জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গত বছর অগাস্ট থেকে এবছর মে মাস। এতগুলো মাস পেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে পারেনি মহম্মদ ইউনূস সরকার। এবার তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে বিভিন্ন মহলে। তা প্রকাশও পাচ্ছে। এমনকি আওয়ামী লীগ ফের মাথা তুলেও শুরু করেছে। এরকম এক অবস্থায় মহম্মদ ইউনূস গদি ছেড়ে দিচ্ছেন বলে খবর রটে যায়। পরে অবশ্য জানা যাচ্ছে তিনি পদত্যাগ করছেন না। এনিয়ে এবার সরব হলেন, বাংলাদেশের বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাংবাদিক মাসুদ কামাল।

সম্প্রতি বাংলাদেশের এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে মাসুদ কামাল বলেন, মার খেয়েও চুপ করে থাকতে হয়। দেশে এমন শান্তি ছড়িয়ে দিয়েছেন ড. ইউনূস। শুনতাম আওয়ামী লীগ আমলে বিএনপি নেতাকর্মীরা ঘরে থাকতে পারতেন না। নদীর চরে গিয়ে থাকত কিংবা জঙ্গলে থাকতে হত। এগুলো ঘটেছে বাংলাদেশে। আওয়ামী লীগ ঘটিয়েছে, যে কারণে আমরা তাদের স্বৈরাচার বলেছি, ফ্যাসিবাদী বলেছি, তাদের দেশ থেকে তাড়িয়েছি। এখন ড. ইউনূস যেসব আচরণ করছেন তাতে ওঁকে বিদায় দেওয়া হবে। উনি বিদায় নিতে পারবেন না।

আওয়ামী লীগ চলে যাওয়ার পর দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে কামাল বলেন, ইউনূস শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন। কিন্তু ওঁর আমলে কি শান্তি বেড়েছে দেশে? রাস্তা দিয়ে হাঁটবেন, কেউ যদি আপনাকে স্বৈরাচারের দোসর বলে পেটায় তাহলে পুলিসও আপনাকে বাঁচাতে আসবে না। এই বাস্তবতার নাম কি শান্তি? ওঁর বোঝা উচিৎ তিনি এখানে কী করছেন। তার সামনে সুযোগ ছিল নিজেকে আরো উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার। যদি তিনি সবার সঙ্গে মিলেমিশে তিনি কাজগুলো করতেন। কিন্তু তিনি সেটা করছেন না।

আরও পড়ুন-দীঘায় বিরাট হিট জগন্নাথ মন্দির, প্রমাদ গুনছে পুরী! জগন্নাথধামের পেটেন্ট নিতে এবার ছুটছে ওড়িশা…

আরও পড়ুন-রোজ স্ক্যাবিসে আক্রান্ত হচ্ছেন শয়ে শয়ে মানুষ, সঠিক চিকিত্সা না হলে সমস্যা হতে পারে কিডনিতেও!

কেন ইউনূস সবাইকে নিয়ে কাজ করছেন না? কামাল বলেন, উনি রাজনীতিটা বোঝেন না। ২৫ আগস্টে তার দেওয়া বক্তব্যে তিনি অনেক কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন— আমরা অন্য জগতের মানুষ। তিনি ‘আমরা’ বলেছেন, মানে তারা উপদেষ্টারা সবাই। একটা ইন্টারভিউতে তিনি বলেছেন, আমি এগুলা বুঝি না। তখন তাকে প্রশ্ন করা হয়— অন্যরা ভুল করলে তাদের কিছু বলেন না? উত্তরে তিনি বলেন— তাদের কী বলব, আমি নিজেই ভুল করি, আমি নিজেই তো বুঝি না। অনুরোধে ঢেঁকি গেলা যায় না, ড. ইউনূস অনুরোধে ঢেঁকি গিলছেন। উনি আবার সেটা বলেন যে এইটা আমি জানি না।

হাসিনা চলে যাওয়ার মানুষ বলেছিল ইউনূসের বিকল্প ছিল না। এনিয়ে কামাল বলেন, সেটা তো ড. ইউনূসের দেখার ব্যাপার না। এমন বিকল্প নেই সেই কথা শেখ হাসিনাও বলতো। তার কিছু চামচা ছিল; আপনার-আমার বন্ধু ছিল যারা গিয়ে বলতো— আপা আপনি তো অমর। আপনি মরে গেলে দেশের কী হবে? তো এখন উনি নাই, তাতে কি দেশের কোনো সমস্যা হয়েছে? পৃথিবীতে অপরিহার্য কোনো ব্যক্তি নাই। আর এই বিষয়টা যারা মানতে না পারে তাদের আচার-আচরণে স্বৈরাচারী মনোভাব আছে।  

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল