কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনে এখনও এক বছর সময় রয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবারই কার্যত নির্বাচনের দামাম বেজে গেল। আলিপুরদুয়ারে এদিন রাজনৈতিক সভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে Operation Sindoor অভিযান চালানোর পর, এবার পশ্চিমবঙ্গে Operation Bengal অভিযানের ডাক দেওযা হয় সেখানে। মোদির পাশে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু সেই সভায় আমন্ত্রণ পেলেন না রাজ্য বিজেপি-র একদা সভাপতি দিলীপ ঘোষ, এ রাজ্যে বিজেপি-র খুঁটি মজবুত করার কৃতিত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। আর সেই নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে। (Dilip Ghosh)
বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারে মোদির সভায় দিলীপের অনুপস্থিতি নজর কেড়েছে সকলেরই। সেই নিয়ে প্রশ্ন করলে দিলীপ বলেন, “উত্তরবঙ্গে প্রোগ্রাম। সেখানকার কর্মীরাই যাবেন। কলকাতায় এলে আমরা থাকব। যাঁরা নেতা, তাঁদের কিছু প্রোটোকল আছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকতে হয়। আমি পদাধিকারী নই। এখানে এলে সাধারণ কর্মী হিসেবে যাব।” (West Bengal BJP)
একসময় কার্যত একাহাতেই এ রাজ্যে বিজেপি-কে দাঁড় করিয়েছিলেন দিলীপ। কিন্তু বর্তমানে রাজ্য বিজেপি-তে তিনি কোণঠাসা বলে সামনে এসেছে বার বার। বিজেপি-কি তাহলে তাঁর অবদান অস্বীকার করছে? প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ বলেন, “কে অবদান স্বীকার করল, কে অস্বীকার করল, তাতে কিছু যায় আসে না। আমরা অবদান রাখার চেষ্টা করি, যাতে দল লাভবান হয়। আমাকে দল যে দায়িত্ব দিয়েছে, তা পালন করেছি। যেটা অসম্পূর্ণ আছে, পরবর্তীতে যাঁরা আসবেন, তাঁরা পূরণ করবেন। দল এগোতে থাকে, চলতে থাকে। আমরা সাধারণ কর্মী।”
দিলীপ জানিয়েছেন, নির্বাচনের জন্য কমিটি থেকে অনেককে আলাদা রাখা হচ্ছিল। ফের নতুন কমিটি গড়া হচ্ছে। সেখানে কে, কোথায় জায়গায় পায়, তা দেখেই কাজ হবে। কিন্তু মোদির সভায় কেন ডাক পেলেন না তিনি, সেই প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি দিলীপ। এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে শুভেন্দু খানিকটা দায় এড়ান। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “এব্যাপারে আমি কোনও মন্তব্য করতে পারব না। সভার আয়োজক আলিপুর জেলা বিজেপি। কাকে ডেকেছে, কাকে ডাকেনি, তারাই বলতে পারবে।”
উত্তরবঙঅগে প্রোগ্রাম আছে। আখানকার কর্মীরাই যাবেন। কলকাতায় এলে আমরা থাকব। যাঁরা নেতা আছেন, তাঁদের প্রোটোকল আছে। প্রধাবমমন্ত্রীর সঙ্গে থাকতে হয়। আমি পদাধিকারী নই। এখানে এলে সাধারণ কর্মী হিসেবে যাব।আমাদে কল যে দায়িত্ব দিয়েছে। নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছি। যেটা অসম্পূর্ণ আছে, পরবর্তী যআরা আসবে তারা পূ্রণ করবেন। দল এগোতে থাকে, চলতে থাকে। আমরা সাধারণ কর্মী। দল যা দায়িত্ব দেয়, করি। আমি মন্তব্য করতে পারব না। আয়োজক আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপি। তারা বলতে পারবে কাকে ডেকেছে, কাকে ডাকেনি।
তবে দিলীপ কারও প্রতি কোনও উষ্মা প্রকাশ করেননি। তাঁর বক্তব্য, “আমি মাঠি সক্রিয় আছি, কর্মীদের সঙ্গে আছি। আমি সাধারণ কর্মী, সাধারণ কর্মীদের সঙ্গেই আছি আমি।” আগামী বিধানসভা নির্বাচনে আগের মতোই কি সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যাবে দিলীপকে? সময়ই উত্তর দেবে।
আরও দেখুন