US India Relation : তাঁর হয়ে ‘গলা ফাটিয়েছিল ‘ভারতীয় বংশোদভূত আমেরিকানরা (Indo Americans)। মার্কিন নির্বাচনে (US Election Result) যার ফল পেয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। গতকালই প্রেসিডেন্ট (US President) পদে শপথ নিতেই ‘বন্ধু ট্রাম্পকে’ অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। যেখানে তিনি বলেছেন, ‘প্রিয় বন্ধু ট্রাম্পের সঙ্গে কাজের জন্য আমি মুখিয়ে আছি’। যদিও পদে বসেই ভারতের বিরুদ্ধে ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর হুমকি দিলেন ট্রাম্প।
কী হুমকি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ?
অতীতেও একই কথা বলেছিলেন তিনি। যদিও প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প এই কাজ করবেন না বলে আশা করেছিল বিশ্ব। কিন্তু ক্ষমতায় এসেই ফের একই হুমকি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারত-সহ BRICS দেশগুলির বিরুদ্ধে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার হুমকি দিয়েছেন তিনি।
ট্রাম্প বলেছেন, ” যদি ব্রিকস দেশগুলি মার্কিন ডলারের পরিবর্তে অন্য় কোনও মুদ্রায় নেলদেনের পদক্ষেপ নেয় তাহলে মুশকিল হবে। ব্রিকস দেশগুলি এরকম কিছু করে, তবে আমরা তাদের সঙ্গে যে ব্যবসায় কমপক্ষে ১০০ শতাংশ শুল্ক বসাব।”
কোন কোন দেশ রয়েছে ব্রিকসের তালিকায়
BRICS দশটি দেশের একটি সংগঠন – রাশিয়া, ভারত, চিন, দক্ষিণ আফ্রিকা, মিশর, ইথিওপিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইরান ও সংযুক্ত আরব আমিশাহি এই দেশগুলি ব্রিকসের অন্তর্গত। ডিসেম্বরেও ট্রাম্প ব্রিকস দেশগুলোকে এই ধরনের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছিলেন।
ভারতের কী প্রতিক্রিয়া
অতীতেই এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ডিসেম্বরে তিনি বলেছিলেন, ”ভারত কখনই ডি-ডলারাইজেশনের পক্ষে ছিল না। ব্রিকস মুদ্রা রাখার কোনও প্রস্তাব নেই ভারতের।
পুতিনের থেকেই ব্রিকস কারেন্সির জল্পনা
আসলে অক্টোবরে ব্রিক দেশগুলির এক শীর্ষ সম্মেলনে ডলারের বিকল্প মুদ্রার প্রসঙ্গ তুলেছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছিলেন, আমেরিকা আসলে মার্কিন ডলারকে “অস্ত্র” হিসাবে ব্যবহার করেছে। এটি তাদের সবচেয়ে “বড় ভুল”। পুতিন সেই সময় বলেছিলেন, ” আমরা ডলার ব্যবহার করতে অস্বীকার করিনি। কিন্তু আমাদের যদি কাজই করতে না দেওয়া হয়, তাহলে আমরা কী করতে পারি? আমরা বিকল্প খুঁজতে বাধ্য হচ্ছি।”
গত ব্রিকস সম্মেলনেই ব্রিকস কারেন্সি নিয়ে কথা
গতবারের ব্রিকস সন্মেলনেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের হাতে একটি মুদ্রার ছবি দেখা যায়। সম্ভবত ব্রিকস কারেন্সির বাস্তবায়ানে সেই ছবি সবথেকে বড় জল্পনার জন্ম দেয়। যার পর থেকেই চিন্তা বাড়ে আমেরিকার। এখন সেই চিন্তাই ফুটে উঠেছে সদ্য জয়ী ট্রাম্পের মুখে। রাশিয়া বিশেষভাবে একটি নতুন পেমেন্ট সিস্টেম তৈরির করতে চাইছে। যা গ্লোবাল ব্যাঙ্ক মেসেজিং নেটওয়ার্ক, SWIFT এর বিকল্প হিসাবে কাজ করবে। মস্কো এর মাধ্য়মে পশ্চিমি নিষেধাজ্ঞাগুলি উপেক্ষা করে এই মুদ্রার মাধ্য়মে অংশীদারদের সঙ্গে বাণিজ্য করতে চায়।
ট্রাম্পের ওপর বিরক্ত…
বিশ্বের অর্থনৈতিক মানচিত্র বলছে, মার্কিন ডলার এখনও পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ব্যবসায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত মুদ্রা। অতীতে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েও টিকে আছে এই মুদ্রা। যদিও বর্তমান বিশ্বে অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলি বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিতে আমেরিকার আধিপত্য নিয়ে বিরক্ত। সেই কারণেই আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নতুন মুদ্রা চাইছে উন্নয়নশীল দেশগুলি।
Stock Market Crash : একদিনে ৭ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি, বড় ধস বাজারে, সেনসেক্স পড়ল ১৪০০ পয়েন্ট, নিফটি ২৩ হাজারের নীচে
আরও দেখুন
+ There are no comments
Add yours