কলকাতা: ‘প্রসাদ রাজনীতি’ ঘিরে বাড়ছে উত্তাপ। দিঘার জগন্নাথ দেবের মন্দিরের প্রসাদের প্রসঙ্গ তুলে এদিন ফের নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। প্রসাদের প্যাকেট দেখিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। হিন্দু ভাবাবেগে আঘাতের জন্য প্যাকেট তৈরির নির্দেশ।
আরও পড়ুন, যাত্রীবাহী বাস ও পিক আপ ভ্যানের সংঘর্ষ, ভেঙে চুরমার উইন্ড স্ক্রিন, গাছ পর্যন্ত গেল উপড়ে, মর্মান্তিক দুর্ঘটনা বাঁকুড়ায় !
‘প্যাড়া বা গজা খাওয়ানোয় বা ২০ টাকা বরাদ্দতেও আপত্তি নেই, আমার আপত্তিটা..’
এদিন শুভেন্দু বলেন, আজকের সাংবাদিক সম্মেলনের উদ্দেশ্য হচ্ছে, আবার তিনি পশ্চিমবাংলার হিন্দুদের, আস্থায় আঘাত করার জন্য, একটা প্যাকেট তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন। এই প্যাকেটটা তৈরি হচ্ছে। এই প্যাকেটটার দাম হচ্ছে ২০ টাকা। একটা গজা একটা প্যারা। প্যাড়া বা গজা খাওয়ানোয় আমার আপত্তি নেই। ২০ টাকা বরাদ্দতেও আপত্তি নেই। কারণ ওনার তো কোষাগার শুন্য। ৭ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছেন। আমার আপত্তিটা-একদিকে, শ্রী জগন্নাথ দেবের প্রসাদ বলে, ওনার হাসির মুখের ছবি-সহ যে ভাস্কর্যটা সরকারি টাকায় দীঘায় তৈরি হয়েছে..’ বলতে হাতে তুলে নেন সার্কুলার। বলেন, ‘যে সার্কুলারটা ডিএম-দের পাঠানো হয়েছে। ডিএম-রা এসডিও-বিডিও-দের পাঠিয়েছেন। তাঁরা আমাদের পাঠিয়েছেন।’
‘এটাকে নাম দেওয়া হচ্ছে প্রসাদ,এটা হিন্দুদের আস্থায় আঘাত নয় ? …’
তিনি প্যাকেট দেখিয়ে আরও বলেন, এটাকে নাম দেওয়া হচ্ছে প্রসাদ। কত বড় আস্থায় আঘাত। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্যাড়া এবং গজা হিসেবে নেবেন। প্রসাদ হিসেবে কেউ নেবেন না। যদি অরিজিনাল হিন্দু হয়ে থাকেন।’ শুভেন্দু আরও বলেন, ‘এটা যেহেতু সরকারি চিঠি না, লিফলেট।’ বলতে বলতে হাতে তুলে তিনি সেটা পড়ে শোনান। পড়তে পড়তে বলেন, ‘ দিঘা জগন্নাথ মন্দিরের পবিত্র ছবি ও প্যাকেট পৌঁছে যাবে। এই প্রসাদের প্যাকেটে থাকছে, এক টুকরো গজা , এক টুকরো প্যাড়া। জগন্নাথ দেবের পবিত্র মন্দিরের ছবি। পশ্চিমবঙ্গের সকল পরিবার এর প্রসাদ পাবেন। শুধুমাত্র দুয়ারে রেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেওয়া হবে।’ এরপরই শুভেন্দুর প্রশ্ন এটা হিন্দুদের আস্থায় আঘাত নয় ? প্রসাদের নামে মিষ্টির দোকান থেকে গজা এবং প্যাড়া দিয়ে, রেশন ডিলারদের মাধ্যমে বাধ্য করিয়ে, হিন্দুদের ভোটকে বিভাজিত করার জন্য, তিনি কেবলমাত্র হিন্দুধর্মের উপর বারেবারে এই ধরণের আঘাত করেন।’