সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: আগামীকাল দোলযাত্রা। যদিও দোলের আগের দিনই, ছোটদের সঙ্গে দোল উৎসব পালন করলেন হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাতলেন আবির খেলায়। দোলের দিন তিনি কলকাতাতেই থাকবেন তার ছেলের সাথে সময় কাটাবেন, বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে এদিন শুভেন্দু ইস্যুতে যতটাই ক্ষোভ ধরা পড়ল রচনার উত্তরে, ততটাই অন্য অনুভূতি ধরা পড়ল, তারই বিরোধীপক্ষ লকেটকে নিয়ে। বললেন, ‘দেখা হলে একসাথে বসে চা খেতাম..’ !
শুভেন্দু ইস্যুতে ক্ষোভ ধরা পড়ল রচনার উত্তরে
প্রসঙ্গত, চ্যাংদোলা’ VS ‘ঠুসে দেব’, তৃণমূল-বিজেপির ‘ধর্মযুদ্ধে’ সরগরম রাজনীতি। মূলত কয়েকদিন আগেই শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ‘ওদের (তৃণমূল) যে ক’টা মুসলমান বিধায়ক জিতে আসবে চ্যাংদোলা করে তুলে রাস্তায় ফেলব।’ বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট।তার আগে হিন্দু-মুসলমানের রাজনীতি খুল্লমখোল্লা চলছে! শুভেন্দু অধিকারী বলেন, বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাব, আর ওদের (তৃণমূল) যে ক’টা মুসলমান বিধায়ক জিতে আসবে, বিজেপি সরকারে আসবে, চ্যাংদোলা করে তুলে রাস্তায় ফেলব। এই রাস্তায় ফেলব। ১০ মাস পরে এই রাস্তায় ফেলব।’ এদিন শুভেন্দু অধিকারী বক্তব্য নিয়ে বলেন, ‘তিনি এই ধরণেরই কথা বলেন। ওনার কথার উত্তর দেওয়াই উচিত নয়।’
তাপসীকে নিয়ে রচনা
অপরদিকে, সদ্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডল। যাকে নিয়ে আগেই প্রশংসা করেছেন রাজ্যর মন্ত্রী। এবার একই সুর হুগলির সাংসদের মুখেও। এদিন রচনা বলেন, ‘তাপসী মণ্ডল তৃণমূলে আসা নিয়ে বলেন, সবাই তৃণমূলে আসতে পারেন। কাজ করে দেখার আগে তৃণমূল তাদের পাশেই থাকে, যারা কাজ করে।’
‘লকেটের সঙ্গে দেখা হলে একসাথে বসে চা খেতাম..’ ! বললেন রচনা
একটা দীর্ঘ সময় ধরে লকেটের টলিপাড়ায় একসঙ্গে কাজ করা। এমনকি অতীতে একই ছবিতেও দেখা গিয়েছে লকেট ও রচনাকে। যদিও ইতিমধ্যে অনেক জল বয়ে গিয়েছে গঙ্গার মধ্যে দিয়ে। এখন তাঁরা রাজনীতির ময়দানে একে অপরের বিরোধী পক্ষ। ভোটযুদ্ধে নেমে সেই লকেটকেই হারিয়ে জয়ী হন রচনা। কিন্তু রাজনীতির বাইরে, সম্পর্কটা ঠিক কোথায় দাঁড়িয়ে ? এদিন রচনা জানান, লকেট চট্টোপাধ্যায় সাথে দেখা হলে তার সাথেও দোল খেলতে রাজি। বলেন, উনি হতে পারেন অন্যপাটির। কিন্তু ও আমার Co Star । আমি এখনও ওকে কো স্টার হিসেবেই দেখি। প্রচার করার সময় একদিনও দেখা হয়নি। দেখা হলে একসাথে বসে চাও খেতাম।’
আরও পড়ুন, তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে শোকজ করল দল ! নেপথ্যে কী কারণ ?
ন্যাড়াপোড়া ও দোল
কালার থেরাপি নিয়ে বলেন, ‘কালকে সাত রঙের হোলির দিন। সব রঙের বিশেষ কোনও কালার নয়।’ তিনি আরও বলেন,’ আজ ন্যাড়াপোড়া। ন্যাড়াপোড়া মানে আগুন। দহন। আগুনের ভেতর অনেক কিছু ফেলতে হয় । অনেক নিয়ম আছে। হলুদ ফেলতে হয়। তিল ফেলতে হয় । চন্দনের কাঠ ফেলবেন। নারকোলের ছোবড়া ফেলবেন। আমি সবাইকে একটা মেসেজ দিলাম। এগুলো অবশ্যই করবেন। আজকে এখানে এসেছি ছোট কচিকাঁচাদের সাথে আবির খেলতে। তাদের হাতে পিচকারি রং তুলে দিয়ে আনন্দ লাগছে।’
আরও দেখুন