পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা : দিলীপ ঘোষের জীবনে আরেক নতুন অধ্য়ায়। বিজেপি নেত্রী রিঙ্কু মজুমদারের হাত ধরে নিলেন সারা জীবন সঙ্গে থাকার শপথ। শুধু পলিটিশিয়ান না প্রেমিক হিসেবেও তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন। নতুন জীবনে পা রাখার পরদিনই আবার তাঁর জন্মের তিথি। তাই ইকোপার্কে মর্নিং ওয়াকারদের সঙ্গে তাঁর আজ সেলিব্রেশন। আয়োজক অবশ্য অনুগামীরাই। খাবার দাবারের ছড়াছড়ি। দিলীপ ঘোষকে নিয়ে সেলিব্রেশনে মাতলের তিনি। এই সেই ইকো পার্ক , যেখানে প্রথম সহধর্মিনীর সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলেন তিনি। দিলীপের প্রেম থেকে পরিণয়, জুড়ে রয়েছে ইকো পার্ক। তাই জন্ম দিবসেও তিনি এলেন এখানেই। বিয়ের পর দিনই ফের স্বমেজাজেই পাওয়া গেল দিলীপ ঘোষকে।
জন্মদিনে খোশ মেজাজে হাঁটলেন। শুভেচ্ছা গ্রহণ করলেন। ধন্যবাদ জানালেন প্রত্যেককেই। সদ্য বিবাহিত বিজেপি নেতাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন অনুগামীরা। তাঁরা জানালেন, এদিন বিরাট আয়োজন রয়েছে।
দিলীপের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ
দিলীপের বিয়ের পরই তাঁর রাজনৈতিক জীবনের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন অনেকে। সামনেই বিধানসভা ভোট। ২০২৬ এর আগে কি ফের পুরনো ফর্মে পাওয়া যাবে দিলীপকে? প্রশ্ন অনেকের। দিলীপ অবশ্য স্পষ্ট করেদিলেন, সঙ্ঘজীবন থেকে রাজনীতিতে দায়িত্ব নেওয়া, সবকিছুই করে গিয়েছেন হাইকমান্ডের নির্দেশ মেনে। আগামীতেও তাই করবেন।
কুণালের ইকোপার্ক কটাক্ষ
শুক্রবার কুণাল ঘোষ লিখেছিলেন, ‘যেহেতু মর্নিং ওয়াকে নিয়মিত যেতেন ইকো পার্কে, যেহেতু ওখানেই পরিচয় থেকে আজ পরিণয়, এবং যেহেতু ওই অপূর্ব ইকো পার্কটি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সৃষ্টি, তাই এই মিলনের পিছনে মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা সত্যিই অনস্বীকার্য।’ শুক্রবার দিলীপের বিবাহ অনুষ্ঠানের আগেই গাড়ি করে পৌঁছে যায় মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা ও বিরাট ফুলের বুকে। আদ্যোপান্ত রাজনীতিক দিলীপ ঘোষ পদার্পন করলেন সাংসারিক জীবনে। আর এই নতুন ইনিংসের জন্য় তাঁকে ঢালাও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দলের সতীর্থরাও। এখন দেখার বিয়ের পর দিলীপের আগামী সাংসারিক ও রাজনৈতিক জীবন কোন খাতে বয়।
দিলীপের বিয়ে বৃত্তান্ত
প্রথমে বিয়ের প্রস্তাব দেন রিঙ্কু। তবে প্রথমেই তাতে গ্রিন সিগন্যাল দেননি দিলীপ ঘোষ। শেষমেশ মায়ের ইচ্ছেয় যে তিনি এই বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন, সে কথা স্পষ্ট জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ।রিঙকু মজুমদারের ছেলে বিয়েতে থাকতে পারেননি। তবে এই সিদ্ধান্তে মায়ের পাশেই রয়েছেন তিনি।
আরও দেখুন