অরিত্রিক ভট্টাচার্য, পূর্ব মেদিনীপুর: প্রথমবার দিঘায় গড়াল রথের চাকা। নারকেল ফাটিয়ে সোনার ঝাড়ু দিয়ে ঝাঁট দেওয়ার কর্মসূচিও পালন করা হয়। এরপর রথের সামনে গিয়ে উপাসনা করেন মমতা। দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরে রথযাত্রায় সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)।
আরও পড়ুন, বছরভর টিনের খাঁচায় বসবাস, উল্টোরথের আগের দিন ‘ভান্ডার লুঠ’, প্রায় ৩০০ বছরের পথে হুগলির গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রা !
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা যারা ব্যারিকেডে দাঁড়িয়ে আছেন, ব্যারিকেডে যে দড়িটা আছে, সেই দড়ি কিন্তু জগন্নাথ-বলরাম-শুভদ্রার রথের সঙ্গে স্পর্শ করা আছে। আপনার ব্যারিকেডে স্পর্শ করা ওই দড়িটাই ছুঁতে পারলেই, মনে রাখবেন, সবাই আপনারা রথযাত্রার দড়ি আপনারা ছুতে পারছেন।’ দিঘার পুরনো জগন্নাথ মন্দিরের পাশেই মাসির বাড়ি। প্রায় ১ কিমি দূরে মাসির বাড়িতে যাবে ৩ ভাই বোন। প্রথমে রয়েছে বলরামের রথ। সেই রথের দড়িতে টান পড়তেই, একে একে এগোয় শুভদ্রা ও জগন্নাথের রথ। দিঘাতেও জগন্নাথের রথের নাম ‘নন্দীঘোষ’। গোটা রাস্তাটাই ব্যারিকেড করা রয়েছে। কিন্তু ব্যারিকেড টপকে যাতে কেউ আসতে না পারে, সেই জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, রথের দড়ি ব্যারিকেড ছুঁয়ে যাবে।
কথিত আছে, পূর্ণিমার পর জগন্নাথদেব অসুস্থ হন। সাদা পোশাক পরে ১৫ দিন একান্তবাসে থাকেন তিনি। এই সময় শুধু পুরোহিতরাই গর্ভগৃহে ঢোকেন। বন্ধ হয়ে যায় ৫৬ ভোগ। এই সময় শুধু ফল, ডালিয়া, চবনপ্রাস, ওষুধ নিবেদন করা হয়। রথের ঠিক একদিন আগে হয়ে গিয়েছে নেত্র উৎসব। এদিনই সুস্থ হয়ে ভক্তদের দর্শন দেন জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা। স্নানের পর নতুন করে রং করা হয় মূর্তিতে। আঁকা হয় চোখ। পরানো হয় নতুন পোশাক। পুরীর জগন্নাথ ধামের ধাঁচে তৈরি হলেও দিঘায় রথ আকারে-আয়তনে ছোট। রথের গায়ে ওড়িশার রঘুরাজপুরের পটচিত্রের নকশা আঁকা রয়েছে। তবে পুরীর মতোই এখানেও জগন্নাথ দেবের রথ একইরকম হলুদ-সাদা রং, ১৬টি চাকা… পুরীর রথের মতো নামও ‘নন্দীঘোষ’। বলরামের রথে ১৪টি চাকা। কালো-লাল রথের সামনে রয়েছে কমলা ঘোড়া। সবচেয়ে ছোট সবুজ রথটি সুভদ্রার। এতে ১২টি চাকা রয়েছে।
(খবরটি সম্প্রতি ব্রেক করা হয়েছে। বিস্তারিত কিছুক্ষণ পরই দেওয়া হচ্ছে। একটু পরে রিফ্রেশ করুন। জেলা থেকে শহর, দেশ, বিদেশ, বিনোদন থেকে খেলা, বিজ্ঞান থেকে প্রযুক্তি সহ অন্যান্য সমস্ত খবরের আপডেটের জন্য দেখতে থাকুন এবিপি আনন্দ ও এবিপি লাইভ)