জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর ডামাডোল বিশৃঙ্খলা অব্যাহত বাংলাদেশে। আওয়ামী লিগ কর্মী নেতাদের উপর আক্রমণ হচ্ছে। সেনাবাহিনী একটি অন্তর্বতীকালীন সরকার গঠনের কথা বললেও পুলিসি ব্যবস্থা এখনও খাড়া হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। এরকম এক পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার দেশে ফিরছেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মহম্মদ ইউনূস। এমনটাই সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন-কেন অলিম্পিক্স ফাইনালে ‘ডিসকোয়ালিফায়েড’ ভিনেশ? প্রতিটি কারণ জেনে নিন পরপর
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে দেশের পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণ ও ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। গতকাল রাতে বৈঠক থেকে বেরিয়ে সোয়া বারোটা নাগাদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের পক্ষে নাহিদ ইসলাম বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম প্রস্তাব করেছেন। রাষ্ট্রপতি তাতে রাজী। তাছাড়া অন্তর্বতীকালীন সরকারের সদস্য আর করা হবেন তেমন ১৫ জনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরকার গঠন করা হবে।
ওই বৈঠকে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে আমরা সরকার গঠন করতে চলেছি। এই সময়ে এটাকে বিভিন্নভাবে সাংবিধানিক বৈধতা দেওয়ার সুযোগ আছে। নিয়ম আছে সেটা অনুসরণ করা হবে। সরকারের মেয়াদ এখনো ঠিক করা হয়নি।
আওয়ামী লিগ ও জোট সরকারের উত্খাতের পর ময়দানে নেমে পড়েছে বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামী-সহ অন্যান্য দল। তাদেরও ড. ইউনূসের ব্যাপারের আপত্তি নেই বলে জানা যাচ্ছে। সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার ব্যাপারের আপত্তি নেই ড. ইউনূসের। এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে ইউনূস বলেন, শিক্ষার্থীরা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তারা এই কঠিন সময়ে আমাকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন। কীভাবে তা প্রত্যাখ্যান করি?
নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে প্রায় একশো মামলা রয়েছে। একটি মামলায় তাঁর কারাদণ্ডও হয়েছে। বর্তমানে তিনি রয়েছে প্যারিসে। একটি বিষয় উঠে আসছে সেটি হল, ড. মুহাম্মদ ইউনূস যেহেতু সরকারের দায়িত্ব নেবেন, ফলে সরকারে আর কারা থাকবেন, সে ব্যাপারে তাঁর মতামতও প্রয়োজন হবে।
ইউনূস ছাড়া আর কারা থাকতে পারেন সরকারে? এই প্রশ্নটাও এখন উঠছে। অনুমান করা হচ্ছে, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, গণতন্ত্র মঞ্চসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা রাষ্ট্রপতি ও তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে সোমবার দুই দফা বৈঠক করেন। দলগুলোর সূত্র বলছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে পেশাজীবী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আইনজীবী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, সামরিক-বেসামরিক সাবেক আমলা ও ব্যবসায়ীরা থাকতে পারেন।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)