NOW READING:
Grandson killed Grandmother: হাতখরচে চাই ২৬০০, না দেওয়ায় ঠাকুমাকে মেরে পাশেই শান্তির ঘুম কিশোরের!
May 28, 2025

Grandson killed Grandmother: হাতখরচে চাই ২৬০০, না দেওয়ায় ঠাকুমাকে মেরে পাশেই শান্তির ঘুম কিশোরের!

Grandson killed Grandmother: হাতখরচে চাই ২৬০০, না দেওয়ায় ঠাকুমাকে মেরে পাশেই শান্তির ঘুম কিশোরের!
Listen to this article


জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ২৬০০ টাকা না দেওয়ায় নিজের ঠাকুমাকে(Grandmother) খুন করল ১৪ বছরের নাতি(Grandson)। ভয়ংকর ঘটনাটি ঘটে, লখনউয়ে(Lucknow) মালিহাবাদে। পুলিস জানিয়েছে, টাকা নিয়ে ঠাকুমা-নাতির মধ্যে ঝামেলা লাগে। নাতি পারফিউম, বেড়াতে যাওয়া এবং স্কুলের মাইনের জন্য ২৬০০ টাকা চেয়েছিল। সেটা না দেওয়ায় রাগে ঠাকুমাকে মেরেই ফেলে সে। এখানেই শেষ নয়, সন্দেহ এড়াতে সে সারারাত ঠাকুমার মৃতদেহের পাশে শান্তিতে ঘুমিয়ে পড়ে।

নাতির অভিভাবকত্ব
১১ বছর আগে, বিধবা বিদ্যাবতী দেবী নিজের ছেলে-বউমা দুজনকেই হারিয়ে ফেলে। এরপর তিনি একমাত্র নাতি অভিভাবকত্ব পাওয়ার জন্য কোর্টে লড়াই করে। সফলভাবে নাতিকে নিজের কাছে রাখার অধিকার পেয়ে যান। তিনি নিজের জীবনের সবকিছু নাতিকেই উত্‍সর্গ করে দিয়েছিলেন। এমনকি নাতির ভরণ পোষণের জন্য একটি ছোট মুদির দোকানও খুলেছিলেন।

আরও পড়ুন:Dipika Kakar Diagnosed with Cancer: লিভারে ‘মারণ’ টিউমার! ক্যানসারে আক্রান্ত দীপিকাও, স্টেজ…

টাকার জন্য ঠাকুমাকে খুন
পুলিস জানিয়েছে, ছেলেটি সম্প্রতি তার দাদু রাধে শ্যামের বাড়ি থেকে চলে আসে। এবং ঠাকুমা বিদ্যাবতী দেবীর সঙ্গে থাকতে শুরু করে। ঘটনার মাত্র চার দিন আগে, সে তার পারফিউম, জামা কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করে। তার একদিন পরই সে ব্র্যান্ডেড পোশাক এবং পারফিউমের জন্য ৫০০ টাকা এবং স্কুলের মাইনের জন্য ২১০০ টাকা ঠাকুমার কাছে দাবি করে।

বিদ্যাবতী দেবী যখন তাকে জানান যে তার কাছে এত টাকা নেই, তখনই সে ক্ষেপে ওঠে। তীব্র ক্ষোভে সে ঠাকুমাকে মারধর করতে শুরু করে। এবং শ্বাসরোধ করে খুন করে। পুলিস জানিয়েছে, যখন সে দেখে যে ঠাকুমা আর নড়াচড়া করছে না। তখন তাকে বিছানায় শুইয়ে দেয় এবং সারারাত মৃত ঠাকুমার পাশে ঘুমিয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন:Dalit Man Death: দলিত বলে মানুষ নয়? দোকানদারের ছেলেকে ‘বেটা’ বলায় বেধড়ক মারে বেঘোরে প্রাণ গেল…

পরের দিন সকালে, ছেলেটি ইট দিয়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। এক প্রতিবেশীকে বলে যায় যে, ‘ঠাকুমার শরীর খারাপ। আমি স্কুলে যাচ্ছি।’ এরপর বিদ্যাবতীর মেয়ে মমতা তাঁর মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে। তিনি এক প্রতিবেশীকে ফোন করে বলে মায়ের খোঁজ দিতে। তখন কলাবতী নামে ওই প্রতিবেশী অন্য় এক মহিলার সঙ্গে বাড়ির দরজা খুলে বিদ্যাবতীর মৃতদেহ দেখে। তত্‍ক্ষণাত্‍ তাঁরা পুলিসকে খবর দেয়। কিছুক্ষণ পর নাতি ফিরে আসে। পুলিস তাকে হেফাজতে নিয়ে নেয়।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link