সীমা সম্প্রসারণে পথে ট্রাম্প? কানাডা কি নিয়ে নেবে আমেরিকা? একের পর এক মন্তব্যে উদ্বেগ

Estimated read time 1 min read
Listen to this article


নয়াদিল্লি: হোয়াইট হাউসে দ্বিতীয় বারের জন্য প্রবেশ করতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফের একবার শপথ নেওয়ার কথা ২০ জানুয়ারি। আর তার আগেই আমেরিকার সীমানাবৃদ্ধির পক্ষে সওয়াল করতে শোনা গেল ট্রাম্পকে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদ ত্যাগ করছেন বলে ঘোষণা করেছেন জাস্টিন ট্রুডো। আর তার পরই কানাডাকে আমেরিকার অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তুললেন ট্রাম্প। (Donald Trump on Canada)

সোমবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ঘোষণা করেন ট্রুডো। নিজের দল লিবারাল পার্টির তরফে চাপের মুখে পড়েই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। আর তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই কানাডাকে আমেরিকার অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তুললেন ট্রাম্প। কানাডাকে আমেরিকার ৫১তম অঙ্গরাজ্য ঘোষণা করার ইচ্ছে প্রকাশ করলেন সম্প্রতি দ্বিতীয় বারের জন্য আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া ট্রাম্প।  (Canada Political Turmoil)

কানাডাকে আমেরিকার অন্তর্ভুক্ত করার সপক্ষে ট্রাম্পের যুক্তি, ‘কানাডার বহু নাগরিকই আমেরিকার ৫১তম অঙ্গরাজ্য হয়ে ওঠার পক্ষে। আমেরিকা বাণিজ্যে আর ঘাটতি সহ্য করতে পারবে না। ভর্তুকি দিয়ে পুষতে পারবে না কানাডাকে। জাস্টিন এটা জানতেন, তাই পদত্যাগ করেছেন। কানাডা আমেরিকার অন্তর্ভুক্ত হলে কোনও শুল্ক থাকবে না, কর থাকবে না, রাশিয়া এবং চিনের হাত থেকেও নিরাপদ থাকবে। একসঙ্গে কী মহান একটা দেশই না গড়ে উঠবে!!!’

পদত্যাগের ঘোষণা করলেও, এখনও পর্যন্ত দায়িত্বে রয়েছেন ট্রুডো।  দলের তরফে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা না করা পর্যন্ত তিনিই দায়িত্ব সামলাবেন। ট্রাম্পের সঙ্গে কোনও কালেই সুসম্পর্ক ছিল না ট্রাম্পের। এমনকি ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রথম দফায় যখন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন ট্রাম্প, সেই সময়ও কানাডাকে আমেরিকার অংশ করার সওয়াল করেছিলেন তিনি। তাও আবার মার-ও-লাগো রিসর্টে ট্রুডোর সঙ্গে সাক্ষাতের সময়ই।

সেই সময় ট্রাম্পের যুক্তি ছিল, আমেরিকার বাণিজ্য শুল্কের মুখে কানাডার অর্থনীতির বিপর্যয় ঘটতে পারে। তেমন আমেরিকার অন্তর্ভুক্ত হয়ে যেতে পারে কানাডা। সেক্ষেত্র ট্রুডো কানাডার গভর্নর হয়ে যাবেন। ট্রুডো যদিও গোড়াতেই ট্রাম্পের সেই সুপারিশ খারিজ করে দেন। জানিয়ে দেন, বাণিজ্য শুল্ক কানাডার বিপর্যয় ডেকে আনবে না। এমনকি, কিছু দিন আগেও একই দাবি করতে শোনা যায় ট্রাম্পকে। 

শুধুমাত্র ট্রুডোকে বিদ্রুপ করতে বা কানাডাকে তাচ্ছিল্য করতেই ট্রাম্প এমন মন্তব্য করছেন না বলে যদিও আশঙ্কা করছেন কূটনীতিকদের অনেকে। ট্রাম্প আসলে আমেরিকার সীমা সম্প্রসারণের ইঙ্গিত দিচ্ছেন বলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। কারণ অতিসম্প্রতি গ্রিনল্যান্ড এবং ডেনমার্ক অধিগ্রহণেও আগ্রহ প্রকাশ করেন ট্রাম্প। এতে ওই দুই দেশ লাভবান হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সেই নিয়ে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী উদ্বেগও প্রকাশ করেছিলেন।  ট্রুডোকে উদারপন্থী, মুক্তমনা রাজনীতিক হিসেবেই মূলত চেনে গোটা পৃথিবী। ট্রাম্প আমেরিকার চারপাশ থেকে উদারপন্থী রাষ্ট্রনেতাদের উৎখাত করতে উৎসুক বলেও দাবি উঠছে।

আরও দেখুন





Source link

JagoronBarta http://www.jagoronbarta.com

জাগরণ বার্তা হল একটি অগ্রণী অনলাইন সংবাদ পোর্টাল যা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে নিরপেক্ষ, সঠিক এবং সময়োপযোগী সংবাদ পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিবেদিত। আমরা এমন একটি প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা বাংলার প্রকৃত কণ্ঠস্বরকে প্রতিফলিত করে এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার গুরুত্বকে তুলে ধরে।

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours