অয়ন ঘোষাল: তৃণমূলের (TMC) থেকে আমন্ত্রণ পেয়ে সেই দীঘার জগন্নাথ মন্দিরে (Digha Jagannath Temple) যাওয়া থেকে দিলীপ ঘোষকে নিয়ে বাংলার রাজ্য-রাজনীতিতে নানা (Bengal Politics) তর্ক-বিতর্কের জন্ম হয়েছে। এমনিতেই প্রতিদিন মর্নিং ওয়াকে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দিলীপ। এবং তাঁদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন। আজ, সোমবারও তিনি বেশ কিছু প্রশ্নের মুখোমুখি হন। কী কী প্রশ্ন ধেয়ে যায় তার দিকে? কী উত্তর দেন আক্রমণাত্মক দিলীপ (Dilip Ghosh)?
জলও নেই, পোনাও নেই
প্রথম প্রশ্ন– ২১ তারিখে (২১ জুলাইয়ে) আপনাকে না কি ধর্মতলার মঞ্চে দেখা যাবে?
প্রশ্ন শুনে দিলীপ ঘোষ বলেন, কোনো না কোনো মঞ্চে তো আমাকে দেখা যাবেই। আসুক না ২১ তারিখ। রাজনীতি জল্পনায় চলে। দেখা যাক না, কী হয়। মানুষ কী জানতে চায়, সেটাই আসল। জল্পনা দিয়েই অনেকের রাজনীতি হয়। আমার জলও নেই, পোনাও নেই। আমার রাজনীতি আছে।
পরের প্রশ্ন– পদ্ম থেকে জোড়াফুলে যাতায়াত তো লেগেই থাকে…
দিলীপ জানান, সেই তত্ত্ব থেকেই অনেকে বলে (আগের প্রশ্নটি)। এ প্রশ্ন তো আপাতত রোজ জিজ্ঞাসা করবেন। আপনাদের আর কোনো প্রশ্ন থাকলে বলুন।
২১ তারিখের পর এই প্রশ্ন আপনাকে আর করতে হবে না?
এই প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বলেন– ২১ জুলাইয়ের পর আর কোনো প্রশ্ন থাকবে না। সব প্রশ্নের সমাধান হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: Deadliest Anaconda in Kolkata: অবিশ্বাস্য! আমাজনের ত্রাস দৈত্যাকার ভয়ংকর সবুজ অ্য়ানাকোন্ডা এবার কলকাতায়…
আরও পড়ুন: Bengal Weather Update: গত ৬ ঘণ্টায় নিজের শক্তি ক্রমশ বাড়িয়ে নিয়েছে নিম্নচাপ! আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টি! ভয়ংকর দুর্যোগের ঘনঘটা…
অথ উদয়ন কথা
৮ জেলায় বিজেপি পেটানোর নিদান উদয়ন গুহর– এ প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, ‘ঘর কা কুত্তা শের হোতা হ্যায়। আউর আপনে ঘর মে কুত্তাভি শের হোতা হ্যায়। কোচবিহারের বাইরে ওকে কে চেনে? উল্টোটা যদি হয়, জামাকাপড় ছিঁড়ে দিল। কলকাতায় যদি হয়, কী করতে পারবে ও? ক্ষমতা চিরদিন থাকে না। ক্ষমতার আস্ফালনকারীদের লোকে ভুলে যায়। এরকম অনেক শের বাংলায় ছিল। তাদের লোকে ভুলে গেছে। তারা বেঁচে আছে কি না, কেউ জিজ্ঞাসা করে না।’
বাংলায় ঠাকরে মডেল?
বাংলায় ঠাকরে মডেলে বাম-তৃণমূল জোট? দিলীপ জানান, এই ধরনের জল্পনা চলতেই থাকে। আপনাদেরও দোকান চালাতে হয়। সময় পেরিয়ে গেলে বলবেন– না, হল না। সানি দেওলের ভাষায় বলতে গেলে– তারিখ পে তারিখ।
নতুন সভাপতি?
মুরলীধর সেনেই আস্থা নতুন সভাপতির? প্রশ্ন যায় দিলীপের দিকে। দিলীপ বলেন, ‘বর্তমান রাজ্য সভাপতি কোথায় বসবেন সেটা তিনি নিজেই ঠিক করবেন। ওই অফিসের সঙ্গে বিজেপির একটা আবেগ জড়িয়ে আছে। জায়গা ছোট। কিন্তু ওই বাড়ি থেকে পার্টি বড় হয়েছে। ওটা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির চরণধূলিপ্রাপ্ত জায়গা। কর্মীরা ওটাকে মন্দির ভাবেন। ফলে ওটার একটা আলাদা গুরুত্ব তো আছেই।’
কোচবিহারে অসম পুলিসের NRC নোটিস
যদি সরকারি রিপোর্ট এসে থাকে তাহলে বাংলাদেশিদের খোঁজার চেষ্টা হবেই। ভোটার হতে গেলে এবার তো বাড়ির ঠিকানা ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক হবেই। না হলে তো বাংলাদেশিদের তাড়ানো যাবে না।
রাজন্যার কান্না
হঠাৎ নেতা হলে এগুলি চলতেই থাকে। তৃণমূল অনেকটা মেলার মতো। যে ইচ্ছা যায়। যে ইচ্ছা আসে। এদের সামলাতে মমতা ব্যানার্জি ব্যতিব্যস্ত।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)