জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সাহারায় শিহরন? না, সাহারায় নয়, বরং সাহারার জন্য শিহরন– ইউরোপে। এক মহাদেশ থেকে ধুলোর মেঘ ধেয়ে আসছে অন্য মহাদেশে। আফ্রিকা থেকে ইউরোপে ধেয়ে আসছে খনিজের গুঁড়োর সুনামি। ধেয়ে আসছে এই লাল-হলুদ ধুলোর ঢেউ উত্তর আফ্রিকা থেকে সোজা ইউরোপ। সাহারা থেকে সারা বছর ধরে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টন ধুলো এ ভাবেই ভেসে আসে ইউরোপে। এবারেও সেই একই ছবি।
আরও পড়ুন: India Pakistan Tension: চলছে ভয়ংকর খপ্পর যোগ! ১১ জুনের মধ্যে ভয়াবহ কিছু ঘটে যেতে পারে! অভিশাপের কালো ছায়া ভারত-পাকিস্তানের উপর…
আরও পড়ুন: Pahalgam Terror Attack: জঙ্গি-নিধনে সেদিন কি ভয়ংকর ‘ভুল’ করেছিল সিআরপিএফ? জঙ্গি ধরতে ‘অন্যায়’ করেছিলেন সংশ্লিষ্ট অফিসার? ঘনাচ্ছে রহস্য…
ক্লাইমেট চেঞ্জ এবং বিকল্প শক্তির সন্ধান– এই দুইয়ের লক্ষ্যে ইউরোপ সম্প্রতি সোলার এনার্জির উপর নির্ভরতা বাড়াচ্ছে। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্নের প্রকল্প পড়ছে চ্যালেঞ্জের মুখে। কালপ্রিট? ‘সাহারন ডাস্ট’– সাহারার ধুলো।
ইউরোপিয়ান জিওসায়েন্সেস ইউনিয়ন জেনারেল অ্যাসেম্বলি এই মিনারেল ডাস্টের বিষয়টা তুলে ধরেছেন। এটি যেমন ইউরোম মহাদেশ জুড়ে কমিয়ে দিচ্ছে ফোটোভোল্টেইক ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন, তেমনই আবার সোলার পাওয়ার আউটপুটেরও ক্ষতি করছে।
এটা অবশ্য নতুন নয়। এর আগেও বহুবার ঘটেছে। নাসা সেই ছবিও তুলে ধরেছে। ধূসর রঙের কুয়াশা যেন। বিশাল তার আকার। ভয়ংকর তার গতিও। পৃথিবীপৃষ্ঠের পাঁচ হাজার থেকে ২০ হাজার ফুট উচ্চতা অবধি তার অবস্থান। সাহারা মরু থেকে এমনই বিধ্বংসী ধুলোর ঝড় আটলান্টিক মহাসাগর পেরিয়ে ক্রমশই এগিয়ে গিয়েছিল আমেরিকার দিকে। সময়টা একদশক আগের। সেবার আন্তর্জাতিক স্পেসস্টেশন থেকে পৃথিবীপৃষ্ঠে এই ধুলোর ঝড়ের ছবি তুলে পাঠিয়েছিলেন নাসার নভশ্চর।
বছরচারেক আগেও একবার বড় ধরনের এই ধুলো-বিপর্য়য় ঘটেছিল। নাসার মহাকাশযানের চোখে ধরা পড়েছিল সেই ছবিও। সাহারা মরুভূমি থেকে ওঠা ভয়ংকর সেই ধুলোঝড়ে ঢেকে যাচ্ছিল স্পেন ও ফ্রান্স। বরফচূড়াগুলি ঢেকে যাচ্ছিল সহারা মরুভূমি থেকে ছুটে আসা ধুলোর পুরু আস্তরণে। এমনকি, ফ্রান্স পেরিয়ে সাহারা মরুভূমির ধুলোঝড় ছড়িয়ে পড়তে দেখা গিয়েছিল ইউরোপের উত্তরের শেষ বিন্দু নরওয়েতেও সেইবার।
সেইবারই ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির কোপারনিকাস অ্যাটমস্ফিয়ার মনিটরিং সার্ভিসের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল, সাহারা মরুভূমি থেকে ছুটে আসা এই ধুলোঝড়ে শুধু ইউরোপের বায়ুমণ্ডলের মানের অবনমনই ঘটবে তা নয়, ইউরোপের বড় বড় পর্বতমালাগুলির সুউচ্চ গিরিশৃঙ্গগুলির বরফও গলিয়ে দিতে পারে এই ঝড়। আর আরও বেশি পরিমাণে সৌরশক্তি শুষে নিতে পারে এই ধুলোতরঙ্গ। এবারও, এই ২০২৫ সালে, ঠিক সেই ঘটনাটাই আবার ঘটতে চলেছে। ধুলোর সুনামি শুষে নেবে সৌরশক্তি।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)