NOW READING:
রাজ্যে নিষিদ্ধ ১৩৭ রকমের ওষুধ, ক্যান্সার, যক্ষ্মার ট্যাবলেট-ক্য়াপসুল থেকে ইঞ্জেকশন, আইড্রপ
May 24, 2025

রাজ্যে নিষিদ্ধ ১৩৭ রকমের ওষুধ, ক্যান্সার, যক্ষ্মার ট্যাবলেট-ক্য়াপসুল থেকে ইঞ্জেকশন, আইড্রপ

রাজ্যে নিষিদ্ধ ১৩৭ রকমের ওষুধ, ক্যান্সার, যক্ষ্মার ট্যাবলেট-ক্য়াপসুল থেকে ইঞ্জেকশন, আইড্রপ
Listen to this article


কলকাতা: জাল ওষুধের রমরমা রুখতে এবার ১৩৭ রকমের ওষুধ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা। ১৩৭ রকমের ওষুধ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করল রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ।  ওষুধের নাম এবং নির্দিষ্ট ব্যাচ নম্বর দিয়ে পাইকারি ও খুচরো বিক্রেতাদের নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বাজার থেকেও যেন তুলে নেওয়া হয় এই ১৩৭টি ওষুধ। (Drug Control Directorate)

যে ১৩৭ রকমের ওষুধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে অস্ত্রোপচারের পর ব্যবহৃত ইঞ্জেকশন থেকে আই ড্রপ, যক্ষ্মার ওষুধ, কেমো এবং রেডিওথেরাপির পর শারীরিক অসুস্থতা নিরাময়ের ওষুধ, ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ব্যবহৃত ইঞ্জেকশন। ফুসফুসের সংক্রমণ নিরাময়ের ওষুধ, খাদ্যনালি ও পেটের আলসার সারানোর মতো ওষুধ। (Medicine Quality Test)

দিন কয়েক আগেই নবান্নের বৈঠকে জাল ওষুধ নিয়ে সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরপ্রদেশ, গুজরাতের মতো রাজ্য থেকে রাজ্যে ভেজাল ওষুধ ঢুকছে বলে জানান তিনি। এর পরই শনিবার ১৩৭ রকমের ওষুধ নিষিদ্ধ করল রাজ্য সরকার। মোট ছয় দফার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট চ্যানেল ও বৈধ সংস্থার কাছ থেকেই ওষুধ কিনতে হবে পাইকারি সংস্থাগুলিকে।

রাজ্য সরকারের নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, যে সংস্থার কাছ থেকে ওষুধ কেনা হচ্ছে, তাদের লাইসেন্সের বৈধতা যাচাই করে নিতে হবে পাইকারি বিক্রেতাদের। ভিন্ রাজ্যের সংস্থার কাছ থেকে ওষুধ কিনলে, তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করে নিতে হবে। পাশাপাশি, GST নম্বরও যাচাই করা বাধ্যতামূলক। যে ৩০০টি ওষুধ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, বাধ্যতামূলক ভাবে তার QR কোড স্ক্যান করে নিতে হবে পাইকারি ব্যবসায়ীদের।

জ্বর-সর্দি থেকে ক্যান্সারের মতো গুরুতর রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন আজকের নয়। পশ্চিমবঙ্গ-সহ গোটা দেশে বিক্রিত এমন নিত্য প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রের উপর বার বার নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে গত কয়েক মাসে। আর তাতেই জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সাধারণ মানুষ চিকিৎসকের লিখে দেওয়া ওষুধ কেনেন বাজার থেকে। সেই ওষুধ যদি ভেজাল হয়, জাল হয়, তার দায় কে নেবে, সাধারণ মানুষের জীবনের উপর কেন এমন ঝুঁকি নেমে আসবে, উঠছে প্রশ্ন।

এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসক অজয় সরকার বলেন, “দু’মাস আগে অলরেডি প্রুভেন ওষুধ কী করে সার্কুলেশনে থাকে, তা অবাক করে দিচ্ছে। সেটা তুলে নেওয়ার দায়িত্ব সিস্টেমের, তাঁরা সরকারি কর্মচারী। কেন এগুলো সার্কুলেশনে চলছে! কোথাও একটা ফল্ট হচ্ছে। আমি বলব সিস্টেম ফেলিওর। জাল ওষুধ বাড়ছে অর্থাৎ যারা তৈরি করছে, তাদেরও ভয়ডর নেই। রোগীরাই ভুগছেন।”

সার্ভিস ডক্টর্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সজল বিশ্বাস বলেন, “রিঙ্গার্স ল্যাকটেটের জেরে বিষক্রিয়ার ফলে জানুয়ারি মাসে মেদিনীপুরে প্রসূতিমৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এখনও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন অনেকে। সেই সংস্থার বিরুদ্ধে এখনও ব্যবস্থা নেয়নি পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আমরা বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছিলাম। মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। আর ওকত মানুষের ক্ষতি হয়েছে, তার হিসেব পাব না। আমরা এখনও উচ্চপর্যায়ের বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করছি। অন্য সংস্থাগুলির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”

বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরও শুরু হয়েছে। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “নির্দিষ্ট সংস্থা সব দেখে রিপোর্ট বের করে। সেই নিরিখে এফআইআর দায়ের করা উচিত স্বাস্থ্য দফতরের। তদন্ত করা উচিত। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এসব হয় না। এেখাবকার পুলিশ রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে টাকা তোলে, আর তৃণমূল নেতাদের বাঁচায় পাবলিকের হাত থেকে।”

আরও দেখুন



Source link