সেলিম রেজা | ঢাকা: বদলের বাংলাদেশে গত কয়েকদিন ধরে ঢাকার বিভিন্ন সড়কে বাসের সংকট দেখা দিয়েছে। পরিবহণ সংকটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী ও কাজে বের হওয়া মানুষজন। সকাল থেকে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন সড়কে বাস চলাচল একেবারেই কম দেখা যায়। যে অল্পসংখ্যক বাস চলাচল করছে তার বেশিরভাগই যাত্রীতে ঠাসা। ফলে অনেকে বাসে উঠতে পারছে না। এ অবস্থায় উপায় না পেয়ে অনেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, কেউবা অটোরিকশা, কেউ কেউ রাইড শেয়ারিং বাইকে করে গন্তব্যের দিকে যাচ্ছেন অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে।
আরও পড়ুন-‘মোদীর প্লেন উড়িয়ে দেব!’ মুম্বই পুলিসের কাছে নাশকতার ভয়ংকর হুমকি…
গত সপ্তাহে ঢাকার আব্দুল্লাহপুর হয়ে গাজীপুর রুটে চলাচল করা বাস গোলাপি রং করে ই-টিকিটিংয়ের আওতায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিস (ডিএমপি)। প্রাথমিকভাবে ২১ কোম্পানির ২,৬১০ বাস গোলাপি রঙের ই-টিকিটিংয়ের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। এরপর থেকেই মূলত গত কয়েকদিন ধরে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন সড়কে গণপরিবহণের কৃত্রিম সংকট দেখা গেছে।
বাসের অপেক্ষা করছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী আল আমরান। তিনি জি ২৪ ঘন্টার বাংলাদেশ প্রতিনিধিকে বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে বাসের জন্য অপেক্ষা করছি, কিন্তু বাস নেই। অফিস টাইমে শত শত মানুষ রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে, যে অল্প সংখ্যক বাস আসছে সেগুলো যাত্রীতে ঠাসা, ওঠা যাচ্ছে না। গত কয়েকদিন ধরে এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে। পরে বাধ্য হয়ে বেশি টাকা দিয়ে রাইড শেয়ারিং বাইকে অফিসে যাচ্ছি।
বাস সংকটের কারণ জানতে চাইলে ভিক্টর বাসের সহযোগী রিপন মিয়া বলেন, যেহেতু এই সড়কে চলতে হলে বাসকে গোলাপি রং হতে হবে, তাই অনেক বাস মালিকই তাদের বাস রং করতে দিয়েছে। আর এই টিকিট সিস্টেম হলে বাসচালক, হেলপাররা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে। তাই অনেকে বাস নামাচ্ছে না।
তুরাগ বাসের চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, বাসের গোলাপি রং, টিকিট পদ্ধতি না থাকলে মামলা দিচ্ছে পুলিস। যারা বের হচ্ছে তারাই নিয়ম মেনে না চললে মামলা খাচ্ছে, তাই ভয়ে অনেকে বাস বের করছে না। এছাড়া এই পদ্ধতির কারণে বাসের ড্রাইভার, হেলপার সবচেয়ে লসে পড়বে, সে কারণে তারা ইচ্ছে করে বাস নামাচ্ছে না।
দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)