিও ১৪ মে) গভীর রাতে। ওইদিন রাত ১টা ৫১ মিনিটে নাগাদ, মাটি থেকে ৭৮ কিমি গভীরে এই কম্পন ঘটেছিল। কম্পন অনুভূত হয়েছিল কায়রো, মিশর, ইজরায়েল, লেবানন, তুর্কিয়ে এবং জর্ডনে। গ্রিস আসলে ভূকম্পপ্রবণ একটি এলাকা। এটি অনেকগুলি সক্রিয় চ্যুতিরেখার উপর দাঁড়িয়ে আছে। আথেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসমোলজি ল্যাবরেটরি এক চমকপ্রদ তথ্য দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, ২০২৫ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ১৮ হাজার ৪০০টি লো-ম্যাগনিটিউড কোয়েক অনুভূত হয়েছে এই অঞ্চলে। ভাবা যায়! অঞ্চলটি সাইক্লেডস আর্কিপেলাগোর উপর অবস্থিত। এজিয়ান সমুদ্র-সংলগ্ন।
পাকিস্তানে
পাকিস্তানে এর আগে, রাত ১ টা ৪৫ মিনিট নাগাদ একটা ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের জন্য কেঁপে উঠেছিল পাকিস্তানের মাটি। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছিল, রিখটার স্কেলে আগের কম্পনের মাত্রা ছিল ৪। আর পরের টি ছিল ৪.৬ মাত্রার! ভূকম্পে কেঁপে উঠেছিল হিন্দুকুশ অঞ্চল– আফগানিস্তান, পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট অঞ্চল, পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ। কম্পন অনুভূত হয়েছিল আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্ব প্রান্ত এবং তাজিকিস্তানের কয়েকটি অঞ্চলে। এছাড়াও কেঁপে উঠেছিল আটক, পেশোয়ার, মারদান, নওশেরা, সোয়াবি, উত্তর ওয়াজিরিস্তিান-সহ বিভিন্ন জেলা। আসলে পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং ভারতীয় উপমহাদেশের একটি অংশ ভূতাত্ত্বিকভাবে অত্যন্ত অস্থির। এখানে প্রায়ই ইউরেশিয়ান প্লেট ও ভারতীয় প্লেট একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এই দুটি প্লেটের মাঝে শক্তি সঞ্চিত হয়। এবং ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)