জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ২০ জানুয়ারি ট্রাম্প সাদা বাড়ির দখল নেওয়ার পরই,ভারতের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে নেমে এলো গভীর অন্ধকার। মার্কিন অনুদানে চলা ভারতের তিনটি হাসপাতাল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেল। ট্রাম্প সরকারের অমানবিক সিদ্ধান্তের শিকার হলো ভারতের হাসপাতালগুলো। যুক্তরাষ্ট্র সরকার সরাসরি জানিয়ে দিলেন, ভারতের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে মার্কিন অনুদান তারা বন্ধ করে দেবেন। বিশেষত তৃতীয় লিঙ্গের ক্ষেত্রে, কোন আর্থিক সাহায্য আমেরিকা আর করতে চায় না।
Zee ২৪ ঘণ্টার সব খবরের আপডেটে চোখ রাখুন। ফলো করুন Google News
এর তীব্র রেশ আছড়ে পড়ে তেলঙ্গানার হায়দ্রাবাদের একটি মেডিক্যাল ক্লিনিকে। হায়দ্রাবাদে ইউএসএআইডির (USAID) তহবিলে পরিচালিত এবং ট্রান্সজেন্ডারদের (Transgender)জন্য একটি মেডিক্যাল ক্লিনিক চালু করা হয়েছিল ৪ বছর আগে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি) এর তহবিলে চার বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছিল এই ক্লিনিক। যেখানে প্রান্তিক মানুষেরা সারা দেশে অবহেলিত, সেখানে শুধুমাত্র ট্রান্সজেন্ডার মানুষদের জন্য যে হাসপাতাল চলত, তা প্রশংসা কুড়িয়েছিল একসময়।
আরও পড়ুন: গরম স্যুপে মিশেছে তাজা মূত্র, ৪ হাজার লোক খেয়েছেও! জনপ্রিয় রেস্তোরাঁর জঘন্য কারবার…
হায়দ্রাবাদের নারায়ণগুড়ার মিত্র ক্লিনিকের ট্রান্সজেন্ডার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ রচনা মুদ্রাবোইনা বলেন, এনজিও ওয়াইআরজিকেয়ার (YRGKR) পরিচালিত স্বাস্থ্যসেবাটি ইউএসএআইডির তহবিলের উপর নির্ভরশীল ছিল। জানুয়ারিতে ট্রাম্পের আদেশ জারি হওয়ার পর ইউএসএআইডির তহবিল বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, ক্লিনিকটি প্রায় এক মাস আগে বন্ধ করতে হয়েছে। হায়দ্রাবাদ ছাড়াও পুণেতেও এই মার্কিন সাহায্যে প্রাপ্ত ক্লিনিক গুলি চলত।
আরও পড়ুন: গুলি চালাল পোষ্য পিট বুল! গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে বিছানায় থাকা মালিক আহত …
২০২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই ক্লিনিকটি ট্রান্সজেন্ডারদের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য, যার মধ্যে এইচআইভি (HIV)রোগীদের যত্ন এবং সাধারণ যে কোন স্বাস্থ্য সমস্যা চিকিত্সা চলত। ক্লিনিকটি প্রতি মাসে আড়াই লক্ষ টাকা তহবিল পেত। প্রত্যেকটি ক্লিনিকে বছরে ৩০ লাখ টাকা আর্থিক সাহায্যের দরকার পড়ে। আটজন হাসপাতালকর্মী কাজ করেন প্রতিটি ক্লিনিকে। এখন বিকল্প আর্থিক সাহায্যের খোঁজ করছে ক্লিনিকগুলো। তবে ট্রাম্পের এই অমানবিক সিদ্ধান্তের সমালোচনা এবং বিরোধিতা করেছেন প্রায় সকলেই।
ট্রাম্পের আদেশের চার দিন পরে, ২৪শে জানুয়ারী, দেশের প্রথম ট্রান্সজেন্ডার স্বাস্থ্য ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়। ক্লিনিকটি বন্ধের প্রতিক্রিয়ায়, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এবং ট্রাম্প প্রশাসনের সিনিয়র উপদেষ্টা, এলন মাস্ক, তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত সমর্থন করেছেন। এতে মার্কিন প্রশাসনের আর্থিক সঞ্চয় হবে অনেকটাই বলে মনে করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার। তবে ট্রাম্পের এই অমানবিক সিদ্ধান্তের সমালোচনা এবং বিরোধিতা করেছেন প্রায় সকলেই।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)