রাজীব চক্রবর্তী: নয়াদিল্লি রেল স্টেশনে ১৫ ফেব্রুয়ারির রাতে ভয়াবহ হুড়োহুড়ির ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ১৮ নয়, ২০ জন। জানিয়েছে রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স (RPF)। অন্তর্বর্তীকালীন তদন্ত রিপোর্টে উঠে এসেছে আরও কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আরও পড়ুন-১ টাকা কিলো টমেটো! মারাত্মক ক্ষতি চাষীদের, তবুও এই রাস্তাই বেছে নিচ্ছেন…
রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৫ ফেব্রুয়ারি রাত ৮:৪৮ মিনিটে স্টেশনে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। আহত হন ৩০ জন, যার মধ্যে ২০ জন প্রাণ হারান এবং ১০ জন এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
কী ঘটেছিল সেই রাতে?
রিপোর্টে বলা হয়েছে, কুম্ভমেলা উপলক্ষে স্টেশনে ভীষণ ভিড় ছিল। ১২, ১৪, ১৫ ও ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্ম এবং ২ ও ৩ নম্বর ফুটওভার ব্রিজে বহু মানুষের জমায়েত ছিল। ১২ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে শিবগঙ্গা এক্সপ্রেস ছাড়ার পর প্রথমে ঘোষণা করা হয়, ১২ নং থেকে ছাড়বে প্রয়াগরাজগামী ট্রেন। যাত্রীরা ভিড় ঠেলে এগোতে শুরু করে। এরপর ঘোষণা হয় যে কুম্ভ স্পেশাল ট্রেন ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়বে। এতে আরও বেশি যাত্রী একসঙ্গে উল্টোদিকে ছুটতে থাকেন, ফলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়।
এদিকে, সেই সময় ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে ছিল মগধ এক্সপ্রেস (২০৮০২) এবং ১৫ নম্বরে ছিল সম্পর্কক্রান্তি এক্সপ্রেস (১২৪৪৫)। এই দুই ট্রেনের মাঝখানে প্রচণ্ড ভিড় হওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। রেল কর্তৃপক্ষ স্টেশনের প্রবেশদ্বার বন্ধ করে ভিড় ঠেকানোর চেষ্টা করে। আহতদের দ্রুত রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতাল, লেডি হার্ডিঞ্জ হাসপাতাল ও লোক নায়ক জয়প্রকাশ হাসপাতালে পাঠানো হয়। যদিও রেল পুলিস (GRP) এর কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে, এখনো পর্যন্ত কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)